আটকের পর সেই দীপ্তির সঙ্গে দুর্ব্যবহার নিয়ে যা বললেন বিচারপতি মানিক
যুগান্তর প্রতিবেদন
প্রকাশ: ২৪ আগস্ট ২০২৪, ০১:৩৫ এএম
ভারতের পালানোর সময় শুক্রবার রাত ১০টার দিকে সিলেটের কানাইঘাট উপজেলার দনা সীমান্ত এলাকা থেকে সাবেক বিচারপতি এ এইচ এম শামসুদ্দিন চৌধুরী মানিক আটক করেছে বিজিবি।
এ সময় বিচারপতি মানিককে টকশোতে উপস্থাপিকা দীপ্তি চৌধুরীকে ‘রাজাকারের বাচ্চা’ বলার বিষয়ে জানতে চাওয়া হলে তিনি ওই ঘটনার জন্য ক্ষমা চেয়েছিলেন বলে জানান।
বিচারপতি মানিককে আটকের পর একটি ভিডিও সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে পড়েছে। ভিডিওতে দেখা যায়, বিজিবি সদস্যরা তার পরিচয় জানতে চান। নিজের পরিচয় স্বীকার করে মানিক বলেন, ‘আমি বিচারপতি মানিক’।
দেশ ছেড়ে পালাচ্ছিলেন কেন, এমন প্রশ্নের জবাবে মানিক বলেন, ‘প্রশাসনের ভয়ে আমি দেশ ছেড়ে পালানোর চেষ্টা করেছি’।
টকশোতে উপস্থাপিকা দীপ্তি চৌধুরীকে ‘রাজাকারের বাচ্চা’ কেন বলেছিলেন- জানতে চাইলে মানিক বলেন, ‘এটার জন্য ক্ষমাও চেয়েছি’।
সঙ্গে কী আছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, গতকাল আমার কাছে অনেক টাকা ছিল। আমাকে মেরে ৬০-৭০ লাখ টাকা নিয়ে গেছে দুজন ছোকরা। এখন আমার সঙ্গে ব্রিটিশ পাসপোর্ট, বাংলা পাসপোর্ট আর কিছু টাকা আছে।ডেবিট কার্ড ও ক্রেডিট কার্ড আছে।’
আজ কত টাকা কাছে আছে জানতে চাইলে মানিক বলেন, ৪০ হাজার টাকা। গতকাল ওরা আমার টাকাসহ মোবাইল নিয়ে গেছে।
কত টাকা কন্টাক্টে আসছেন- প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘১৫ হাজার টাকায় আসছিলাম। ওইটা আমি দিছি। পরে এই দুই ছেলে আমাকে মাইরা ধইরা সব টাকা নিয়া গেছে’।
কোথায় আপনাকে মারধর করা হয়েছে, বর্ডারে নাকি ভেতরে- এমন প্রশ্নের জবাবে বিচারপতি মানিক বলেন, ইন্ডিয়ার ভেতরে।
প্রসঙ্গত, এর আগে টকশোতে উপস্থাপিকা দীপ্তি চৌধুরীকে ‘রাজাকারের বাচ্চা’ বলে সম্বোধন ও অশালীন আচরণের ঘটনায় ক্ষমা চেয়েছিলেন সাবেক বিচারপতি এ এইচ এম শামসুদ্দিন চৌধুরী মানিক। একই সঙ্গে তিনি জনগণের কাছেও ক্ষমা প্রার্থনা করেন।
বিচারপতি মানিককে লিগ্যাল নোটিশ পাঠানোর পর সুপ্রিমকোর্টের জ্যেষ্ঠ আইনজীবী অ্যাডভোকেট ফাওজিয়া করিম ফিরোজের কাছে ১২ আগস্ট লিখিতভাবে ক্ষমা প্রার্থনা করেন।