Logo
Logo
×

জাতীয়

কোটা আন্দোলনে আটক মোট ১৩ শিক্ষার্থীকে ছাড়িয়ে এনেছে জবি প্রশাসন

Icon

জবি প্রতিনিধি

প্রকাশ: ০১ আগস্ট ২০২৪, ০৯:২৫ পিএম

কোটা আন্দোলনে আটক মোট ১৩ শিক্ষার্থীকে ছাড়িয়ে এনেছে জবি প্রশাসন

কোটা সংস্কার আন্দোলনের ‘মার্চ ফর জাস্টিস’ কর্মসূচি থেকে আটক জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের শিক্ষার্থী আব্দুল সোবহানকে ছাড়িয়ে এনেছে প্রশাসন।

বুধবার বিকাল চারটায় লক্ষ্মীপুর জর্জ কোর্ট প্রাঙ্গন থেকে আটক হওয়ার ২১ ঘন্টা পর বৃহস্পতিবার দুপুর একটায় তিনি মুক্ত হন।

এ নিয়ে ঢাকার ও ঢাকার বাহিরের বিভিন্ন থানা থেকে মোট ১৩ শিক্ষার্থীকে ছাড়িয়ে নিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টরিয়াল টিম।

এর আগে কোনো নিরপরাধ শিক্ষার্থী হয়রানির শিকার হলে সব ধরনের সহযোগিতার আশ্বাস  দিয়ে বিজ্ঞপ্তি জারি করেছিল জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় (জবি) প্রশাসন। এ সময় শিক্ষার্থীদের কোন ধরণের হয়রানি না করতে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর প্রতি অনুরোধ জানানো হয়।

এছাড়া কোটা আন্দোলনে আহত ও গুলিবিদ্ধ বিশ্ববিদ্যালয়ের আর্থিক সহায়তা দিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। আহত সকল শিক্ষার্থীকে চিকিৎসা শেষে গ্রামের নিজ বাসায় পৌঁছে দেওয়া হয়।

সর্বশেষ বুধবার কোটা সংস্কার আন্দোলনে পুলিশের গুলিতে নিহত গণিত বিভাগের শিক্ষার্থী আহসান হাবিব তামিমের পরিবারকে ১ লাখ টাকা ও এক মাসের খাদ্যসামগ্রী দেওয়া হয়। গণিত বিভাগ অ্যালামনাই এসোসিয়েশন এর পক্ষ থেকে এ নগদ অর্থ ও খাদ্যসামগ্রী পৌঁছিয়ে দেন বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. মো. মিজানুর রহমান। এ সময় প্রক্টর অধ্যাপক ড. জাহাঙ্গীর হোসেনসহ অন্যান্য শিক্ষকবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।

এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক ড. মো. জাহাঙ্গীর হোসেন বলেন, কোন শিক্ষার্থী আটকের সংবাদ পাওয়ামাত্র আমরা থানায় যোগাযোগ করার চেষ্টা করি। এখন পর্যন্ত বিভিন্ন থানা থেকে ১৩ শিক্ষার্থীকে ছাড়িয়ে আনার ব্যবস্থা করেছি। পার্শ্ববর্তী কোতোয়ালি থানা থেকে ৯ জন, সাভার ১, টাঙ্গাইল ২, লক্ষ্মীপুর থেকে ১ জনকে ছাড়িয়েছি। তা ছাড়া আহত শিক্ষার্থীদের তালিকা করে আর্থিক সহায়তা করারও ব্যবস্থা করা হয়েছে।

এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. সাদেকা হালিম বলেন, বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধ হয়ে যাওয়ার পর অনেক শিক্ষার্থী বাড়ি চলে যেতে পেরেছে, অনেকে আবার ঢাকায় রয়েছে। এ সময়ের ভেতর পুলিশের অভিযানে আমাদের কয়েকজন শিক্ষার্থীকে থানায় নিয়ে যাওয়া হয়। আমরা খবর পাওয়া মাত্র থানায় যোগাযোগ করেছি। এখন পর্যন্ত আমরা ১৩ জন শিক্ষার্থীকে আইনি প্রক্রিয়ার মাধ্যমে যাচাই-বাছাই করে ছাড়িয়ে নিয়ে আসি। কোন নিরপরাধ শিক্ষার্থী যাতে হয়রানির শিকার না হয়, তার জন্য আমাদের সর্বোচ্চ প্রচেষ্টা থাকবে।

Jamuna Electronics
wholesaleclub

Logo

সম্পাদক : আবদুল হাই শিকদার

প্রকাশক : সালমা ইসলাম