ডিআরইউতে সংবাদ সম্মেলনে নাগরিক সমাজের প্রতিনিধিরা। ছবি : সংগৃহীত
কোটার সংস্কার হলেও ৯ দফার দাবিতে আন্দোলন করছেন শিক্ষার্থীরা। সম্প্রতি ঢাকা মহানগর পুলিশের গোয়েন্দা বিভাগের (ডিবি) হেফাজতে নিয়েছে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ছয় সমন্বয়ককে। যাদের মুক্তির বিষয়টি গড়িয়েছে হাইকোর্টে। আগামীকাল (বুধবার) রায় দিতে পারেন আদালত। এবার ৬ সমন্বয়কেকে নিঃশর্ত মুক্তি দিতে ২৪ ঘণ্টার আলটিমেটাম দিয়েছে ‘বিক্ষুব্ধ নাগরিক সমাজ’।
মঙ্গলবার (৩০ জুলাই) দুপুর ১২টার দিকে ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে (ডিআরইউ) এক সংবাদ সম্মেলনে নাগরিক সমাজের পক্ষে এ ঘোষণা দেন ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশের (টিআইবি) নির্বাহী পরিচালক ইফতেখারুজ্জামান।
‘হত্যা, অবৈধ আটক ও নির্যাতনের বিচার চাই’ ব্যানারে এই সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়।
২৪ ঘণ্টার মধ্যে ছয় সমন্বয়ককে মুক্তি দেওয়া না হলে বিক্ষুব্ধ নাগরিক সমাজ ডিবি কার্যালয়ের সামনে কর্মসূচি পালন করবে বলে জানিয়েছেন টিআইবির নির্বাহী পরিচালক।
সংবাদ সম্মেলনে বিক্ষুব্ধ নাগরিক সমাজের পক্ষ থেকে ১১ দফা দাবি তুলে ধরা হয়। প্রতিটি হতাহতের ঘটনা ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর অস্ত্র ব্যবহার ও বলপ্রয়োগের ঘটনা জাতিসংঘের উচ্চপর্যায়ের বিশেষজ্ঞদের তত্ত্বাবধানে তদন্তের দাবি জানানো হয় এই সংবাদ সম্মেলনে।
সংবাদ সম্মেলনে বাংলাদেশ পরিবেশ আইনবিদ সমিতির (বেলা) প্রধান নির্বাহী সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের অধ্যাপক গীতি আরা নাসরীন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের অধ্যাপক আসিফ নজরুল, মানবাধিকারকর্মী শিরীন হক প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
প্রসঙ্গ, গত শুক্র, শনি ও রোববার কোটা সংস্কার আন্দোলনের সাতজন সমন্বয়ককে তুলে নিয়ে আসা হয়। তারা হলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী নাহিদ ইসলাম, আসিফ মাহমুদ, আবু বাকের মজুমদার, সারজিস আলম, হাসনাত আবদুল্লাহ ও নুসরাত তাবাসসুম এবং জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সমন্বয়ক আরিফ সোহেল।