কিশোর ফাইয়াজের রিমান্ড: বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে করা রিট খারিজ
যুগান্তর প্রতিবেদন
প্রকাশ: ২৯ জুলাই ২০২৪, ১০:১৭ পিএম
রাজধানীর যাত্রাবাড়ী থানায় করা পুলিশ সদস্য হত্যা মামলায় কিশোর হাসনাতুল ইসলাম ফাইয়াজকে রিমান্ডে নেওয়ার বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে করা রিট উত্থাপিত হয়নি মর্মে খারিজ করে দিয়েছেন হাইকোর্ট।
ফাইয়াজের হাতে দড়ি বেঁধে আদালতে হাজির করায় শিশু আইনের ব্যত্যয় হয়েছে বলে সোমবার হাইকোর্টকে জানায় রাষ্ট্রপক্ষ।
পরে এ আদেশ দেন বিচারপতি মুহাম্মদ খুরশীদ আলম সরকার ও বিচারপতি এসএম মনিরুজ্জামানের হাইকোর্ট বেঞ্চ। আদালতে আবেদনের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী ড. শাহদীন মালিক। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন অতিরিক্ত অ্যাটর্নি জেনারেল এসএম মুনীর, শেখ মো. মোরসেদ।
কিশোর হাসনাতুল ইসলাম ফাইয়াজকে রিমান্ডে নেওয়া হবে না বলে রোববার হাইকোর্টকে জানায় রাষ্ট্রপক্ষ। তাকে রিমান্ডে নেওয়ার বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে করা রিটের শুনানিতে এ তথ্য জানানো হয়। পরে আদালত ফাইয়াজকে শিশু আইন অনুযায়ী সুরক্ষা দেওয়ার নির্দেশ দেন। একইসঙ্গে শিশুটিকে বাবা-মায়ের হেফাজতে দিতে বলেন আদালত। সোমবার রিট আবেদনটি শুনানির জন্য রাখেন হাইকোর্ট।
আদালত সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা যায়, পুলিশের এক সদস্য হত্যা মামলায় ১৭ বছর বয়সী ওই কিশোরকে গ্রেফতার করা হয়। তাকে শনিবার ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে (সিএমএম) হাজির করে পুলিশ। পরে তাকেসহ ৬ জনকে ১০ দিন করে রিমান্ডে নেওয়ার আবেদন করা হয়। শুনানির সময় শনিবার ওই কিশোরের আইনজীবী আদালতে বলেন, তার মক্কেল কিশোর।
জন্মসনদ অনুযায়ী তার বয়স ১৭ বছর। উভয় পক্ষের শুনানি নিয়ে আদালত ওই কিশোরসহ ছয়জনের সাত দিন করে রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
একই দিন ওই কিশোরের আইনজীবী ঢাকার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-৩-এর কাছে আবারও আবেদন করে বলেন যে তার মক্কেল কিশোর।
আইন অনুযায়ী, একজন কিশোরকে রিমান্ডে নেওয়ার সুযোগ নেই। রিমান্ডে নেওয়ার আদেশ স্থগিত চেয়ে আবেদন করেন তিনি। পরে ওই কিশোরকে আদালতে হাজির করা হয়। কিশোরের জন্মসনদ সহ সব তথ্য পর্যালোচনা করেন আদালত। পরে রিমান্ডে নেওয়ার আদেশ বাতিল করে তাকে টঙ্গীর কিশোর উন্নয়ন কেন্দ্রে পাঠানোর আদেশ দেন আদালত।