কোটা সংস্কার আন্দোলন কেন্দ্র করে ক্রমেই বাড়ছে উত্তেজনা। প্রায় প্রতিদিনই বাড়ছে মৃত্যুর সংখ্যা। গ্রেফতার হচ্ছেন শত শত  শিক্ষার্থী। এরই মধ্যে নিহতের সংখ্যা ছাড়িয়ে গেছে দুশর ঘর। কোটা সংস্কার ও বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়কদের তুলে নেওয়া হচ্ছে। জোর করে দেওয়ানো হচ্ছে বিবৃতিও, যা নিয়েই এবার মুখ খুলেছেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক হাসনাত আবদুল্লাহ।

শনিবার ফেসবুকে এক ভিডিওবার্তা দিয়ে সাধারণ শিক্ষার্থীদের উদ্দেশে তিনি বলেছেন, আন্দোলন বন্ধের সিদ্ধান্ত নেবে ছাত্র-জনতা। যদি কখনো দেখেন, আমি ঘোষণা দিয়েছি আন্দোলন বন্ধ করার, ধরে নেবেন—সেটি আমার নিজের কোনো বক্তব্য না, সেটি জোর করে বক্তব্য দেওয়ানো হচ্ছে।

ভিডিওবার্তায় হাসনাত বলেন, ‘আসসালামু আলাইকুম। আমি হাসনাত আবদুল্লাহ, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক। আপনারা ইতোমধ্যে জানেন, আমার যে আইডিটি রয়েছে ‘হাসনাত আবদুল্লাহ’, সেটি হ্যাকড হয়েছিল। আইডিটির ওপর আমার একদিন কন্ট্রোল ছিল না। আমি ঘোষণা করছি, এই হাসনাত আবদুল্লাহ—এই অ্যাকাউন্টটি ছাড়া আমার অন্য কোনো অ্যাকাউন্ট নেই। ইতোমধ্যে যতগুলো পেজ খোলা হয়েছে এবং যতগুলো অ্যাকাউন্ট খোলা হয়েছে, প্রত্যেকটি ফেক এবং সেখান থেকে বিভ্রান্তিমূলক বিভিন্ন তথ্য দেওয়া হচ্ছে।

যা দেখি তা সবই সত্যি নয়, আবার যা দেখি না তা সবই মিথাও নয়: আশরাফুল

আমি আবারও পুনরাবৃত্তি করছি— এই যে আন্দোলনটি হচ্ছে, এটি ছাত্র-জনতার আন্দোলন, এটি প্রতিটি শ্রেণিপেশার মানুষের আন্দোলন। এখানে আমাদের বিভিন্ন সিগনেচার নকল করে সেখানে বলা হচ্ছে— আমরা নাকি আন্দোলন প্রত্যাহার করেছি। স্পষ্টভাবে ঘোষণা করছি— একজন সমন্বয়ক, দুজন সমন্বয়ক বা পাঁচজন সমন্বয়কের সিগনেচারে এই আন্দোলন বন্ধ হবে না। এটি ছাত্র-জনতার আন্দোলন। ছাত্র-জনতা এই আন্দোলনের গতিপথ নির্ধারণ করবে। তারা যখন চাইবে, তারা যখন মনে করবে যে আন্দোলন বন্ধের সময় হয়েছে, তখন তারাই সিদ্ধান্ত নেবে এই আন্দোলন কখন বন্ধ হবে।

আমি হাসনাত আবদুল্লাহকে যদি কখনো দেখেন, আমি ঘোষণা দিয়েছি আন্দোলন বন্ধ করার, ধরে নেবেন—সেটি আমার নিজের কোনো বক্তব্য না, সেটি জোর করে বক্তব্য দেওয়া হচ্ছে। আমরা আপনাদের কাছে প্রত্যাশা করব— সুদিন না আসা পর্যন্ত আমাদের প্রত্যাশিত আন্দোলন চালিয়ে যাবেন। সবাই ভালো থাকবেন এবং এই আইডি থেকেই যে বার্তাটি দেওয়া হবে, সেই বার্তাটি হচ্ছে স্পষ্ট বার্তা।