গণঅধিকার পরিষদের একাংশের সদস্য সচিব ফারুক হাসান বলেছেন, ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানে শেখ হাসিনা দেশ ছেড়ে পালালেও বিগত আওয়ামী লীগ সরকারের সহযোগীরা, দুর্নীতিবাজ কর্মকর্তারা এখনো বহাল রয়েছেন। অন্তর্বর্তী সরকারকে ব্যর্থ করতে শেখ হাসিনাসহ তারা নানা ষড়যন্ত্র-চক্রান্ত করছেন।  এ ব্যাপারে দেশবাসীকে সতর্ক-সজাগ থাকতে হবে। 

বুধবার সকালে জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে বাংলাদেশ ইয়ূথ ফোরাম আয়োজিত এক প্রতিবাদ সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে ফারুক হাসান এসব কথা বলেন। 

তিনি বলেন, ছাত্র-জনতার ওপর গণহত্যার নির্দেশদাতা হিসেবে অবিলম্বে শেখ হাসিনাকে ভারত থেকে দেশে ফিরিয়ে এনে বিচারের মুখোমুখি করতে হবে।  একই সঙ্গে তার সরকারের সহযোগীদেরও গ্রেফতার করে বিচারের আওতায় আনতে হবে।  এটাই দেশবাসীর চাওয়া। 

বৈষম্যবিরোধী আন্দোলন প্রসঙ্গে ফারুক হাসান বলেন, এ লড়াই-সংগ্রাম ছিল আপামর জনগণের, একক কোনো ব্যক্তি বা সংগঠনের না। ছাত্র, জনগণ এবং রাজনৈতিক দল সকলের স্বতঃস্ফূর্ত অংশগ্রহণে এ সংগ্রাম চূড়ান্ত পরিণতি লাভ করে; শেখ হাসিনা পদত্যাগ করে দেশ থেকে পালাতে বাধ্য হন।  তাই বলব, রাজনৈতিক দল কিংবা রাজনৈতিক নেতাদের খাটো করে কেউ কোনো বক্তব্য দেবেন না। বৈষম্যহীন আগামীর কাঙ্খিত বাংলাদেশ বিনির্মাণে সবারই দরকার রয়েছে।

সভাপতির বক্তব্যে সাইদুর রহমান বলেন, বিগত আওয়ামী লীগ সরকারের মন্ত্রী-এমপি, তাদের সহযোগী এবং দুর্নীতিবাজ কর্মকর্তারা লুটপাট করে দেশ থেকে লক্ষ্য কোটি টাকা বিদেশে পাচার করেছে। জনপ্রত্যাশা অনুযায়ী অবিলম্বে তাদের বিচারের আওতায় আনতে হবে এবং পাচারকৃত অর্থ ফেরত আনার ব্যবস্থা করতে হবে।

বাংলাদেশ ইয়ূথ ফোরামের সভাপতি মুহাম্মদ সাইদুর রহমানের সভাপতিত্বে এতে আরও বক্তব্য রাখেন সংগঠনের সহ-সভাপতি তোফায়েল আহমেদ, কেন্দ্রীয় নেতা ওমর ফারুক, বিপ্লব হোসেন, কামরুল ইসলাম, সাইফুল ইসলাম শুভ, সৈকত প্রমুখ।