Logo
Logo
×

জাতীয়

একান্ত সাক্ষাৎকারে ধর্ম উপদেষ্টা

আমরা হজের খরচ কমাবো

তানজিল আমির

তানজিল আমির

প্রকাশ: ২৫ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০৮:০১ পিএম

শিক্ষার্থীদের বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে তোপের মুখে পড়ে গত ৫ আগস্ট পতন হয় আওয়ামী লীগ সরকারের। দেশ ত্যাগ করে পালিয়ে যান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এরপর ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বে গঠিত হয়েছে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার।

নোবেল বিজয়ী অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বাধীন অন্তর্বর্তী সরকারে ধর্ম মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব পেয়েছেন ড. মাওলানা আ ফ ম খালিদ হোসেন। তিনি বাংলাদেশের ইতিহাসে প্রথম আলেম উপদেষ্টা।  

আ ফ ম খালিদ হোসেন ইসলামি অঙ্গনে তুমুল জনপ্রিয়। তার মূল নাম আবুল ফয়েজ মুহাম্মদ খালিদ হোসেন। কওমি, আলিয়া ও বিশ্ববিদ্যালয় দেশে প্রচলিত শিক্ষার তিন ধারাতেই তিনি কৃতিত্বের সঙ্গে পড়াশোনা করেছেন। বর্ণাঢ্য জীবনের অধিকারী আ ফ ম খালিদ হোসেন শিক্ষা, গবেষণা ও ধর্মীয় বিভিন্ন কাজে যুক্ত ছিলেন। অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টা হিসেবে দেশের ইসলামী ঘরানার প্রায় সবার সমর্থন পেয়েছেন তিনি।  

হজ-ওমরাহর সুষ্ঠু ব্যবস্থাপনা, ইসলামিক ফাউন্ডেশনের সংস্কারসহ ধর্ম মন্ত্রণালয় সব কাজে আমূল পরিবর্তনের স্বপ্ন দেখেন আ ফ ম খালিদ হোসেন। সামগ্রিক বিষয় নিয়ে তিনি কথা বলেছেন যুগান্তরের সঙ্গে। সাক্ষাৎকার নিয়েছেন যুগান্তরের সহ সম্পাদক- তানজিল আমির। সঙ্গে ছিলেন মুহসিন আল জাবির। আজ প্রকাশিত হলো সাক্ষাৎকারের দ্বিতীয় পর্ব।  

যুগান্তর: হজ-ওমরাহর খরচ সাম্প্রতিক সময়ে বেড়েছে। সরকার পরিবর্তনের পর অনেকেই এ খাতে খরচ কমানোর কথা বলছেন, আপনি কি ভাবছেন এ বিষয়ে? 

আ ফ ম খালিদ হোসেন: হজ-ওমরাহর খরচ কমাতে এবং এ সেক্টর দুর্নীতিমুক্ত করতে আমরা এখন সার্বক্ষণিক কাজ করছি।  এ মাসেই আমি সৌদি আরব যাচ্ছি। যে জায়গায় আমরা ঘরভাড়া করি সবগুলো জায়গা ভিজিট করব। আমরা হজের জন্য দুটি প্যাকেজের চিন্তা করছি। একটা কাবার খুব কাছেই যেটা আগে থেকে চলে আসছে। আরেকটা একটু দূরে হবে যেখান থেকে বাসে মিসফালা ব্রিজের কাছে নামিয়ে দেওয়া যায়। তো এভাবে যদি হোটেল ঠিক করতে পারি যাদের গাড়ির সার্ভিস আছে তাহলে আমরা আরও খরচ কমিয়ে ফেলতে পারব। 

প্রথম প্যাকেজ থেকে বিমান ও ঘরভাড়ার দিক দিয়ে কমাবো।  আমি নিজে গিয়ে পুরা বিষয়টির তদারকি করব। এখানে একটা কথা হচ্ছে সৌদি সরকারকে আমাদের একটা বিশাল চার্জ দিতে হয় যা অনেকেই জানে না।  

মূলত হজের সফরে তিন জায়গায় টাকা দিতে হয়।  সৌদি সরকারকে আমাদের নির্ধারিত টাকা দিতে হয়। যার বিপরীতে মিনা, মুজদালিফা, আরাফায় তারা সবকিছুর ব্যবস্থা করেন। এসবের বিল কিন্তু আমাদেরই দেওয়া লাগে। সেখানে এ, বি, সি, ডি এভাবে জোন ভাগ করা থাকে,  সেটার ভাড়া তারাই ঠিক করেন। 

এরপর ঘরভাড়া কমানোর চেষ্টা করব। বিমান কর্তৃপক্ষের সঙ্গেও কথা হয়েছে। আমরা বিশেষজ্ঞদের নিয়ে বসে বিমানের ভাড়া কতটুকু কমাতে পারি তা ঠিক করব। এখন এনবিআরকে হাজীদের মাথাপিছু ৫ হাজার টাকা দিতে হয় ।  এনবিআরের সঙ্গে কথা বলে যদি এই টাকা মওকুফ করতে পারি তাহলে ৫ হাজার টাকা কমে গেল। এছাড়া ৩৫ হাজার টাকা আমরা প্রতিজন হাজী থেকে নিয়ে আবার সেটি আশকোনায় ফেরত দেই।  এটি নেয়ারও দরকার কি আবার ফেরত দেয়ারও দরকার কি! এগুলো কমাতে পারলে ৪০ হাজার তো এখানেই কমে গেল। বিমান ও ঘরভাড়া যদি আরও কমাতে পারি তাহলে আশা করা যায় দুটি প্যাকেজেই কমিয়ে ফেলতে পারব ইনশাআল্লাহ।

মোট তিন জায়গায় বড় খরচ- সৌদি সরকারকে টাকা দেওয়া লাগে, বিমান ভাড়া ও বাড়িভাড়া। এই তিনটি খাত সহ আরও কিছু খাত থেকে যদি আমরা অল্প অল্প করে কমাতে পারি তাহলে আশা করি হজ ও ওমরাহর জন্য ভালো প্যাকেজ দিতে পারব। 

হাব তো আমাদের কে ভাড়া কমানোর জন্য বিভিন্ন প্রস্তাব দিচ্ছে। ভাড়া কমানোর জন্য তারা প্রেস কনফারেন্সও করেছে। এজেন্সি যারা আছে তাদের সঙ্গেও আমাদের কথাবার্তা হয়েছে। প্রত্যেকেই খরচ কমাতে চান। তো হাব ও এজেন্সিগুলোর সঙ্গে আলাপ করে আমরা হজের খরচ কমানোর উদ্যোগ নিয়েছি।

যুগান্তর: হজের বিমানভাড়া নিয়ে প্রতিবছরই অভিযোগ উঠে। এসময় স্বাভাবিকের চেয়ে অনেক বেশি ভাড়া রাখা হয়..  

আ ফ ম খালিদ হোসেন: আমরা বিমানকে বলেছি যেখানে ওমরা করতে লাগে ৭০-৮০ হাজার টাকা। যেমন এখন ইকোনমিক ক্লাসে গেলে ২১ হাজার টাকা লাগছে। কিন্তু হজের সময় ১ লাখ ৯৪ হাজার টাকা হয় কেন? তারা বলছে যে আমরা খালি ফিরে আসি তাই আমাদের ফুয়েল কস্ট লাগে।  ডেডিকেটেড ফ্লাইটে মানুষ আনতে পারে না বা কোনো স্থানে ট্রানজিট করতে পারবেনা এগুলো শর্ত থাকে। আমার প্রশ্ন হচ্ছে খালি ফিরে আসলে বিমানের ফুয়েল খরচ কম হয় কারণ প্যাসেঞ্জার থাকেনা। 

আমরা তাদেরকে বলছি আপনারা খাত বলেন যে, বিমান ভাড়া কত বা আনুষঙ্গিক খরচ কত। এগুলো আমরা তাদের কাছ থেকে বিস্তারিত জেনে খরচ কমাবো। আমার মনে হয় যে আমাদের প্রধান উপদেষ্টাও এই কথার সঙ্গে একমত হবেন। 

যুগান্তর: সরকারি খরচে হজে পাঠানোর একটি রীতি চলে আসছে, রাষ্ট্রের টাকা খরচ করে হজে পাঠানো কতটা যৌক্তিক?

আ ফ ম খালিদ হোসেন: এ বিষয়ে সবার ভুল ধারণা আছে যে হাজিদের থেকে টাকা নিয়ে মন্ত্রণালয়ের লোকেরা হজ করে আসে। আমি আপনাদের মাধ্যমে দেশবাসীকে জানাতে চাই যে, হাজিদের থেকে এক পয়সাও মন্ত্রণালয় নেয় না। হাজিদের টাকা যদি আত্মসাৎ হয় সেটা করে এজেন্সিগুলো। আমরা বলেছি যে এজেন্সিরা হাজিদের সঙ্গে চুক্তি করবে। কতটুকু দূরত্বে রাখবে বা কি মানের খাবার দেবে এসব আগেই চুক্তি হবে। চুক্তি না করলে তো সেটি হাজি সাহেবের দোষ। 

সরকারি-বেসরকারি সব হাজিদের জন্য আমরা ১ কোটি টাকার ওষুধ ও ২০০ ডাক্তার-নার্স-টেকনিশিয়ান নিয়ে যাই। যার মধ্যে ৮০ জন থাকে এমবিবিএস ডাক্তার। এগুলোর খরচ কিন্তু মন্ত্রণালয় বহন করে। হাজিদের টাকা থেকে নয়। আমরা সেখানে মেডিকেল সুবিধা ও মেডিসিন দিয়ে থাকি। কেউ যদি অসুস্থ হয় তাকে হাসপাতালে পৌঁছে দেওয়া হয়। হাজিদের থেকে এসবের জন্য এক পয়সাও নেওয়া হয়না। হজে অনেকে হারিয়ে যায় তাদের খুঁজে আনার দায়িত্বও আমাদের। কেউ মারা যায় তাকে কবর দিতে হয়।  ইচ্ছা করলেই কিন্তু আপনি কবরস্থ করতে পারবেন না। এটা সৌদি সরকারকে জানিয়ে তাদের ব্যবস্থাপনায় করতে হয়। এসব কাজে তো আমাদের লোকবল লাগে। তাই মন্ত্রণালয় থেকে বিশাল এক দল নিতে হয়। অনেক বৃদ্ধ হাজিরা টাকা হারিয়ে ফেলে তাদেরকে মন্ত্রণালয় থেকে টাকা দেওয়া হয়। ২০২৩ সালে ঘরভাড়া কমে যাওয়ার কারণে ২৩ হাজার থেকে ৬০ হাজার টাকা পর্যন্ত ফেরত দেওয়া হয়েছে। 

হজ নিয়ে মন্ত্রণালয় ব্যবসা করে না বরং সেবা দেয়। অনেকের ধারণা হাজিদের টাকা নিয়ে আমরা হজ করি, আসলে এটা ভুল ধারণা। এটা মন্ত্রণালয়ের টাকা। টাকা যেহেতু সরকারের তো সরকার চাইলেই মানুষের সংখ্যা কমাতে বা বাড়াতে পারে।  এ ব্যাপারে ফতোয়াও আছে যে, রাষ্ট্র যদি ইচ্ছা করে তাহলে যেকোনো মানুষকে হজে পাঠাতে পারে। সম্প্রতি আমি হাটহাজারী মাদ্রাসা থেকে এ ফতোয়া নিয়ে এসেছি। তবে আগের মত বেশি মানুষও যাবেনা।  আমরা মন্ত্রণালয়ের খরচ সীমিত করে ফেলব। আর এ খাতে তো হাজিদের টাকা তো ব্যবহারই হয় না। 

যুগান্তর: সম্প্রতি দেশের বিভিন্ন জেলায় মাজার ভাঙতে দেখা গেছে। এর মাধ্যমে কি সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বিনষ্ট হচ্ছে না?  

আ ফ ম খালিদ হোসেন: মাজার ভাঙার একটি প্রবণতা শুরু হয়েছে। মন্দিরে হামলা, মাজারে হামলা এবং জশনে জুলুসের মিছিলে হামলা এগুলো একই সূত্রে গাঁথা। একটা বিশেষ গ্রুপ এগুলো করছে।  দেশে এসব করে বাইরের মিডিয়ায় ঢালাওভাবে ফুলিয়ে-ফাপিয়ে প্রচার করা হচ্ছে। আমি মন্দির ভাঙার ক্ষেত্রেও দেখেছি যে এখানে এসব করে বাহিরে একেবারে রিলিজিয়াস পার্সেপশান হিসাবে প্রচার করে। জাতিসংঘের মানবাধিকার কর্মীরাও বলছে যে, সংখ্যালঘুদের ওপর এমন আক্রমণ আমাদেরকে ভাবিয়ে তুলছে। আমরা তাদের নিশ্চয়তা দিয়েছি যে, এগুলো সব বিচ্ছিন্ন ঘটনা। 

হিন্দু মহাজোটের লোকেরা এসে বলছেন যে, এত হাজার মন্দির ও মানুষ আক্রান্ত হয়েছে। আমি বলেছি নির্দিষ্ট হিসাব আপনি দেন যে কোন মন্দির বা জেলার মানুষ আক্রান্ত হয়েছে। আমরা ডিসিদের মাধ্যমে তথ্য নেব যে কোথায় কোথায় আক্রমণ হয়েছে। 

এখন মাজার ভাঙার জন্য কিছু মানুষ উঠেপড়ে লেগেছে। আপনি তো আইন হাতে তুলে নিতে পারেন না। একজন মুফতি ফতোয়া দেবেন। ফতোয়া মানে হল ইসলামি শরিয়ত মোতাবেক মতামত। একজন মুফতি কুরআন, হাদিস, ফিকাহ ও সাহাবাদের আমল- এসব দিয়ে শরিয়তের ব্যাখ্যা দেবেন। কিন্তু কোনো মুফতি  তো কাউকে ফাঁসি বা দোররা মারতে পারেন না। দণ্ডবিধি আপনি কার্যকর করতে পারবেন না। এটা করবে সরকার বা বিচারব্যবস্থা। মুফতিরা মতামত দেবেন আর বিচার করবেন কোর্ট। আর কোর্টের রায় কার্যকর করবে প্রশাসন। এটিই সর্বজনবিধিত কথা।  আমাদের হাইকোর্টের রায়েও আছে, আলেমরাও এ কথা বলেন। আলেমরা কোনো বিচার করতে পারবেন না কারণ এটি তো ইসলামি হুকুমত না। 

বিচারের দায়িত্ব হল রাষ্ট্রের। কার্যকর করবে প্রশাসন। যেসব মাজারে শিরক হয়, জুয়া খেলে মাদকের ব্যবহার হয় এসব আমাদের জানান, মন্ত্রণালয়ে জানাতে পারেন বা ডিসিকে জানাতে পারেন বা ইউএনওকে জানাতে পারেন তাহলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। এ ব্যাপারে আমাদের নির্দেশনা দেওয়া আছে। আমি আশাবাদী এগুলো কমে আসবে।

যুগান্তর: বিগত সরকারের আমলে কওমি মাদ্রাসার দাওরায়ে হাদিসকে মাস্টার্স সমমান স্বীকৃতি দেওয়া হয়েছিল, এ সনদের কার্যকারিতা নিয়ে জানতে চাই

আ ফ ম খালিদ হোসেন: এটি যদিও আমার মন্ত্রণালয় সংশ্লিষ্ট কোনো বিষয় নয়, তবে এ বিষয়ে আমি দীর্ঘদিন কাজ করেছি, তাই এটি কার্যকরে আমার সহায়তা থাকবে। কওমি মাদ্রাসা শিক্ষাবোর্ডের প্রতিনিধিদের নিয়ে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে আলোচনা করে দাওরায়ে হাদিসের সনদকে কার্যকরী করার চেষ্টা করব।  কোন কোন ক্ষেত্রে এ সনদের মাধ্যমে শিক্ষার্থীদের এখনই সংযুক্ত করা যায়- যেমন স্কুলগুলোতে ধর্মীয় শিক্ষক, সরকারি কাজী, বিভিন্ন বাহিনীতে ইমাম- এগুলো করতে হবে।

যুগান্তর: ভবিষ্যৎ বাংলাদেশ সম্পর্কে আপনার থেকে আশার কথা শুনতে চাই 

আ ফ ম খালিদ হোসেন: আমরা বৈষম্যহীন ইনসাফপূর্ণ একটি রাষ্ট্র তৈরির ক্ষেত্র তৈরি করতে চাই। এটির বাস্তবায়ন আমরা করতে পারব না, কিন্তু সূচনা করে যেতে চাই। পরবর্তী সরকার যেন সে ধারাবাহিকতা এগিয়ে নিতে পারে এমন সুন্দর একটি ক্ষেত্র তৈরি করে যেতে চাই।  

যুগান্তর: আমরা জানি আপনি আধ্যাত্মিক সাধনার সঙ্গেও যুক্ত রয়েছেন, এটি সম্পর্কে একটু জানাবেন 

আ ফ ম খালিদ হোসেন: চট্টগ্রামের নানুপুর মাদ্রাসার সাবেক মহাপরিচালক মাওলানা জমির উদ্দিন নানুপুরীর হাতে আমি প্রথম বাইয়াত হই। তার ইন্তেকালের পর আল্লামা শাহ আহমদ শফীর সঙ্গে আধ্যাত্মিক সম্পর্ক স্থাপন করি। এছাড়া বিশ্ববরেণ্য পির জুলফিকার আহমদ নকশবন্দীর সঙ্গেও আমার আধ্যাত্মিক সম্পর্ক রয়েছে।  মাওলানা জমির উদ্দিন নানুপুরী ও আল্লামা সুলতান যওক নদবী আমাকে তরীকতের খিলাফত প্রদান করেছেন।    

যুগান্তর: আপনার জীবনের বিশেষ স্বপ্ন বা ইচ্ছা এমন আছে কি যেটি আপনি এখনও বাস্তবায়ন হয়নি? 

আ ফ ম খালিদ হোসেন:  আমার একটা স্বপ্ন ছিল- ইসলামের আদলে এ দেশ যেন একটি মডেল রাষ্ট্র হিসেবে গড়ে ওঠে।  হজরত ওমর রা. এর আদলে দেশে একটি সুন্দর শাসনব্যস্থা গড়ে উঠুক। কিন্তু এটি তো আমার একার দ্বারা বাস্তবায়ন সম্ভব নয়। এতে সবার সহযোগিতা দরকার। তবে আমি যে বিভাগের দায়িত্ব পেয়েছি সেখানে যদি আমি ইনসাফের সঙ্গে কাজ করে এটি বাস্তবায়ন করতে পারি, দুর্নীতিমুক্ত করতে পারি এটাও কম নয়। আমার সাধ্যমতে তা বাস্তবায়নের চেষ্টা করব। ভবিষ্যতে যারা এ লক্ষ্য নিয়ে কাজ করবে তাদেরকেও সহায়তা করব।     

যুগান্তর: আপনি কওমি মাদ্রাসায় পড়েছেন। এ ধারার শিক্ষাব্যবস্থায় শিক্ষকদের খেদমত করে থাকেন ছাত্ররা। আপনার কি এমন কোনো স্মৃতি আছে? 

আ ফ ম খালিদ হোসেন: পটিয়া মাদ্রাসার সাবেক মুহতামিম আল্লামা আবদুল হালিম বুখারি আমার উস্তাদ ছিলেন। আমার পিএইচডি থিসিস চলার সময়েও আমি হুজুরের পা টিপে খেদমত করেছি। কয়েক বছর আগেও পির জুলফিকার আহমদ নকশবন্দীর খেদমত করার সৌভাগ্য আমার হয়েছে। তিনি আমাকে অনেক দোয়া দিয়েছেন। 

অনুলিখন: কাজী ইনজামামুল হক

Jamuna Electronics

Logo

সম্পাদক : সাইফুল আলম

প্রকাশক : সালমা ইসলাম