হাসিনা সরকারের পতনের আগে সবচেয়ে যেকজন আলোচনায় ছিলেন। গণমাধ্যমকে চাপে রাখা এবং আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের নিয়ে নানান সময় কটূক্তি ও অভিযোগ করেছেন তারমধ্যে অন্যতম ছিলেন সাবেক তথ্য ও সম্প্রচার প্রতিমন্ত্রী মোহাম্মদ আলী আরাফাত। গতকাল (মঙ্গলবার) আটক হয়েছেন বলে খবর ছড়িয়ে পড়লেও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর দায়িত্বশীল কেউ এর সত্যতা নিশ্চিত করেননি। তিনি আটক নাকি আটক নন তা নিয়ে ধূম্রজাল সৃষ্টি হয়েছে।
এ ব্যাপারে জানতে চাইলে ডিএমপি থেকে জানানো হয়- ডিবি পুলিশের পক্ষ থেকে আরাফাতকে আটক করা হয়নি। অন্য কোনো বাহিনী কর্তৃক আটক হয়েছেন কি না তাও নিশ্চিত করেনি কেউ। একইভাবে আটকের বিষয়টি অস্বীকার করেছেন গুলশান বিভাগের উপ-কমিশনার।
অথচ বিভিন্ন গণমাধ্যমের খবরে বলা হয়, মঙ্গলবার রাজধানীর গুলশান এলাকা থেকে আলী আরাফাতকে আটক করা হয়।
কোটা সংস্কার আন্দোলন চলাকালে কবি নজরুল সরকারি কলেজের শিক্ষার্থী তাহিদুল ইসলাম নিহতের ঘটনায় দায়ের করা মামলার আসামি তিনি। সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ আরও ৪৬ জন ওই মামলার আসামি। এটি ছাড়াও আরও কয়েকটি মামলার আসামি আরাফাত।
শেখ হাসিনার পতনের পর গত ১২ আগস্ট আরাফাত, তার স্ত্রী ও তাদের মালিকানাধীন ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের ব্যাংক হিসাবের লেনদেন স্থগিত করার আদেশ দেয় বাংলাদেশ ব্যাংকের আর্থিক গোয়েন্দা বিভাগ। সব ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানের কাছে এই নির্দেশনা পাঠানো হয়।
এর আগে গত ১৪ আগস্টও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে, আরাফাত ঢাকায় ফরাসি দূতাবাসে লুকিয়ে রয়েছেন। পরে অবশ্য দূতাবাস জানায়, সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে গুজব প্রচার করা হচ্ছে। এটি সম্পূর্ণ মিথ্যা।