বন্যায় মৃত্যু বেড়ে ৫৪, ক্ষতিগ্রস্ত ৫৪ লাখ মানুষ
যুগান্তর প্রতিবেদন
প্রকাশ: ৩০ আগস্ট ২০২৪, ০৫:২২ পিএম
ফাইল ছবি
দেশের দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চলে চলমান বন্যায় ১১ জেলায় মৃতের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৫৪। সেই সঙ্গে পানিবন্দি অবস্থায় রয়েছে প্রায় ১০ লাখ ৯ হাজার ৫২২ পরিবার। ক্ষতিগ্রস্ত মানুষের সংখ্যা ৫৪ লাখ ৬৪ হাজার ১৬৭।
শুক্রবার দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয় থেকে পাঠানো এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে, দেশের পূর্বাঞ্চল এবং দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চলে বন্যায় এখন পর্যন্ত ১১ জেলায় ৫৪ জনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে। প্রায় ১০ লাখ ৯ হাজার ৫২২টি পরিবার পানিবন্দি হয়ে পড়েছে।
বন্যা আক্রান্ত জেলাগুলো হলো- ফেনী, কুমিল্লা, চট্টগ্রাম, খাগড়াছড়ি, নোয়াখালী, মৌলভীবাজার, হবিগঞ্জ, ব্রাহ্মণবাড়িয়া, সিলেট, লক্ষ্মীপুর ও কক্সবাজার। সার্বিকভাবে দেশের বন্যা পরিস্থিতির উন্নতি হয়েছে। ফলে আশ্রয়কেন্দ্র থেকে মানুষ নিজ নিজ বাড়িঘরে ফিরতে শুরু করেছে। বন্যাদুর্গত এলাকায় যোগাযোগ ব্যবস্থা স্বাভাবিক হয়েছে।
মন্ত্রণালয়ের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, এবারের বন্যায় ৪টি উপজেলা প্লাবিত হয়েছে এবং ক্ষতিগ্রস্ত ইউনিয়ন বা পৌরসভা ৪৮৬টি। ১১ জেলায় মোট ১০ লাখ ৯ হাজার ৫২২টি পরিবার পানিবন্দি হয়ে পড়েছে, ক্ষতিগ্রস্ত লোকসংখ্যা ৫৪ লাখ ৬৪ হাজার ১৬৭ জন।
মন্ত্রণালয় জানায়, চলমান বন্যায় মারা গেছে এখন পর্যন্ত ৫৪ জন। এর মধ্যে পুরুষ ৪১, নারী ৬ ও শিশু ৭। জেলাভিত্তিক মারা গেছে কুমিল্লা ১৪, ফেনী ১৯, চট্টগ্রাম ৬, খাগড়াছড়ি ১, নোয়াখালী ৮, ব্রাহ্মণবাড়িয়া ১, লক্ষ্মীপুর ১, কক্সবাজার ৩ জন ও মৌলভীবাজার ১ জন। এখনো মৌলভীবাজারে নিখোঁজ রয়েছে একজন।
জানা গেছে, চলমান বন্যায় পানিবন্দি ও ক্ষতিগ্রস্ত লোকদের আশ্রয় দেওয়ার জন্য মোট ৩ হাজার ২৬৯টি আশ্রয়কেন্দ্র খোলা হয়েছে। আশ্রয়কেন্দ্রগুলোতে মোট ৪ লাখ ৬৯ হাজার ৬৮৭ জন আশ্রয় নিয়েছেন। ৩৮ হাজার ১৯২টি গবাদিপশু আশ্রয়কেন্দ্রে নেওয়া হয়েছে। এছাড়া ১১ জেলায় ক্ষতিগ্রস্তদের চিকিৎসাসেবা দানের জন্য মোট ৫৬৭টি মেডিকেল টিম চালু রয়েছে।
সশস্ত্র বাহিনী কর্তৃক বন্যাদুর্গত এলাকায় ১ লাখ ৯৪ হাজার ২৮৫ প্যাকেট ত্রাণ, ১৯ হাজার ২৬০ প্যাকেট রান্না করা খাবার বিতরণ করা হয়েছে। মোট ৪২ হাজার ৭৬৬ জনকে উদ্ধার করা হয়েছে এবং ১৮ হাজার ৩৮৯ জনকে স্বাস্থ্যসেবা দেওয়া হয়েছে।
এছাড়া হেলিকপ্টারের মাধ্যমে ১৫৩ জনকে উদ্ধার করে স্বাস্থ্যসেবা দেওয়া হয়েছে। এছাড়া সশস্ত্রবাহিনী কর্তৃক পরিচালিত মোট ২৪টি ক্যাম্প এবং ১৮টি মেডিকেল টিম বন্যা উপদ্রুত এলাকায় চিকিৎসাসেবা দিয়েছে।