আ.লীগ নিষিদ্ধের রিট খারিজ চাইলেন অ্যাটর্নি জেনারেল
যুগান্তর প্রতিবেদন
প্রকাশ: ২৭ আগস্ট ২০২৪, ০৫:০২ পিএম
অ্যাটর্নি জেনারেল অ্যাডভোকেট মো. আসাদুজ্জামান। ছবি: সংগৃহীত
আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ চেয়ে করা রিট সরাসরি খারিজ চেয়েছেন রাষ্ট্রের প্রধান আইন কর্মকর্তা অ্যাটর্নি জেনারেল অ্যাডভোকেট মো. আসাদুজ্জামান। মঙ্গলবার বিচারপতি একেএম আসাদুজ্জামান ও বিচারপতি মুহাম্মদ মাহবুব উল ইসলামের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চে রিটের ওপর শুনানি হয়।
শুনানিকালে অ্যাটর্নি জেনারেল আদালতকে বলেন, অন্তর্বর্তী সরকারের কোনো সিদ্ধান্ত নেই রাজনৈতিক দল নিষিদ্ধের। সংবিধানে রাজনৈতিক দল পরিচালনার যে ক্ষমতা দেওয়া হয়েছে, তা খর্ব করবে না সরকার। বিগত কর্তৃত্ববাদী সরকারের অনেক অন্যায়-অবিচারের শিকার হয়েছে মানুষ। সেগুলোর বিচারের জন্য আইন ও আদালত রয়েছে। তবে আওয়ামী লীগের যারা নেতাকর্মী রয়েছেন তারা দলের মতাদর্শ ধারণ করেন। এজন্য দল নিষিদ্ধ করার সুযোগ নেই।
রিট প্রসঙ্গে অ্যাটর্নি জেনারেল বলেন, যিনি রিট করেছেন তার কোনো এখতিয়ার নেই এটা করার। রিটে আওয়ামী লীগকে বিবাদী করা হয়নি। সারডা নামের সংগঠন যে রিট করেছে তার গঠনতন্ত্রও এ ধরনের রিট করার অনুমোদন দেয় না।
তিনি বলেন, অতীতে অনেক রাজনৈতিক বিষয়কে কোর্টে টেনে আনা হয়েছে। এর মূল্য দিতে হয়েছে আমাদের। যে গণঅভ্যুত্থানটি হয়েছে তা বিচার বিভাগের ওপরও এসেছে। কোর্টে কোনো ঘটনা হলে আইনজীবী হিসেবে আমার ভেতরে রক্তক্ষরণ হয়। এজন্য মাঠের রাজনীতি মাঠেই থাকুক। সেজন্য রিট সরাসরি খারিজ করে আবেদনকারীর ওপর কস্ট (খরচ) আরোপ করা হোক।
পরে রিটকারী সময় চাইলে আগামী ১ সেপ্টেম্বর আদেশের দিন ধার্য করেন হাইকোর্ট।
গত ১৯ আগস্ট ছাত্র-জনতাকে হত্যার দায়ে আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ ও দল হিসেবে তাদের নিবন্ধন বাতিল চেয়ে হাইকোর্টে রিট করা হয়। একই সঙ্গে রিট আবেদনে শেখ হাসিনার নামে যেসব প্রতিষ্ঠান রয়েছে, সেগুলোর নাম পরিবর্তনও চাওয়া হয়। মানবাধিকার সংগঠন সারডা সোসাইটির পক্ষে নির্বাহী পরিচালক আরিফুর রহমান মুরাদ ভূঁইয়া রিটটি করেন।
রিটে দেশ সংস্কারের লক্ষ্যে বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকারের মেয়াদ সর্বনিম্ন তিন বছর চাওয়া হয়েছে। পাশাপাশি বিদেশে পাচার করা ১১ লাখ কোটি টাকা ফেরত আনতে এবং বিগত আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে চুক্তিভিত্তিক নিয়োগ পাওয়া কর্মকর্তাদের বদলির নির্দেশনা চাওয়া হয়।