ড. ইউনূসের হস্তক্ষেপ কামনা ইতালি অভিবাসন প্রত্যাশীদের
যুগান্তর প্রতিবেদন
প্রকাশ: ০৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০৭:৫৪ পিএম
অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন ইতালি অভিবাসন প্রত্যাশীরা।
তারা বলেন, ২০২৩-২০২৪ সালে ইতালি সরকারের দেওয়া প্রায় এক লাখ দশ হাজার ওয়ার্ক পারমিটের বিপরীতে অভিবাসন প্রত্যাশী কর্মীর ভিসা প্রাপ্তির লক্ষ্যে ইতালি প্রধানমন্ত্রী জর্জা মেলনীর সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক বৈঠকের মাধ্যমে সমস্যার সমাধানের দাবি করেন তারা।
রোববার ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির সাগর-রুনি মিলনায়তনে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে বাংলাদেশ মাইগ্রেশন ডেভেলপমেন্ট ফোরাম (বিএমডিএফ) এবং বাংলাদেশ প্রবাসী উন্নয়ন সমিতি ওই দাবি জানান।
তারা বলেন, ইতালি সরকারের ঘোষিত ইমিগ্রেশন ডিক্রি ২০২৩-২০২৪-২০২৫ এই তিন বছরের নির্ধারিত বিদেশী কর্মীদের আইনি প্রবেশের প্রবাহের পরিকল্পনায় প্রদত্ত ৪৫২.০০০ কোটার অধীনে ২০২৪-২০২৫ সালের ইতালীয় মালিকদের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে প্রায় এক লাখ দশ হাজার বাংলাদেশী কর্মীদের ওয়ার্ক পারমিট প্রদান করে।
ওয়ার্ক পারমিট অধিনে ২০২৪-২০২৫ সালে প্রায় এক লাখ দশ হাজার ভিসার আবেদন ইতালিয়ান দূতাবাসের ভিসা প্রসেসিং সেন্টারের মাধ্যমে আবেদন জমা করা হয়।
ইতালির ভিসা নীতির অধীনে ইতালীয় আইনে বলা হয়েছে, আবেদন জমার সর্বোচ্চ ৯০ দিনের মধ্যে দূতাবাস ভিসার আবেদন নিষ্পত্তি করবেন।
আবেদনে বলা হয়, বাংলাদেশী অভিবাসী কর্মী ইতালি সরকারের দেওয়া ওয়ার্ক পারমিট হাতে নিয়ে অভিবাসন ভিসার আবেদন জমার জন্য অপেক্ষা করছে এবং ভিসা আবেদন জমা দেওয়ার পরে ১২ থেকে ১৪ মাস যাবৎ ভিসা ডেলিভারির অপেক্ষায়। ইতালি হতে সরকার কর্তৃক কাজের জন্য ভিসার অনুমতি প্রদানের পরেও গত ৬ মাস হতে ১২ মাসের মধ্যে ভিসা আবেদন জমা করার অ্যাপয়েন্টমেন্ট পাওয়া যাচ্ছে না। ফলে আবেদন জমা করতে পারছে না।
আবেদনে আরও বলা হয়, ইতালিয়ান দূতাবাস ও তার অনুমোদিত ভিসা প্রসেসিং সেন্টার কর্তৃক টাকার বিনিময়ে অ্যাপয়েন্টমেন্ট প্রদান ও ভিসার ডেলিভারি বিষয়ে অনিয়ম ও দুর্নীতি মাধ্যমে শত কোটি টাকা প্রতারণার মাধ্যমে হাতিয়ে নেওয়া হয়েছে। যার কোনো সুবিচার কেউ পায়নি। ইতিমধ্যে ইতালিয়ান দূতাবাস ও ভিসা প্রসেসিং সেন্টারের সঙ্গে বারবার যোগাযোগ করার পরেও তারা তাদের কোনো কথা রক্ষা করেন নাই। ভিসা প্রদানে কোনো অগ্রগতি নেই। একজন অভিবাসী কর্মী ১২ থেকে ২৪ মাস পর্যন্ত কাজের অপেক্ষামান থাকা, আয় রোজগার না থাকা, বিদেশে যাত্রার প্রয়োজনে লাখ লাখ টাকা বিনিয়োগ করে ওয়ার্ক পারমিট পাওয়ার পরেও ভিসা না পাওয়ায় আর্থিক ক্ষতিসহ মানবেতর জীবনযাপন করছে বলে জানান তারা।
এসময় উপস্থিত ছিলেন, বাংলাদেশ মাইগ্রেশন ডেভেলপমেন্ট ফোরামের (বিএমডিএফ) সভাপতি খায়রুজ্জামান কামাল, সাধারণ সম্পাদক, সামসুন নাহার আজিজ লীনা, যুগ্মসাধারণ সম্পাদক, জয়নাল আবেদীন জয়, বাংলাদেশর প্রবাসী উন্নয়ন সমিতির নির্বাহী পরিচালক, শাহ মোহাম্মদ তাইফুর রহমান ছোটন, লিগ্যাল এইড সার্ভিস ফর মাইগ্রেন্ট ওয়ার্কার পরিচালক, অ্যাডভোকেট কামরুজ্জামান। এছাড়াও অনুষ্ঠানে ভুক্তভোগী অনেকে তাদের বক্তব্য তুলে ধরেন।