২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলার পুনঃতদন্ত ও বিচার হওয়া উচিত: ব্যারিস্টার মাহবুব উদ্দিন খোকন
যুগান্তর প্রতিবেদন
প্রকাশ: ২০ আগস্ট ২০২৪, ১০:২৬ পিএম
ব্যারিস্টার মাহবুব উদ্দিন খোকন। ছবি: সংগৃহীত
বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা ও সুপ্রিমকোর্ট আইনজীবী সমিতির সভাপতি ব্যারিস্টার এএম মাহবুব উদ্দিন খোকন ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলা মামলার পুনঃতদন্ত ও পুনঃবিচার দাবি করেছেন। তিনি বলেছেন, ন্যায় বিচারের স্বার্থে এ ঘটনায় জড়িত প্রকৃত আসামিদের বিচারের আওতায় আনা জরুরি। মঙ্গলবার দুপুরে সুপ্রিমকোর্টে নিজ দফতরে তিনি সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন।
মাহবুব উদ্দিন খোকন বলেন, যারা হামলার ঘটনা ঘটিয়েছে, তারা কিন্তু শেখ হাসিনাকে হত্যা করতে চায়নি। তারা চেয়েছিল, দেশে অস্থিতিশীলতা সৃষ্টি করতে। বিএনপি সরকার যেন ক্ষমতায় না থাকতে পারে। এই অস্থিতিশীলতার পরিস্থিতি তৈরি করায় পরবর্তীতে এক-এগারো সরকার আসলো।
তিনি বলেন, এ ঘটনার সঙ্গে সাবেক সেনা প্রধান মঈন ইউ আহমেদ ও ড. ফখরুদ্দিন আহমদ জড়িত থাকতে পারেন। মূলত এক-এগারো সৃষ্টি করার জন্যই ২১ আগস্টের ঘটনা ঘটেছে। যা দুঃখজনক ও ন্যক্কারজনক।
মাহবুব উদ্দিন খোকন বলেন, এ মামলায় নজিরবিহীনভাবে রাজনৈতিক দলের নেতাদের আসামি করা হয়। আসামি মুফতি হান্নান প্রথমে ১৬৪ ধারায় জবানবন্দিতে অন্যদের নাম বলেছে। পরবর্তীতে আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসার পর এ মামলায় ৬৬টি সাক্ষী হওয়ার পর
বিএনপির আমলে বরখাস্ত পুলিশ কর্মকর্তা আব্দুল কাহার আকন্দকে পুনঃনিয়োগ দেয় সরকার। এ সময় তাকে এ মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা হিসাবে দায়িত্ব দেওয়া হয়।
তিনি বলেন, এই কর্মকর্তা প্রতিহিংসাবসত মুফতি হান্নানকে ফের রিমান্ডে নিয়ে ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি আদায় করে। দ্বিতীয়বার জবানবন্দিতে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানসহ রাজনৈতিক ব্যক্তিদের এ মামলায় জড়ানো হয়।
মাহবুব উদ্দিন খোকন বলেন, ট্রায়ালের শেষ পর্যায়ে আসামিদের একটা বক্তব্য থাকে। আওয়ামী লীগ সরকার ধারণা করেছিল, তারেক রহমানসহ অন্যদের রাজনৈতিক কারণে এ মামলায় জড়ানো হয়েছে, যা মুফতি হান্নান আদালতে বলে ফেলবে। সেই কারণেই ওই বক্তব্য দেওয়ার আগে মুফতি হান্নানকে অন্য একটি মামলায় মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করে। আমি মনে করি, এই মামলা পুনঃতদন্ত সাপেক্ষে পুনঃবিচার হওয়া উচিত। প্রকৃত যারা এ ঘটনায় জড়িত ছিলেন, তাদের আইনের আওতায় এনে বিচার করা দরকার।