একই টিকিট বারবার বিক্রি, বিআইডব্লিউটিএর ৬ কর্মচারী সাসপেন্ড
যুগান্তর প্রতিবেদন
প্রকাশ: ২৩ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০৯:৪১ পিএম
ঢাকা নদীবন্দরের (সদরঘাট) প্রবেশগেটে যাত্রী প্রবেশের একই টিকিট বারবার বিক্রি করছিলেন বহিরাগত এক শ্রমিক। বিক্রির টাকা সরকারি কোষাগারের বদলে জমা হচ্ছিন তার পকেটে।
ওই অবস্থায় সেনাবাহিনীর সদস্যদের হাতে ধরা পড়েন ইউসুফ ঢালী নামের ওই শ্রমিক। তার কাছ থেকে উদ্ধার করা হয় ১৫ হাজার ২৪৬ টাকা এবং ৮৯টি লুজ বা বাতিল টিকিট। এ ঘটনায় জড়িত থাকায় সেখানে কর্তব্যরত বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহণ কর্তৃপক্ষের (বিআইডব্লিউটিএ) তিন শুল্ক আদায়কারী ও তিন শুল্ক প্রহরীসহ ছয়জনকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে।
বিআইডব্লিউটিএ-এর পরিচালক (প্রশাসন ও মানবসম্পদ বিভাগ) কাজী ওয়াকিল নওয়াজ ছয় কর্মচারীকে সাসপেন্ড করার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, তাদের বিরুদ্ধে বিভাগীয় মামলা করা হচ্ছে।
যে ছয়জন কর্মচারীকে সাসপেন্ড করা হয়েছে তারা হলেন শুল্ক আদায়কারী সলিমুল্লাহ চৌধুরী, জাহাঙ্গীর হোসেন মোনায়েম বসুনিয়া এবং শুল্ক প্রহরী মো. রেজওয়ানুল ইসলাম, রফিক উল্যাহ ও পারভেজ খান। তাদের মধ্যে কয়েকজন বিআইডব্লিউটিএ এমপ্লয়িজ ইউনিয়নের পদধারী নেতা রয়েছেন।
ঘটনা ঘটে সদরঘাটের আওতাধীন লালকুঠী ঘাটের ১৮ নম্বর কাউন্টারে শনিবার সকালে। ওইদিন ওই কাউন্টারের সামনে দিয়ে যাওয়া যাত্রীদের প্রবেশ টিকিট সংগ্রহ করছিলেন অস্থায়ী লেবার মো. ইউসুফ ঢালী। ওই টিকিট আবারও বিক্রি করে টাকা আদায় করছিলেন তিনি। এ অবস্থায় তাকে হাতেনাতে ধরেন সদরঘাট ক্যাম্পের সেনা সদস্যরা।
সংশ্লিষ্টরা জানান, প্রতিজন যাত্রী প্রবেশে ১০ টাকা আদায় হয়। যাত্রী প্রবেশের ওই টিকিট ছিঁড়ে ফেলার নিয়ম রয়েছে। কিন্তু ওই টিকিট না ছিঁড়ে তা আবারও বিক্রির ঘটনা ঘটে। এতে পুনরায় বিক্রির টাকা সরকারি কোষাগারে জমা না হয়ে ব্যক্তির পকেটে যায়। সদরঘাটে এ ধরনের অনিয়ম দীর্ঘদিন চলে আসছে। কিন্তু ধরা পড়ছিল না। সেনা সদস্যরা মনিটরিং করায় বিষয়টি ধরা পড়েছে।