‘২১ কর্মকর্তা কর্মচারীর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিচ্ছে আরইবি’ শিরোনামে ৮ আগস্ট যুগান্তরে প্রকাশিত সংবাদের প্রতিবাদ জানিয়েছেন পল্লী বিদ্যুতের বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের সমন্বয়ক ও এজিএম (ইঅ্যান্ডসি) প্রকৌশলী রাজন কুমার দাস।
প্রকাশিত সংবাদে পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির কর্মকর্তা-কর্মচারীদের বিরুদ্ধে মিথ্যা, বানোয়াট এবং আরইবির মনগড়া তথ্য উঠে এসেছে বলে প্রতিবাদপত্রে দাবি করা হয়েছে।
এতে আরও বলা হয়, আরইবির দুর্নীতির মাধ্যমে নিম্নমানের বৈদ্যুতিক মালামাল কিনে ভঙ্গুর বিতরণ ব্যবস্থা ও অবকাঠামো নির্মাণ করায় গ্রাহককে নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ সরবরাহ সম্ভব হয় না। এতে দেশের প্রায় ১৪ কোটি মানুষ দুর্ভোগের শিকার হচ্ছেন এবং সমিতির লাইনক্রুরা প্রাণ বিসর্জন দিচ্ছেন।
দেশের ৮০টি পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির ৪০ হাজার কর্মকর্তা/কর্মচারী আরইবির বৈষম্যে, শোষণ ও নির্যাতনে অতিষ্ট উল্লেখ করে প্রতিবাদপত্রে আরও বলা হয়, বিদ্যুৎ বিভাগ গত ৫ জুলাই সমিতির কর্মকর্তা-কর্মচারীদের সঙ্গে সভার আয়োজন করে। সভায় আরইবি-পবিস’র মধ্যে বৈষম্য নিরসনের সিদ্ধান্ত হয়।পাশাপাশি আধুনিক বিতরণ ব্যবস্থা বিনির্মাণে পল্লী বিদ্যুৎ সিস্টেম সংস্কারের লক্ষ্যে বিদ্যুৎ বিভাগ ১ আগস্ট ৯ সদস্য বিশিষ্ট কমিটি গঠন করে।
এছাড়া সমিতির কর্মকর্তা-কর্মচারীদের বিরুদ্ধে কোনো ধরনের হয়রানিমূলক ব্যবস্থা না নেওয়ার জন্য বাপবিবো-কে নির্দেশনা দেওয়া হয়। কিন্তু বাপবিবো সমিতির কর্মকর্তা-কর্মচারীদের ওপর শোষণ, নিপীড়ন অব্যাহত রেখেছে। বিদ্যুৎ বিভাগের নির্দেশনা উপেক্ষা করে তারা বিভিন্ন সমিতির কর্মকর্তাদের হয়রানিমূলক বদলি, বোর্ডের সহকারী প্রকৌশলী মাসুদ রানা (জয়পুরহাট) কর্তৃক সমিতির ডিজিএম প্রকৌশলী মো. বেলাল হোসেনকে প্রাণনাশের হুমকি দেওয়া হয়। সেই সঙ্গে হয়রানিমূলক বদলি আদেশ বাস্তবায়নের লক্ষ্যে সমিতির জিএমদেরকে চাপ প্রয়োগ করা হচ্ছে।
গত ৮ আগস্ট বাপবিবো সদর দপ্তরে পল্লী বিদ্যুতের লং মার্চ কর্মসূচি পালিত হয়। সেখানে আরইবি এবং সমিতির কর্মকর্তাদের এক সমন্বয় সভা হয়। সভায় প্রকাশিত সংবাদের বিষয়ে সমিতির কর্মকর্তাদের পক্ষ থেকে জানতে চাওয়া হলে এ বিষয়ে কিছু জানেন না মর্মে বাপবিবো চেয়ারম্যান, মেম্বারসহ অন্যান্য কর্মকর্তারা নিশ্চিত করেন বলেও প্রতিবাদপত্রে দাবি করা হয়।