Logo
Logo
×

জাতীয়

গোলটেবিল বৈঠকে বক্তারা

৬৭ শতাংশ চিকিৎসক কোনো না কোনো নির্যাতনের শিকার

Icon

যুগান্তর প্রতিবেদন

প্রকাশ: ২১ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০৮:২৭ পিএম

৬৭ শতাংশ চিকিৎসক কোনো না কোনো নির্যাতনের শিকার

কর্মস্থলে রোগীদের সেবা দিতে গিয়ে দেশের ৬৭ শতাংশ চিকিৎসক কোনো না কোনোভাবে নির্যাতনের শিকার। রোগীদের সেবা নিশ্চিতের স্বার্থে চিকিৎসক নিরাপত্তার ওপর গুরুত্বারোপ করা জরুরি। 

শনিবার বিকালে জাতীয় প্রেসক্লাবের তোফাজ্জল হোসেন মানিক মিয়া হলে গোলটেবিল অনুষ্ঠানে চিকিৎসকদের বক্তব্যে এসব কথা উঠে এসেছে। বৈঠকে চিকিৎসকদের নিরাপত্তার দাবিও জানানো হয়।

‘চিকিৎসকদের নিরাপদ কর্মস্থল: সংকট এবং করণীয়’ শীর্ষক গোলটেবিল বৈঠকের আয়োজন করে ন্যাশনাল ডক্টরস ফোরাম (এনডিএফ)। বৈঠকে চিকিৎসকদের কর্মস্থলে নিরাপত্তার নানা দিক, বর্তমান পরিস্থিতি এবং করণীয় নিয়ে আলোচনা করা হয়।

গোলটেবিল বৈঠকে ঢাকা মেডিকেল কলেজের ক্যানসার বিশেষজ্ঞ ডা. নাজিরুম মুবিন বাংলাদেশের চিকিৎসকদের উপর শারীরিক হামলার পরিসংখ্যান এবং বৈশ্বিক প্রেক্ষাপট আলোচনা করেন। তিনি বলেন, বিশ্বব্যাপী প্রায় ৬২ থেকে ৬৭ শতাংশ চিকিৎসক কোনো না কোনো ধরনের নির্যাতনের শিকার হযেছেন।

সূচনা বক্তব্যে বিশিষ্ট এনেসথেসিলজিস্ট (অবেদনবিদ) ও ন্যাশনাল ডক্টরস ফোরামের জয়েন্ট সেক্রেটারি ডা. মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর বলেন, চিকিৎসকদের নিরাপত্তা আজ একটি বড় চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়িয়েছে। তারা প্রতিদিন নিজেদের জীবনকে ঝুঁকিতে রেখে রোগীদের সেবা দিয়ে যাচ্ছেন। এ পরিস্থিতিতে চিকিৎসকদের জন্য সুরক্ষিত ও সম্মানজনক কর্মস্থল গড়ে তোলা অত্যন্ত জরুরি।

এনডিএফের পাবলিসিটি সেক্রেটারি ডা. আল কায়েস কক্সবাজার মেডিকেল কলেজসহ দেশ-বিদেশের বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিৎসকদের উপর হামলা নিয়ে ভিডিওচিত্র উপস্থাপন করেন।

এনডিএফ এর লিগ্যাল অ্যাফেয়ার্স সেক্রেটারি ডা. আব্দুল কাদির নোমান জরুরি বিভাগ, সিসিইউ এবং আইসিইউতে চিকিৎসকদের অভিজ্ঞতা শেয়ার করেন এবং দেশের হাসপাতালগুলোর শয্যার সীমাবদ্ধতা ও চিকিৎসকদের কর্মক্ষেত্রে নিরাপত্তার অভাব নিয়ে কথা বলেন।

ইবনে সিনা মেডিকেল কলেজের রেডিওলজি অ্যান্ড ইমেজিং বিভাগের অধ্যাপক ডা. হাবিবা চৌধুরী বলেন, দেশে সব পেশার মানুষই নির্যাতিত। যারা নির্যাতন করে তারা আমাদেরই কেউ না কেউ। এর জন্য প্রয়োজন নৈতিক চরিত্র ঠিক করা।

কর্মস্থলে নারী চিকিৎসকদের খাটো করে দেখা হয় উল্লেখ করে তিনি বলেন, দেশে এখন নারী চিকিৎসক বেশি, প্রায় ৭০ শতাংশ। যদিও আমাদের নারী চিকিৎসকরাও পিছিয়ে নেই তবু তাদের খাটো করে দেখা হয়।

এ ছাড়া বিশিষ্ট মনোরোগ বিশেষজ্ঞ ডা. আসাদুজ্জামান কাবুল কর্মস্থলে চিকিৎসকদের উপর মানসিক চাপ ও মনস্তাত্ত্বিক প্রভাব নিয়ে আলোচনা করেন এবং এসব সমস্যা কিভাবে চিকিৎসকদের মানসিক স্বাস্থ্যে নেতিবাচক প্রভাব ফেলে তা তুলে ধরেন।

অনুষ্ঠানে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বিএসএমএমইউ) শিশু রোগ বিশেষজ্ঞ ডা. আতিয়ার রহমান বলেন, চিকিৎসকদের নিরাপত্তার চ্যালেঞ্জসমূহ উল্লেখ করে গৃহীত বিভিন্ন পদক্ষেপের কথা উল্লেখ করেন।

বিশিষ্ট চিকিৎসক ও সমাজকর্মী ডা. মো. তোফাজ্জল হোসেন রোগীদের চিকিৎসকদের উপর আস্থার সংকট নিরসনে বিভিন্ন উপায় এবং কিভাবে চিকিৎসক-রোগীর সম্পর্ক উন্নত করা যায় তা নিয়ে আলোচনা করেন।

অনুষ্ঠানে অধ্যাপক ডা. মোজাহেরুল হক, বিচারপতি মাজদার হোসেন, অধ্যাপক ডা. শাহ বুলবুল ইসলাম, অধ্যাপক ডা. আইরিন পারভীন, অধ্যাপক ডা. হাবিবা চৌধুরী সুইট, অ্যাডভোকেট শিশির মনির, সাবেক পুলিশ সুপার মো. মনির হোসেন ও সাংবাদিক শহীদুল ইসলাম প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন। সংগঠনটির সভাপতি অধ্যাপক ডা. মো. নজরুল ইসলামের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন এনডিএফ সেক্রেটারির অধ্যাপক ডা. মো. মাহমুদ হোসেন। অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন নিউরোসায়েন্স হাসপাতালের নিউরোমেডিসিন বিভাগের সহকারী অধ্যাপক ডা. হুমায়ুন কবির সরকার।

Jamuna Electronics

Logo

সম্পাদক : সাইফুল আলম

প্রকাশক : সালমা ইসলাম