সচিবালয়ে উপস্থিতি কম, কর্মচারীদের মধ্যে আতঙ্ক
যুগান্তর প্রতিবেদন
প্রকাশ: ০৪ আগস্ট ২০২৪, ১০:৩৯ পিএম
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ডাকা অসহযোগ আন্দোলনের প্রথম দিনে রোববার প্রশাসনের প্রাণকেন্দ্র সচিবালয়ের কার্যক্রম প্রায় স্বাভাবিক থাকলেও বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের উপস্থিতি কম দেখা গেছে। মন্ত্রীদের উপস্থিতিও কম ছিল। অধিকাংশ মন্ত্রী-প্রতিমন্ত্রী অফিসে এলেও বেশ কয়েকজন অফিসে অনুপস্থিত ছিলেন।
স্বাস্থ্য ও পরিবারকল্যাণমন্ত্রী সামন্ত লাল সেন, প্রতিমন্ত্রী ডা. রোকেয়া সুলতানা, দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী মহিববুর রহমান এবং গৃহায়ণ ও গণপূর্তমন্ত্রী র অ ম স ওবায়দুল মোক্তাদির চৌধুরীকে সচিবালয়ে অফিস করতে দেখা গেছে। পক্ষান্তরে জনপ্রশাসনমন্ত্রী ফরহাদ হোসেন, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান, নারী ও শিশুবিষয়ক প্রতিমন্ত্রী সিমিন হোসেন রিমি, অর্থ প্রতিমন্ত্রী ওয়াসিকা আয়েশা খান অফিসে আসেননি।
এদিন মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের সচিবসহ সিনিয়র সচিব, সচিব, অতিরিক্ত সচিবসহ সব গ্রেডের কর্মকর্তরা সচিবালয়ে উপস্থিত ছিলেন। তবে অসহযোগ আন্দোলন ঘিরে সচিবালয়ের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের মধ্যে আতঙ্ক রয়েছে। তারা অনেকেই বলেছেন, অত্যন্ত ঝুঁকি নিয়ে তারা অফিসে এসেছেন। মনের মধ্যে সব সময় কি হয় কি হয়! অফিস শেষে কীভাবে বাড়ি যাবেন সেই চিন্তায় আছেন অনেকেই।
উপস্থিত কর্মকর্তাদের সচিব, অতিরিক্ত সচিব, মন্ত্রী ও প্রতিমন্ত্রীদের রুমে বসে খোশগল্প করতে দেখা গেছে। দেশের সর্বশেষ পরিস্থিতি নিয়ে সবাই ভাবছেন। বিভিন্ন দিকে থেকে ঘটনা বিশ্লেষণ করছেন। তাদের কথা একটাই আমরা নিরাপদে অফিসে আসতে-যেতে চাই। রাজনীতি আমাদের চ্যাপ্টার না।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ সরকারের পতনে সর্বাত্মক অসহযোগ আন্দোলনের কর্মসূচি ঘিরে রাজধানীজুড়ে সাধারণ মানুষের মধ্যেও আতঙ্ক-উৎকণ্ঠা বিরাজ করছে। সকাল থেকে বাস চলাচল প্রায় বন্ধ রয়েছে। এদিকে সরকারি কর্মচারীদের বহন করা সরকারি কর্মচারী কল্যাণ বোর্ডের বাসগুলো সকালে এসে কর্মচারীদের নামিয়ে দিয়ে গেছে। যারা নিজম্ব ব্যবস্থাপনায় অফিসে আসেন কিংবা ব্যক্তিগত গাড়ি নিয়ে আসেন তারা অনেকেই অফিসে আসতে পারেননি বলে বিভিন্ন মন্ত্রণালয় ঘুরে জানা গেছে। কাউকে কাউকে দেরিতে অফিসে আসতে দেখা গেছে।
বেলা সাড়ে ১১টায় সচিবালয়ে যুব ও ক্রীড়ামন্ত্রী নাজমুল হাসান পাপনের সংবাদ সম্মেলন থাকলেও তিনি আসেননি। অন্য বেশিরভাগ মন্ত্রী-প্রতিমন্ত্রীদের দপ্তরও ফাঁকা দেখা গেছে। সচিবালয়ে অন্যান্য দিনের মতো এদিন গাড়ির সংখ্যাও কম দেখা গেছে। শিক্ষার্থীদের আন্দোলন ঘিরে সচিবালয়ে নেওয়া হয়েছে বাড়তি নিরাপত্তা, সচিবালয়ে প্রবেশ এবং বের হওয়ার জন্য এক নম্বর গেট ছাড়া বাকি সব গেট বন্ধ রয়েছে। বেলা বাড়তেই সচিবালয়ের পেছনে প্রেস ক্লাবের রাস্তায় আন্দোলনকারীদের আনাগোনা বাড়ে। একপর্যায়ে পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষ বাধে তাদের।