সম্প্রতি কোটা সংস্কার আন্দোলনের সময় কিছু ভিডিও কন্টেন্টের বিষয়ে সরকারের দেওয়া চিঠির কোনো জবাব দেয়নি ফেসবুক এবং ইউটিউব। তবে চিঠির জবাবে ইমেইলে রিপ্লাই দিয়েছে আরেকটি প্ল্যাটফর্ম টিকটক।
মঙ্গলবার এসব তথ্য জানিয়েছেন সরকারের ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক।
তিনি বলেন, আমরা বুধবার পর্যন্ত ফেসবুক, ইউটিউব, টিকটককে একটা টাইম (সময়) দিয়েছিলাম। আমরা আশা করেছিলাম যে তারা লিখিত ব্যাখ্যাটা দেবে। কিন্তু আমরা এখনো তাদের লিখিত বা মৌখিক ব্যাখ্যা পাইনি।
তবে টিকটক রিপ্লাই দিয়েছে জানিয়ে পলক বলেন, টিকটক ইমেইলে একটা রিপ্লাই (প্রতি উত্তর) দিয়েছে যে, তারা এ নিয়ে খুব আন্তরিক। সরকারকে সহযোগিতা করতে চান। তারা ব্যাখ্যাগুলোও দিতে চান। বাকি দুটি অর্থাৎ মেটা ও ইউটিউবের সাড়া পাইনি।অবশ্য সোশ্যাল মিডিয়ার প্রতিনিধিরা যৌক্তিক ব্যাখ্যা না দেওয়া পর্যন্ত এসব খুলে দেওয়া হবে না বলেও গত ২৮ জুলাই জানিয়েছিলেন পলক।
সরকার কি ছাত্রদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা করেছে, প্রশ্ন আসিফ নজরুলের
তিনি বলেন, ফেসবুক, টিকটকসহ সোশ্যাল মিডিয়ার প্রতিনিধিরা যৌক্তিক ব্যাখ্যা না দেওয়া পর্যন্ত এসব খুলে দেওয়ার ব্যাপারে বর্তমান সিদ্ধান্তে অনড় থাকবে সরকার। সহিংসতার কনটেন্টগুলোর বিরুদ্ধে কেন ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি, সে বিষয়ে তাদের কাছে জানতে চাওয়া হয়েছে। ৩১ জুলাই ফেসবুক, টিকটকসহ সোশ্যাল মিডিয়ার প্রতিনিধিদের বিটিআরসিতে তলব করা হয়েছে। সশরীরে হাজির হয়ে ব্যাখ্যা দিতে হবে। ব্যাখ্যা না দেওয়া পর্যন্ত ফেসবুক-টিকটকসহ সোশ্যাল মিডিয়া খুলে দেওয়ার ব্যাপারে বর্তমান সিদ্ধান্তে অনড় থাকবে সরকার।
প্রসঙ্গত, কোটা সংস্কার আন্দোলন ঘিরে গত ১৬ জুলাই থেকেই শুরু হয় মোবাইল ইন্টারনেটের ধীরগতি। এরপর সহিংসতা ও গুজব প্রতিরোধ করতে সরকারের মৌখিক নির্দেশে ১৮ জুলাই সকাল থেকে বন্ধ হয়ে যায় মোবাইল অপারেটর কোম্পানির সিমে থ্রি-জি ও ফোর-জি পরিষেবা।
আর মহাখালীর খাজা টাওয়ারের ডাটা সেন্টারে আগুনের ঘটনায় রাত থেকে বন্ধ হয়ে যায় ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেট। এর ফলে সারা দেশেই তৈরি হয় ইন্টারনেট ব্ল্যাকআউটের। সবশেষ পাঁচ দিন পর গত ২৩ জুলাই পরীক্ষামূলকভাবে চালু হয় ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেট। এবং ২৮ জুলাই ৩টা থেকে চালু হয়েছে মোবাইল ডাটা।