মানবাধিকার নেতা ও বাংলাদেশ হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদের সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট রাণা দাশগুপ্তের বিরুদ্ধে আনীত দুটো হত্যা মামলা থেকে অনতিবিলম্বে তাকে অব্যাহতি দেওয়ার দাবি জানিয়েছে বাংলাদেশ যুব ঐক্য পরিষদের নেতারা।

রোববার রাজধানীর জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে আয়োজিত মানববন্ধনে বক্তারা ওই দাবি জানান।‌

তারা বলেন, ঢাকার যাত্রাবাড়ী থানায় মামলার কথিত ঘটনার দিন ও সময় ১৯ জুলাই দুপুর ২টার দিকে তিনি চিকিৎসার্থে কোলকাতায় ছিলেন। ওইদিন বাংলাদেশ সময় সকাল সাড়ে ১০টার দিকে চট্টগ্রামের শাহ্ আমানত বিমানবন্দর থেকে কোলকাতার উদ্দেশ্যে তিনি যাত্রা শুরু করেছিরেন। ওই মামলার আসামি হিসেবে তার ক্রমিক নম্বর- ২২। ঢাকার মিরপুর থানায় দায়েরকৃত আরেকটি হত্যা মামলায় আসামি হিসেবে তার ক্রমিক নম্বর- ৩২৬। ওই মামলার কথিত ঘটনার দিন ৫ আগস্ট তিনি চট্টগ্রামে ছিলেন। এ দুই মামলায় পরিকল্পিতভাবে তাকে জড়ানো হয়েছে, মানবাধিকার আন্দোলনের অগ্রগণ্য নেতা হিসেবে তার কণ্ঠকে স্তব্ধ করা জন্যে।

শিমুল সাহার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত মানববন্ধন ও বিক্ষোভ সমাবেশে যুব নেতৃবৃন্দ বলেছেন, সারা দেশে সাম্প্রদায়িক সহিংসতা আজও চলমান রয়েছে। ধর্ম অবমাননার কল্পিত অভিযোগে পুলিশ ও সেনাবাহিনীর সামনে উৎসব মন্ডলকে একদল সাম্প্রদায়িক দুর্বৃত্ত পিটিয়ে হত্যার চেষ্টা করেছে। অসহায়ত্বের সুযোগ নিয়ে ভয়ভীতি দেখিয়ে হিন্দুদের ধর্মান্তরিত করা হচ্ছে। মেয়েদের অপহরণ করা হচ্ছে। এ সব ঘটনার জন্যে দায়ী ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে অনতিবিলম্বে শাস্তিমূলক পদক্ষেপ গ্রহণের জন্য তারা দাবি জানান।

বক্তারা বলেন, ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর গুলিতে ইতোমধ্যে স্বর্ণা দাস ও জয়ন্ত কুমার সিংহ নিহত হয়েছে। নেতৃবৃন্দ এ ঘটনার তীব্র নিন্দা ও ক্ষোভ প্রকাশ করে অনতিবিলম্বে সীমান্ত হত্যা বন্ধের জন্যে ভারতীয় কর্তৃপক্ষের কাছে জোর দাবি জানান।

জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃক অনার্স ১ম বর্ষের পরীক্ষার তারিখ শারদীয় দুর্গাপূজোর সপ্তমীর দিন ১০ অক্টোবর নির্ধারণের তীব্র প্রতিবাদ জানিয়ে যুব নেতৃবৃন্দ তা পরিবর্তনের দাবি জানিয়ে বলেছেন, অন্যথায় পূজার্থী জনগণ তা কোনোভাবেই মেনে নিবে না।

পাহারায় দুর্গাপূজো আয়োজনের তীব্র বিরোধীতা করে তারা বলেন, স্বাধীনভাবে ধর্মচর্চার বিরুদ্ধতা করা হলে তা আন্তর্জাতিকভাবে বাংলাদেশ সম্পর্কে নেতিবাচক ধারণার জন্ম দিবে। পাহারায় পূজো হবে অর্থহীন।

মানববন্ধন ও বিক্ষোভ সমাবেশে বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিষ্টান ঐক্য পরিষদের অন্যতম সভাপতি ড. নিম চন্দ্র ভৌমিক, ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক মনীন্দ্র কুমার নাথ, মতিলাল রায়, বলরাম বাহাদুর, অ্যাড. জহরলাল দাশ, শ্যামল কুমার কুন্ড, সুজন রায়, কৃষ্ণ সূর, তাপস রায়, সজীব সরকার, অপূর্ব নন্দ রায়, দীপঙ্কর চন্দ্র শীল প্রমূখ। 

সমাবেশ সঞ্চালনা করেন যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক হিল্লোল সরকার।