কোটা সংস্কার আন্দোলনকে কেন্দ্র করে উত্তাল পুরো দেশ। আন্দোলনকে কেন্দ্র করে সংঘর্ষ ও গুলিতে দুই শতাধিক নিহত এবং পাঁচ হাজারের বেশি আহত হয়েছেন।
নিরাপত্তা পর্যবেক্ষক এবং মানবাধিকার কর্মীরা বলছেন, কোটা সংস্কার আন্দোলন দমন করতে যুদ্ধক্ষেত্রে ব্যবহৃত প্রাণঘাতী গুলির ব্যবহার হয়েছে।
নিরস্ত্র আন্দোলনকারীদের দমন করতে বাংলাদেশের ইতিহাসে এত বেশি শক্তি প্রয়োগের বিষয়টিকে অনেকেই নজিরবিহীন ঘটনা হিসেবে উল্লেখ করেছেন।
রংপুরে আহত পেশাজীবী লিওনুর ইসলাম লিওন অভিযোগ করেন, শুক্রবার বোনের বিয়ের জন্য ময়মসিংহ থেকে রংপুরে গিয়েছিলাম। বাড়ির কাছাকাছি যাওয়ার পর পুলিশ আমাকে গুলি করে।
‘আমরা ইন্টারনেট বন্ধ করিনি, বন্ধের নির্দেশও দেইনি’
আন্দোলনের সময় এলাকার এইচএসসি পরীক্ষার্থী কয়েকজনকে পুলিশ ধরে নিচ্ছে দেখে তিনি পুলিশের সঙ্গে কথা বলতে গিয়েছিলেন, তখন তার পায়ে গুলি করা হয়।
তিনি বলেন, ‘পিকেটার হিসেবে আমি দৌড়াইনি, পালাইনি। আমি জাস্ট সামনাসামনি কথা বলতেছি। পেছন থেকে একজন বলতেছে স্যার ও লিডার হইতে পারে। বলেই আমার পায়ে বন্দুক ঠেকিয়ে শুট করে।’
বাংলাদেশে কোটা আন্দোলন থেকে সহিংস পরিস্থিতি সৃষ্টি হলে পুলিশ, র্যাব, বিজিবি, এপিবিএন এবং আনসার সব বাহিনীকে মাঠে নামানো হয়। এ আন্দোলনের সময় ব্যাপকভাবে হেলিকপ্টার ব্যবহার করা হয়েছে। হেলিকপ্টার থেকে সাউন্ড গ্রেনেড ও টিয়ারশেল নিক্ষেপ করতে দেখা গেছে।
সূত্র: বিবিসি