ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) নতুন উপাচার্য হিসেবে নিয়োগ পেয়েছেন অধ্যাপক ড. নিয়াজ আহমেদ খান। ঢাবির ৩০তম উপাচার্য হিসেবে নিয়োগ পেলেন তিনি।
সোমবার বিশ্ববিদ্যালয়ের আচার্য ও রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন তাকে নিয়োগ দেন।
ড. নিয়াজ আহমেদ খান ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উন্নয়ন অধ্যয়ন বিভাগের অধ্যাপক এবং ইনডিপেনডেন্ট ইউনিভার্সিটি, বাংলাদেশের (আইইউবি) উপ-উপচার্য।
নিয়াজ আহমেদ খানের জন্ম ১৯৬৬ সালের ২৮ সেপ্টেম্বর চট্টগ্রামে। তার একমাত্র মেয়ের নাম ফাতিহা। তিনি চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাক্তন শিক্ষার্থী।
তিনি ১৯৮৬ সালে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের লোকপ্রশাসন বিভাগ থেকে ফার্স্ট ক্লাস ফার্স্ট হয়ে স্নাতক এবং ১৯৮৭ সালেও একই বিভাগ থেকে ফার্স্ট ক্লাস ফার্স্ট হয়ে স্নাতোকোত্তর সম্পন্ন করেছেন।
এর আগে তিনি কুমিল্লা মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষাবোর্ড থেকে এসএসসিতে মানবিক বিভাগ থেকে ফার্স্ট ডিভিশনে ফার্স্ট হয়েছেন। এইচএসসিতেও তিনি একই ফলাফল অর্জন করে চমক দেখিয়েছেন।
অধ্যাপক ড. নিয়াজ আহমেদ খান ন্যাশনাল ডিফেন্স কলেজ (এনডিসি) এবং ব্র্যাক ইনস্টিটিউট অব গভর্নেন্স অ্যান্ড ডেভেলপমেন্টের (বিআইজিডি) সিনিয়র একাডেমিক অ্যাডভাইজার। বাংলাদেশ ট্রপিক্যাল ফরেস্ট কনজারভেশন (অরণনায়ক) ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান। তিনি ইউনিভার্সিটি অব ওয়েলস সোয়ানসি এবং এশিয়ান ইনস্টিটিউট অফ টেকনোলজিতে উচ্চশিক্ষা ও গবেষণা করেছেন।
তার কর্মজীবনে বাংলাদেশ, থাইল্যান্ড এবং যুক্তরাজ্যে অর্জিত একাডেমিক এবং অনুশীলন উন্নয়ন ব্যবস্থাপনার অভিজ্ঞতার একটি সমৃদ্ধ মিশ্রণ প্রতিফলিত হয়। ইন্টারন্যাশনাল ইউনিয়ন ফর কনজারভেশন অব নেচার (বিশ্বের বৃহত্তম পরিবেশগত নেটওয়ার্ক সংস্থা) এর বাংলাদেশ কান্ট্রি রিপ্রেজেন্টেটিভ হিসেবে দায়িত্ব পালনের পাশাপাশি তার পূর্ববর্তী কয়েকটি পদের মধ্যে রয়েছে: সিনিয়র প্রোগ্রাম কো-অর্ডিনেটর, ইউএনডিপি-বাংলাদেশ; বন ও প্রাকৃতিক সম্পদ ব্যবস্থাপনা বিশেষজ্ঞ (আরইটিএ ৫৯০০), এশিয়ান ডেভেলপমেন্ট ব্যাংক (এডিবি), সাউথ এশিয়ান ফেলো, কুইন এলিজাবেথ হাউস, অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়; বিশিষ্ট ভিজিটিং গবেষক, কায়রোর আমেরিকান বিশ্ববিদ্যালয়; ব্যবস্থাপক (অপারেশন্স), পিকেএসএফ; এবং ডিস্টিংগুইশড ভিজিটিং প্রফেসর, এশিয়ান ইউনিভার্সিটি ফর উইমেন (এইউডব্লিউ)।
তিনি জাতীয় ও আন্তর্জাতিক জার্নাল এবং বইগুলোতে ১৬০ টিরও বেশি নিবন্ধ এবং বইয়ের অধ্যায় রচনায় অবদান রেখেছেন। তিনি নিয়মিতভাবে পরিবেশ ও টেকসই উন্নয়ন সম্পর্কিত উচ্চ প্যানেলযুক্ত সরকার এবং নাগরিক সমাজ কমিটিতে অবদান রাখেন এবং বাংলাদেশের প্রধান জাতীয় (বেসামরিক ও সামরিক) প্রতিষ্ঠানগুলোতে রিসোর্স পার্সন এবং একাডেমিক উপদেষ্টা হিসেবে কাজ করেন।