ডিম, ব্রয়লার মুরগি ও মাছের বাজার স্থিতিশীল, কমেছে আলুর দাম
যুগান্তর প্রতিবেদন
প্রকাশ: ২৩ আগস্ট ২০২৪, ১২:৫৬ পিএম
নিত্যপ্রয়োজনীয় প্রায় প্রতিটি দ্রব্যের উচ্চমূল্যে দামে নাকাল নিম্ন ও মধ্যবিত্ত শ্রেণির মানুষ। আঁটসাঁট করে কোনো রকমে দিনাতিপাত করতে হচ্ছে তাদের। তবে কাঁচা বাজারে কয়েকটি পণ্যের দাম কিছুটা কমতে দেখে গেছে।
এরমধ্যে কাঁচা মরিচের দাম গত সপ্তাহের তুলনায় কেজিতে ৪০ থেকে ৬০ টাকার মতো কমেছে। সেই সঙ্গে কিছুটা কমেছে সোনালি মুরগি, আলু ও পেঁয়াজের দামও। তবে সবজির মধ্যে বেগুনের দাম বেড়েছে। আর ফার্মের মুরগির ডিম, ব্রয়লার মুরগি, মাছ ও অন্যান্য সবজি আগের দামেই স্থিতিশীল রয়েছে।
শুক্রবার সকালে সরেজমিনে রাজধানীর কয়েকটি এলাকার বাজার ঘুরে এবং ব্যবসায়ীদের সঙ্গে কথা বলে এসব তথ্য জানা গেছে।
বাজার ঘুরে দেখা গেছে, রাজধানীর কারওয়ান বাজার, মোহাম্মদপুর কৃষি মার্কেট ও টাউন হল বাজার এলাকার প্রায় প্রতিটি দোকানেই ব্রয়লার মুরগির মাংস বিক্রি হচ্ছে ১৬০ টাকা কেজিতে। শুধু ব্রয়লার নয়, পাকিস্তানি লেয়ার, সোনালি জাতের মুরগির দামও অনেকটা কমে এসেছে। প্রতি কেজি সোনালি জাতের মুরগি বিক্রি হচ্ছে ২৫০ থেকে ২৬০ টাকা, যা একমাস আগেও ছিল ৩০০ থেকে ৩১০ টাকা কেজি। এ ছাড়া, বাজারে পাকিস্তানি লেয়ার বিক্রি হচ্ছে ৩২০ টাকা কেজিতে।
বাজারে এখন প্রতি কেজি দেশি পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ১০০-১১০ টাকা দরে। আর এক কেজি আলুর দাম রাখা হচ্ছে ৫৫ টাকা। খুচরা বিক্রেতারা জানান, সপ্তাহের ব্যবধানে পেঁয়াজ কেজিতে ১০ টাকা ও আলু কেজিতে ৫ টাকা করে দাম কমেছে। এ ছাড়া বাজারে প্রতি কেজি রসুন ২০০ থেকে ২২০ টাকা, আদা ২৬০ থেকে
২৮০ টাকা, মোটা দানার মসুর ডাল ১১০ টাকা ও চিনি ১৩০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে।
গত সাত দিনে ব্রয়লার মুরগির দামে তেমন পরিবর্তন হয়নি। তবে কমেছে সোনালি মুরগির দাম। গতকাল প্রতি কেজি ব্রয়লার মুরগি ১৭০ টাকা ও সোনালি মুরগি ২৫০ থেকে ২৬০ টাকা দরে বিক্রি হয়েছে। এ ছাড়া ডজনপ্রতি ফার্মের মুরগির বাদামি ডিমের দাম রাখা হচ্ছে ১৫০ থেকে ১৫৫ টাকা।
এদিকে গত মাসের শুরুর দিকে বাজারে চালের দাম বাড়তে শুরু করে। তাতে খুচরা পর্যায়ে বিভিন্ন প্রকার চালের দাম কেজিতে ৪-৬ টাকা পর্যন্ত বেড়ে যায়। যেমন এক মাসের ব্যবধানে মিনিকেট চালের দাম ৬৪ টাকা থেকে বেড়ে ৭০ টাকা হয়েছে। মোহাম্মদপুরে চালের পাইকারি বিক্রেতা মো. নাজিম উদ্দিন বলেন, গত দুই দিনে পাইকারি পর্যায়ে কয়েক ধরনের চালের দাম সামান্য কমেছে। দাম আরও কমতে পারে। খুচরা পর্যায়ে দাম কমার প্রভাব পড়তে আরও কিছুটা সময় লাগতে পারে।
বাজারে মাছের দামে তেমন পরিবর্তন নেই। প্রতি কেজি রুই মাছ ৩০০-৩৩০ টাকা, তেলাপিয়া ২০০-২২০ টাকা, পাঙাশ ২০০ টাকা, কই ২৫০ টাকা, পাবদা ৪০০-৫০০ টাকা ও চিংড়ি ৬৫০-৭০০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। এগুলো সবই চাষের মাছ। এ ছাড়া গরুর মাংস ৬৫০-৭৫০ টাকা এবং খাসি ১ হাজার টাকা কেজি দরে বিক্রি হয়েছে।
বাজার ঘুরে দেখা গেছে, বিভিন্ন সবজির মধ্যে দাম বেড়েছে বেগুনের। প্রতি কেজি বেগুনে ২০-৪০ টাকা পর্যন্ত দাম বেড়ে বিক্রি হচ্ছে ৯০-১২০ টাকা দরে। তবে অন্যান্য সবজির দাম মোটামুটি স্থিতিশীল রয়েছে।