পদত্যাগ করতে যাচ্ছে হাবিবুল আউয়ালের কমিশন
যুগান্তর প্রতিবেদন
প্রকাশ: ০৪ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০৪:৩১ পিএম
ছাত্র–জনতার বিক্ষোভের মুখে অবশেষে পদত্যাগের সিদ্ধান্ত নিয়েছে নির্বাচন কমিশন। এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত জানাতে বৃহস্পতিবার বিশেষ সংবাদ সম্মেলন ডেকেছে প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়াল নেতৃত্বাধীন ইসি।
বৃহস্পতিবার বেলা ১২টায় ইসিতে এ সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হবে বলে জানিয়েছেন সিইসি।
এর আগে বুধবার দুপুরে রাজধানীর আগারগাঁওয়ে নির্বাচন ভবনে প্রধান নির্বাচন কমিশনারের কক্ষে কমিশনারদের নিয়ে ঘণ্টাব্যাপী রুদ্ধদ্বার বৈঠক করেন সিইসি কাজী হাবিবুল আওয়াল।
বৈঠক শেষে তার পদত্যাগের বিষয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে সিইসি বলেন, পদত্যাগের বিষয়টি বৃহস্পতিবার জানাবো। দুপুর ১২টায় সংবাদ সম্মেলন করে সবকিছু জানানো হবে।
রাষ্ট্রপতির সঙ্গে কবে দেখা করবেন জানতে চাইলে তিনি বলেন, কালকে (বৃহস্পতিবার) রাষ্ট্রপতির সঙ্গে দেখা করতে যাব।
এদিকে ইসির একটি সূত্র জানিয়েছে, প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়াল ও চার কমিশনার পদত্যাগের প্রস্তুতি নিচ্ছেন। আগামীকাল সংবাদ সম্মেলনে পদত্যাগের ঘোষণা দিতে চান সিইসি। তবে সংবাদ সম্মেলনে দ্বিমত আছে নির্বাচন কমিশনারদের।
তবে ওই দিনই রাষ্ট্রপতি বরাবর পদত্যাগপত্র পাঠাবেন তারা।
২০২২ সালের ২৬ ফেব্রুয়ারি সিইসি হিসেবে নিয়োগ পান সাবেক সিনিয়র সচিব কাজী হাবিবুল আউয়াল। কমিশনের অন্য সদস্যরা হলেন- অবসরপ্রাপ্ত জেলা ও দায়রা জজ বেগম রাশিদা সুলতানা, অবসরপ্রাপ্ত ব্রিগেডিয়ার জেনারেল আহসান হাবীব খান, অবসরপ্রাপ্ত সিনিয়র সচিব মো. আলমগীর ও অবসরপ্রাপ্ত সিনিয়র সচিব আনিছুর রহমান। নিয়োগের একদিন পর তৎকালীন প্রধান বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকীর কাছে শপথ নেন তারা।
এ কমিশনের অধীনেই দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। অবশ্য সেই নির্বাচন বর্জন করে বিএনপি ও তাদের সমমনা রাজনৈতিক দলগুলো।
অন্যদিকে হাবিবুল আউয়াল নেতৃত্বাধীন নির্বাচন কমিশনের পদত্যাগের দাবিতে ইসি সচিবালয়ের সামনে বিক্ষোভ করে ছাত্র-জনতা। বুধবার বেলা ১২টার দিকে তারা এ বিক্ষোভ করেন। তবে মূল গেট বন্ধ করে দেওয়ার কারণে ভেতরে ঢুকতে পারেনি বিক্ষোভকারীরা।
বিক্ষোভে নির্বাচন কমিশনের পদত্যাগের পাশাপাশি সাবেক প্রধান নির্বাচন কমিশনার এম নুরুল হুদা ও রকিব উদ্দিন আহমেদের বিচার চাওয়া হয়।
বেশ কয়েকদিন ধরেই মানসিকভাবে পদত্যাগের প্রস্তুতি নিচ্ছেন নির্বাচন কমিশনাররা। বর্তমানে সিইসিসহ অন্য কমিশনারেরা অফিস করলেও তাদের পদত্যাগের প্রস্তুতিই প্রাধান্য পাচ্ছে বলে জানা গেছে।