পেট্রোবাংলার তোলপাড় করা পদোন্নতির আদেশ নিয়ে যা জানা গেল
![Icon](https://cdn.jugantor.com/uploads/settings/icon_2.jpg)
যুগান্তর ডেস্ক
প্রকাশ: ২৯ আগস্ট ২০২৪, ১১:০৩ এএম
![পেট্রোবাংলার তোলপাড় করা পদোন্নতির আদেশ নিয়ে যা জানা গেল](https://cdn.jugantor.com/assets/news_photos/2024/08/29/image-844355-1724907777.jpg)
ছবি সংগৃহীত
বাংলাদেশ তেল, গ্যাস ও খনিজ সম্পদ করপোরেশনের (পেট্রোবাংলা) পাঁচজন অফিস সহকারী (পিয়ন) থেকে সরাসরি সহকারী ব্যবস্থাপক পদে পদোন্নতি পেয়েছেন। নজিরবিহীন এ পদোন্নতির ঘটনা সামাজিক মাধ্যমে ব্যাপক সমালোচনার জন্ম দিয়েছে।
পিয়ন থেকে সরাসরি সহকারী ব্যবস্থাপক (প্রশাসন) পদে পদোন্নতিপ্রাপ্ত ব্যক্তিরা হলেন- বেগম খন্দকার সাবিউন নাহার, মো. সেলিম, মো. আবু তাহের তালুকদার, বেগম আয়েশা আক্তার খাতুন ও মো. গিয়াস উদ্দিন।
১৩তম গ্রেড থেকে সরাসরি ৯ম গ্রেডে পদোন্নতির ঘটনাটি সংশ্লিষ্ট মহলে তৈরি করেছে আলোচনা, উঠছে স্বচ্ছতা নিয়ে প্রশ্ন। আদৌ পেট্রোবাংলার এ পদোন্নতি কতটুকু যৌক্তিক?
এ নিয়ে পেট্রোবাংলা সূত্রের দাবি, যথাযথ নিয়ম মেনেই পদোন্নতি প্রদান করা হয়েছে।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, পেট্রোবাংলার চাকরি প্রবিধানমালা ১৯৮৮ এবং ২০০৮ সালের সাংগঠনিক কাঠামো অনুযায়ী ১৩তম গ্রেডে ন্যূনতম চাকরিকাল ১২ বছর হলে তিনি সহকারী ব্যবস্থাপক পদে পদোন্নতির যোগ্য হবেন। পেট্রোবাংলায় ১২তম, ১১তম ও ১০ম গ্রেড নেই। তাই ১৩তম গ্রেড থেকে কেউ পদোন্নতি হলে সেটা সরাসরি ৯ম গ্রেডেই যায়।
পেট্রোবাংলার পদোন্নতির মানদণ্ড ও নীতিমালা ২০১৬ অনুযায়ী প্রতিষ্ঠানটি একটি কমিটি গঠন করে কমিটির মাধ্যমে উল্লিখিত কর্মচারীদের শিক্ষাগত যোগ্যতা, শেষ ১২ বছরের এসিআর নম্বর, অভিজ্ঞতা, শৃঙ্খলা, চাকরিজীবনের অর্জন ও সার্বিক সুনাম প্রভৃতি মানদণ্ড মূল্যায়ন করে তাদেরকে পদোন্নতিযোগ্য হিসেবে বিবেচনা করে।
একজন কর্মকর্তা জানিয়েছেন, ‘১৯৮৮ সালের চাকরির বিধিমালা অনুসারে এসব প্রার্থীকে পদোন্নতি দেওয়া হয়েছে। এর আগেও অনেকে এভাবে পদোন্নতি পেয়েছেন।’