Logo
Logo
×

জাতীয়

ডাকাত আতঙ্ক, রাত জেগে পাহারা দিচ্ছে ছাত্র-জনতা

Icon

যুগান্তর প্রতিবেদন

প্রকাশ: ১০ আগস্ট ২০২৪, ০২:৩৬ এএম

ডাকাত আতঙ্ক, রাত জেগে পাহারা দিচ্ছে ছাত্র-জনতা

ছবি: সংগৃহীত

রাজধানীসহ সারা দেশে রাত নামলেই ডাকাত আতঙ্কে ভোগেন মানুষ। তাই রাতভর পাহারাও দিচ্ছে ছাত্র-জনতা। কোনো এলাকায় ডাকাত প্রবেশের খবর পেলেই মসজিদ থেকে মাইকিং করে সতর্ক করা হয়। ডাকাতির সংবাদ পেলে এলাকাবাসী ফোন করেন সেনাবাহিনী ও বিজিবিকে। রাজধানীসহ দেশের বেশ কয়েকটি স্থানে ডাকাতিকালে অস্ত্রসহ বেশ কয়েকজনকে স্থানীয়রা আটক করে সেনাবাহিনীর কাছে হস্তান্তর করেছে। 

বৃহস্পতিবার দিবাগত রাত সাড়ে ১২টা থেকে রাজধানীর বাসাবো, নন্দীপাড়া, রামপুরা গোড়ান, বনশ্রী, শাঁখারীবাজার, কাঁঠালবাগান ও মিরপুর এলাকায় ডাকাত আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। এসব এলাকায় মসজিদে মাইকিং হয়েছে, সবাইকে সতর্ক করা হয়েছে। 
রাজধানীর কলাবাগান, পান্থপথ, কাঁঠালবাগান, ভুতের গলি এলাকায় ডাকাতের আগমনে মসজিদের মাইক থেকে সাবধান করা হয়। 

কাঁঠালবাগানে ডাকাতি করতে গিয়ে ১১ জন আটকের খবর পাওয়া গেছে। মিরপুরের মাজার রোড থেকে তিনজন ও শনির আখড়া থেকে একজন ডাকাতকে আটক করে স্থানীয়রা। ডাকাত আতঙ্ক নিয়ে বেশকিছু ভিডিও সামাজিকমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে। 
কমলাপুর কবি জসীমউদ্দীন রোডে ডাকাত দল হানা দিয়েছে। বাড্ডাতে মসজিদে মাইকিং করে ডাকাতের বিষয়ে সতর্ক করা হচ্ছে। রামপুরায় দুই ডাকাত ধরা পড়ার খবর পাওয়া গেছে। ডাকাত প্রতিরোধে কাজ করছেন গ্রিন রোডবাসী। অন্তত দুইশ’ মানুষ বাঁশি বাজিয়ে মিছিল করেন প্রতি রাতে। বাদ যায়নি পুরান ঢাকাও। শাঁখারীবাজার, তাঁতিবাজারে ডাকাতির খবর পাওয়া গেছে। সাতরওজা এলাকায় ডাকাত ধরতে এলাকাবাসী রাতে পাহারা দিচ্ছেন। 

বৃহস্পতিবার দিবাগত রাতে আব্দুল্লাহ আল মামুন নামে এক ব্যক্তি তার ফেসবুকে লেখেন, ‘রামপুরা এরিয়াতে ডাকাত বিভিন্ন দোকানপাটে লুট করছে, যারা আছেন হেল্প করুন।’ একই রাতে ধানমন্ডি এলাকা থেকে ফেসবুকে ডাকাতবিষয়ক পোস্ট দেন রিদম নাথ নামক একজন। তিনি লেখেন, তাদের বাড়ির ঠিক পাশের বিল্ডিংয়ে এক দল লোক এসে জিনিসপত্র লুট করে নিয়ে যায়। কিন্তু তখন এলাকার মানুষজন পাহারা দেওয়ায় সবাই টের পেয়ে যায় এবং ওদেরকে ধাওয়া করে।

জানা যায়, বৃহস্পতিবার রাতেও মোহাম্মদপুর, ধানমন্ডি, মিরপুর, রামপুরা এলাকায় ডাকাতির ঘটান ঘটে। এসময় মসজিদে মাইকিং ও সচেতনতামূলক কথা বলা হয়। এর আগের দুই রাতেও মোহাম্মদপুর এলাকায় ডাকাতি হয়েছে। আইনশৃঙ্খলা বাহিনী না থাকায় রাতে ডাকাতির ঘটনায় নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন এলাকাবাসী।

Jamuna Electronics

Logo

সম্পাদক : সাইফুল আলম

প্রকাশক : সালমা ইসলাম