‘মধ্যপ্রাচ্য ও ইউরোপে মেরিনারদের চাকুরির সুযোগ বাড়ানো হবে’
যুগান্তর প্রতিবেদন
প্রকাশ: ১৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ১০:৫৪ পিএম
ছবি: সংগৃহীত
সংযুক্ত আরব আমিরাত ও ইউরোপের দেশগুলোতে বাংলাদেশি মেরিনারদের চাকুরীর সুযোগ বাড়াতে নৌপরিবহন মন্ত্রণালয় কাজ করছে বলে জানিয়েছেন নৌপরিবহন এবং বস্ত্র ও পাট মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অবঃ) ড. এম সাখাওয়াত হোসেন। তিনি বলেছেন, এদেশের সী-ফেয়ারাররা যাতে সহজে ভিসা পান তা নিয়ে কাজ করবে মন্ত্রণালয়। বুধবার সচিবালয়ে উপদেষ্টার কার্যালয়ে বাংলাদেশ মার্চেন্ট শিপিং ফেডারেশন (বিএমএসএফ) ও বাংলাদেশ মার্চেন্ট মেরিন অফিসার্স এসোসিয়েশনের (বিএমএমওএ) এর প্রতিনিধিদল সাক্ষাত করতে আসলে তাদেরকে এসব কথা বলেন ড. এম সাখাওয়াত হোসেন।
ড. সাখাওয়াত বলেন, মেরিনারদেরও বিশ্বের বিভিন্ন দেশে চাকরির সুযোগ বাড়াতে কাজ করতে হবে। বিশ্বের মধ্যে অগ্রাধিকার পেতে মেরিনারদের দক্ষতা ও যোগ্যতা বাড়ানোর দিকে মনোযোগ দিতে হবে। বাংলাদেশের মেরিনারদের সার্বিক উন্নয়নে আমি চেষ্টা করবো।
সাক্ষাতকালে বাংলাদেশ মার্চেন্ট শিপিং ফেডারেশন (বিএমএসএফ) সভাপতি প্রধান প্রকৌশলী শেখ মাসুদ রানা বলেন, মেরিন একাডেমীতে প্রশিক্ষকের স্থায়ী ব্যবস্থা করতে হবে। মেরিনারদের ‘ওকে টু বোর্ড ভিসা’ সুবিধা এবং পতাকাবাহী জাহাজের সংখ্যা বাড়ানোর ব্যবস্থা করতে হবে। এসময় বিএমএমওএ এর মহাসচিব রেদোয়ান শিকদার, প্রধান প্রকৌশলী সুজল আহমেদসহ সংশ্লিষ্টরা উপস্থিত ছিলেন।
পরে নৌপরিবহন উপদেষ্টার সাথে বাংলাদেশ মেরিন অফিসার্স এসোসিয়েশন (বিএমএমওএ) এর প্রতিনিধিদল সৌজন্য সাক্ষাত করেন। এসময় উপদেষ্টার কাছে বিএমএমওএ এর ভাইস প্রেসিডেন্ট ক্যাপ্টেন জাবের বাংলাদেশের মেরিন অফিসারদের বিভিন্ন দেশে কর্মক্ষেত্র সম্প্রসারণের জন্য বিভিন্ন কৌশলগত দিক তুলে ধরেন । ক্যাপ্টেন জাবের মেরিনারদের ভিসা সুবিধা পুনরায় চালুসহ বিদেশী শিপিং কোম্পানিতে বাংলাদেশী মেরিনের চাকুরির সুযোগ বাড়ানোর ব্যবস্থা নিতে দাবি জানান।
নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা এম সাখাওয়াত হোসেন তাদের পরামর্শগুলো গুরুত্ব দিয়ে শুনেন এবং তাদের জন্য নতুন ক্ষেত্র তৈরিতে সংশ্লিষ্টদের নিয়ে কাজ করবেন বলে আশ্বাস দেন। তিনি বলেন, যেসব দেশে বাংলাদেশি নাগরিকদের ভিসা পেতে জটিলতা হচ্ছে তা নিরসনে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়া হবে। পাশাপাশি চাকুরির বাজার সম্প্রসারণে মনোযোগ দেওয়া হবে।
এসময় নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের সচিব (ভারপ্রাপ্ত) সঞ্জয় কুমার বণিক, চিফ ইঞ্জিনিয়ার গোলাম জিলানী, চিফ ইঞ্জিনিয়ার আবু সাঈদ ও সংশ্লিষ্টরা উপস্থিত ছিলেন।