স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীকে যে অনুরোধ করলেন ওবায়দুল কাদের
যুগান্তর প্রতিবেদন
প্রকাশ: ৩০ জুলাই ২০২৪, ০৮:৪২ পিএম
ফাইল ছবি
নিরপরাধ কাউকে গ্রেফতার না করতে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খানের প্রতি অনুরোধ জানিয়েছেন আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহণ ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।
সরকার কি ছাত্রদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা করেছে, প্রশ্ন আসিফ নজরুলের
তিনি বলেন, গ্রেফতারের সংখ্যা বেশি দেখানোর জন্য নিরপরাধ কাউকে ধরা যাবে না। নিরীহ ব্যক্তিকে হয়রানিও করা যাবে না। সে বিষয়ে আমরা স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর দৃষ্টি আকর্ষণ করছি। মঙ্গলবার ২৩ বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউয়ে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে দলের এক যৌথ সভায় তিনি এসব কথা বলেন। শোকের মাস আগস্টের কর্মসূচি ঠিক করতে এ যৌথ সভার আয়োজন করা হয়।
ওবায়দুল কাদের বলেন, বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুলের দাবি অসহায় শিক্ষার্থীদের আটক ও নির্যাতন করা হচ্ছে। আসলে নিরীহ ও সাধারণ শিক্ষার্থীরা যাতে হয়রানির শিকার না হন, এ ব্যাপারে প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনা রয়েছে। আইন প্রয়োগকারী সংস্থা ভিডিও ফুটেজ দেখে অপরাধীদের চিহ্নিত করছে। বিষয়গুলো নিয়ে সরকারের সমালোচনা করতে গিয়ে মির্জা ফখরুল নির্লজ্জ মিথ্যাচার করছেন। তার কাছে সবাই নিরপরাধ, সবাই অসহায়। তাহলে প্রশ্ন এই ধ্বংসযজ্ঞ চালাল কারা? কারা অগ্নিসংযোগ করল, রাষ্ট্রের সম্পদ ভস্মীভূত করল?
তিনি বলেন, কোথা থেকে নির্দেশ এসেছে, সব তথ্য আমাদের কাছে আছে। কোথায় কোথায় বৈঠক করেছে, অর্থ জুগিয়েছে, কোন কৌশলে অর্থ পাঠিয়েছে, সেটা আমরা জানি। মিথ্যার ও আবোলতাবোল বলে জাতিকে বিভ্রান্ত করার সুযোগ নেই।
আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, ঘটনাপ্রবাহে আমরা আক্রান্ত, আক্রমণকারী ছিলাম না। এখন অপবাদ দেওয়া হচ্ছে। আমাদের হাতে অস্ত্র ছিল না। আজ অনেকেই বলে, আওয়ামী লীগের লোকজন কম ছিল, অনুপস্থিত ছিল। আমি বলতে চাই, আমাদের দলীয় লোকজনকে অস্ত্র দিয়ে সজ্জিত হয়ে কোথাও অবস্থান নিতে বলিনি। কারা এই নারকীয় বর্বরতার আশ্রয় নিয়েছে, তাদের সঙ্গে আপনি (ফখরুল) জাতীয় ঐক্য করছেন; যারা স্বাধীনতায় বিশ্বাস করে না।
তিনি বলেন, জামায়াত-শিবিরের বিভিন্ন তথ্য-উপাত্ত বিশ্লেষণ, দলটির অতীত ও বর্তমান কর্মকাণ্ড এবং বিভিন্ন সময় দেওয়া আদালতের রায় বিবেচনায় তাদের রাজনীতি নিষিদ্ধে ১৪ দলীয় জোট সর্বসম্মতভাবে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছে। এটা প্রক্রিয়া বাস্তবায়নে আইনগত দিক দেখে সরকার শিগ্গির পরবর্তী পদক্ষেপ নেবে। আইনগত দিকটি আমরা ভালোভাবে দেখে নিতে চাই। যাতে কোনো ফাঁকফোকর দিয়ে এ অপশক্তি সুযোগ না পায়।
যৌথ সভায় আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য আব্দুর রাজ্জাক, মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া, ডা, মোস্তফা জালাল মহিউদ্দিন, জাহাঙ্গীর কবির নানক, যুগ্মসাধারণ সম্পাদক মাহবুবউল আলম হানিফ, আ ফ ম বাহাউদ্দীন নাছিম, ডা. দীপু মনি, সাংগঠনিক সম্পাদক আহমদ হোসেন, বিএম মোজাম্মেল হক, মির্জা আজম, এসএম কামাল হোসেন, সুজিত রায় নন্দী প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।