ছবি: সংগৃহীত
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কর্মসূচি ‘মার্চ টু ঢাকা’য় সারা দিয়ে রাস্তায় নেমেছে আন্দোলনকারীরা। ঢাকার আশপাশের জেলা থেকেও ঢাকায় আসতে শুরু করেছে আন্দোলনকারীরা। কারফিউ অপেক্ষা করে রাস্তায় নামায় বিভিন্ন জায়গায় আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সঙ্গে সংঘর্ষ হয়েছে আন্দোলনকারীদের। এই অবস্থায় দুপুর ৩টায় দেশের সার্বিক পরিস্থিতি নিয়ে জাতির উদ্দেশে ভাষণ দেবেন সেনাপ্রধান ওয়াকার-উজ-জামান।
জাতির উদ্দেশে সেনাপ্রধানের ভাষণ দেওয়ার বিষয়টি এক বিবৃতিতে নিশ্চিত করেছে আইএসপিআর। প্রথমে সেনাপ্রধানের ভাষণের সময় দুপুর ২ টার কথা বলা হলেও পরবর্তীতে সেই সময় এক ঘণ্টা পিছিয়ে ৩টায় নেওয়া হয়। সেই সঙ্গে সেনাপ্রধানের ভাষণের আগ পর্যন্ত সকলকে ধৈর্য ধরার অনুরোধ জানানো হয়েছে।
এর আগে, রোববার বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে সংঘর্ষে ৯৯ জন নিহত হন। আহত হয়েছেন কয়েক শত মানুষ। এই অবস্থায় বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের সমন্বয়ক আসিফ মাহমুদ এক বিবৃতিতে ‘মার্চ টু ঢাকা’ কর্মসূচির আহ্বান জানান।
‘মার্চ টু ঢাকা’ কর্মসূচির বিপরীতে সরকার অনির্দিষ্টকালের কারফিউয়ের ঘোষণা দিয়েছে। একইসঙ্গে তিনদিনের (৫, ৬ ও ৭ আগস্ট) সাধারণ ছুটি ঘোষণা করেছে। সোমবার সকাল দেখেই রাজধানী ঢাকার বিভিন্ন মোড়ে সেনাবাহিনী ও অনন্য আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর উপস্থিতি লক্ষ্য করা গেছে। এরপরও রাস্তায় নামছে আন্দোলনকারীরা। বেশ কিছু জায়গায় সংঘর্ষেও জড়িয়েছে তারা।
এদিন দেশের পরিস্থিতি বিবেচনায় বেলা সাড়ে ১১টার দিকে ইন্টারনেট শাটডাউন করা হয়। পরে ২ ঘণ্টা পর ফের সচল করে দেওয়া হয় ইন্টারনেট। এর আগে, ইন্টারনেট সচল হওয়ার সাত দিনের মাথায় ফের গতকাল রোববার ফোর–জি নেটওয়ার্ক ফের বন্ধ করা হয়।