সাম্প্রতিক কয়েকটি ঘটনায় পুরনো উদ্বেগকে আবার নতুন করে হাজির করা হচ্ছে বলে মনে করে সম্প্রচার সাংবাদিকদের সংগঠন ব্রডকাস্ট জার্নালিস্ট সেন্টার (বিজেসি)। তাদের মতে, বিগত শাসনামলে নিপীড়নমূলক আইন ও কর্র্তৃত্ববাদী আচরণ, মালিকানার ধরন ইত্যাদি কারণে টেলিভিশন সাংবাদিকতা বাধাগ্রস্ত ও প্রশ্নবিদ্ধ হয়েছে। ছাত্র-জনতার সাম্প্রতিক অভ্যুত্থানের মধ্যে দিয়ে স্বাধীন সাংবাদিকতার ক্ষেত্র তৈরির আশা জেগেছে।
শনিবার এক বিবৃতিতে বিজেসির পক্ষ থেকে এসব কথা বলা হয়।
বিবৃতিতে বলা হয়, ‘একাত্তর টেলিভিশনের সাবেক বার্তাপ্রধান শাকিল আহমেদ ও বিশেষ প্রতিনিধি ফারজানা রুপাকে সম্প্রতি আটক করার পর তাদের বিরুদ্ধে হত্যার অভিযোগে মামলা ও রিমান্ডে নেওয়া হয়েছে। আটকের দিনই করা মামলার এজাহারে তাদের নাম ছিল না। অসংখ্য অজ্ঞাত আসামির মধ্যে তাদের নাম ঢুকিয়ে দেওয়া হয়।
এই দুজন সাংবাদিকতার অপব্যবহার বা কোনো দুর্নীতি করে থাকলে তার বিচার হতে পারে। কিন্তু দেখা যাচ্ছে, অপছন্দের কাউকে ফাঁসাতে গত শাসনামলে ব্যাপকভাবে ব্যবহৃত মানবাধিকারবিরোধী হয়রানিমূলক ব্যবস্থার প্রয়োগ এখনো অব্যাহত রয়েছে। সবশেষ ঘটনাটি ঘটেছে গত বৃহস্পতিবার (২২ আগস্ট), ছাত্র-জনতার আন্দোলনের সময় রাজধানীর যাত্রাবাড়ীতে গুলিতে শিক্ষার্থী নাঈম হাওলাদার নিহতের ঘটনায় করা হত্যা মামলায় শেখ হাসিনাসহ একাধিক সাবেক মন্ত্রী-এমপি, আওয়ামী লীগ, যুবলীগ, ছাত্রলীগ নেতা, পুলিশ ও র্যাব কর্মকর্তার সঙ্গে সাতজন সাংবাদিককেও আসামি করা হয়েছে।’
এতে বলা হয়, ‘দেশের সম্প্রচার মাধ্যমের সাংবাদিকদের প্রধান সংগঠন বিজেসি এ পরিস্থিতির অবসান ঘটিয়ে সাংবাদিকের নিরাপত্তা ও কাজের উপযুক্ত পরিবেশের দাবি জানিয়ে সরকারসহ সংশ্লিষ্ট সব পক্ষকে ভূমিকা নেওয়ার আহ্বান জানাচ্ছে এবং শাকিল আহমেদ ও ফারজানা রুপা যেন তাদের বিরুদ্ধে আনা অভিযোগের ব্যাপারে আইনি সহযোগিতা পেতে পারেন, তা নিশ্চিত করতে প্রধান উপদেষ্টা, আইন উপদেষ্টা এবং তথ্য ও সম্প্রচার উপদেষ্টার হস্তক্ষেপ কামনা করছে।’ পাশাপাশি রহস্যজনক কারণে দীর্ঘ এক যুগ ধরে ঝুলে থাকা সাংবাদিক দম্পতি সাগর-রুনি হত্যারও দ্রুত বিচার দাবি করেছে বিজেসি।