Logo
Logo
×

জাতীয়

খাদ্য বিভাগের বৈষম্য দূর করাসহ ৯ দাবি কর্মচারীদের

Icon

যুগান্তর প্রতিবেদন

প্রকাশ: ১৮ আগস্ট ২০২৪, ০৭:৩৬ পিএম

খাদ্য বিভাগের বৈষম্য দূর করাসহ ৯ দাবি কর্মচারীদের

খাদ্য বিভাগে কর্মরত কর্মকর্তা-কর্মচারীদের মধ্যে বিদ্যমান বৈষম্য দূর করা এবং শেখ হাসিনা ন্যাশনাল ইমার্জেন্সি অপারেশন সেন্টার নামে অধিগ্ৰহণ করা তেজগাঁও সিএসডির জায়গা খাদ্য বিভাগকে ফেরত দেওয়ার দাবি জানিয়ে মানববন্ধন ও প্রতিবাদ সভা করেছে বৈষম্যবিরোধী খাদ্য অধিদপ্তরাধীন নন-ক্যাডার কর্মকর্তা ও কর্মচারী ঐক্য পরিষদ। 

প্রতিবাদ সভা শেষে খাদ্য মন্ত্রণালয়ের সচিব বরাবর বিগত স্বৈরশাসকের ১৬ বছরে সৃষ্ট বিভিন্ন বৈষম্য তুলে ধরে ৯ দফা দাবি সম্বলিত স্মারকলিপি দেওয়া হয়। 

রোববার রাজধানীর আব্দুল গনি রোডের খাদ্য অধিদপ্তরের সামনে ওই মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করা হয়। এতে বক্তৃতা করেন- খাদ্য পরিদর্শক সমিতির সভাপতি আব্দুর রহমান খান, খাদ্য কর্মচারী পরিষদের সভাপতি মুক্তাদির রহমান, সাংগঠনিক সম্পাদক জাহিদুল ইসলাম, উপজেলা খাদ্য কর্মকর্তা মো. মকলেচ আল-আমিন, উত্তম কুমার দাস ও খাদ্য কর্মচারী পরিষদের মহিলা সম্পাদিকা তাছলিমা আক্তার প্রমুখ।

বক্তারা বলেন, খাদ্য অধিদপ্তরাধীন বিভিন্ন স্তরের কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের পদমর্যাদা, বেতন স্কেল, পদোন্নতি এবং দলীয় বিবেচনায় পদায়নের বৈষম্যসহ রাষ্ট্রীয় পৃষ্ঠপোষকতায় সব বৈষম্য, অনিয়ম ও দুর্নীতি বন্ধ করতে হবে।

তারা বলেন, সাবেক মন্ত্রী ও তার আত্মীয় স্বজনের বদলি বাণিজ্যের মাধ্যমে বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনায় দলীয় বিবেচনায় নীতিমালা বহির্ভূত যেসব পদায়ন আদেশ করা হয়েছে-তা বাতিল করে তদস্থলে যোগ্য, দক্ষ ও বঞ্চিত কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের পদায়ন করতে হবে। 

খাদ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক পদে খাদ্য ক্যাডার হতে পদায়ন, উপজেলা পর্যায়ের প্রায় সব দপ্তরের অধিকাংশ পদই ক্যাডারভুক্ত হলেও উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক পদটি নন-ক্যাডার। পুলিশ পরিদর্শকগণ ১ম গ্রেডের হলেও খাদ্য পরিদর্শকরা ১০ম গ্রেডের। আদালতের রায়ে প্রধান সহকারী সমমান পদের ১১৮ জনকে ১০ম গ্রেড দেওয়া হয়। 

এসব পদের অবশিষ্ট পদধারীদের ১০ম গ্রেডে উন্নীত করার প্রস্তাব অর্থ মন্ত্রণালয়ে বিবেচনাধীন রয়েছে। উপ-খাদ্য পরিদর্শকদের ১০ম গ্রেডসহ অন্যান্য স্তরের কর্মচারীদের বেতন স্কেল আপগ্রেড করা প্রয়োজন। 

এছাড়া উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রকের শূণ্য পদগুলো দ্রুত পদোন্নতি বা চলতি দায়িত্বের ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি করা হয়। এছাড়া ‘মেগা প্রকল্প-মেগা দুর্নীতি’ এর লক্ষ্যে ‘শেখ হাসিনা ন্যাশনাল ইমারজেন্সি অপারেশন সেন্টার’-এর নামে অধিগ্রহণকৃত তেজগাঁও সিএসডির জায়গা খাদ্য বিভাগকে ফেরত প্রদান, ভেঙে ফেলা ঢাকা সিএসডি’র জায়গায় নতুন খাদ্য গুদাম নির্মাণের মাধ্যমে ঢাকা সিএসডি পুনরায় চালুকরণ, দুর্নীতির মাধ্যমে রাষ্ট্রীয় অর্থ লুটপাটের উদ্দেশ্যে অপ্রয়োজনীয় সব প্রকল্প বন্ধ করা ছাড়াও দলীয় বিবেচনার পরিবর্তে দক্ষতা, মেধা ও যোগ্যতার ভিত্তিতে পদোন্নতি ও পদায়নের দাবি করা হয়। 

এ সময় ৯ দফা দাবি তুলে ধরেন তারা। তাদের দাবিগুলো হলো- উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক পদটি খাদ্য ক্যাডারভুক্তকরণ, খাদ্য পরিদর্শক ও সাইলো সুপারভাইজারদের ৯ম গ্রেড এবং অন্যান্য পদের বেতনগ্রেড উন্নীতকরণ। আন্ত:ক্যাডার বৈষম্য নিরসন এবং অতিরিক্ত পরিচালক ও উপ-পরিচালক পদের আপগ্রেডেশন। বদলি নীতিমালা সংশোধন ও দলীয় বিবেচনায় নীতিমালা বহির্ভূত বদলি বাতিলকরণ। নিয়োগ বিধি সংশোধনপূর্বক আউটসোসিংয়ের পরিবর্তে সরাসরি নিরাপত্তা প্রহরী নিয়োগ ও পদোন্নতির ক্ষেত্রে কোটা এবং ফিডার পদের চাকরিকালের বৈষম্য নিরসন। খাদ্য অধিদপ্তরের সর্বস্তরের কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের জন্য স্বল্পমূল্যে রেশন বরাদ্দ। 

প্রশিক্ষণের ক্ষেত্রে বৈষম্য নিরসন এবং সঞ্জীবনি প্রক্ষিণের ব্যবস্থা গ্রহণ। মেগা প্রকল্পের নামে মেগা দুর্নীতি বন্ধকরণ এবং ত্রাণ মন্ত্রণালয়কে দেওয়া তেজগাঁও সিএসডির জায়গা খাদ্য বিভাগকে ফেরত প্রদান। 

সাবেক মন্ত্রীর গম কেলেংকারির তদন্ত এবং অপ্রয়োজনীয় জিটুজির পরিবর্তে প্রতিযোগিতামূলক দরে খাদ্যশস্য ক্রয়। পুষ্টি চালের মিশ্রণ ও পরিবহণের নামে কোটি কোটি টাকার রাষ্ট্রীয় অর্থ অপচয় বন্ধকরণের দাবি জানানো হয়। 

এসব দাবি অবিলম্বে পূরণের আহবান জানানো হয়, অন্যথায় বৈষম্য নিরসন এবং দাবি আদায়ের লক্ষ্যে বৃহত্তর কর্মসূচি পালনের ঘোষণা দেওয়া হয়।
 

Jamuna Electronics

Logo

সম্পাদক : সাইফুল আলম

প্রকাশক : সালমা ইসলাম