সমন্বয়কদের কাছ থেকে জোরপূর্বক বিবৃতি আদায়ের অভিযোগ, যা বললেন হারুন
যুগান্তর প্রতিবেদন
প্রকাশ: ২৯ জুলাই ২০২৪, ০৬:৫৭ পিএম
ফাইল ছবি
ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) অতিরিক্ত উপপুলিশ কমিশনার মোহাম্মদ হারুন অর রশীদ বলেছেন, সমন্বয়কদের কাছ থেকে জোরপূর্বক বিবৃতি আদায় করা হয়নি। যারা গুজবটি ছড়িয়েছেন, তাদের উদ্দেশে বিনীত অনুরোধ করব, গুজব ছড়াবেন না। ডিবি একটি আস্থার জায়গা। এখানে কাউকে জোর করে রাখা হয় না। কারও প্রতি অন্যায়-অত্যাচার করা হয় না। জোর করে কোনো বিবৃতি নেওয়া হয়নি।
সোমবার রাজধানীর মিন্টো রোডের ডিবি কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে কথা বলেন তিনি।
হারুন অর রশীদ বলেন, সমন্বয়করা রিয়েলাইজ করেছে, তারা আমাদের কাছে লিখিতভাবে বলেছে যে, তাদের দাবি পুরোটাই সরকার মেনে নিয়েছে। সে কারণে তারা তাদের আন্দোলন প্রত্যাহার করে নিয়েছে।
৬ সমন্বয়ককে পরিবারের কাছে কখন পাঠানো হবে, জানালেন ডিবির হারুন
ডিএমপির গোয়েন্দা শাখার প্রধান বলেন, ডিবি কার্যালয় একটা আস্থার জায়গা। এখানে কারও প্রতি অন্যায় আচরণ বা হেনস্তা করা হয় না। ভবিষ্যতেও করা হবে না। মানুষ যখন কোনো বিপদে পড়ে আমাদের কাছে আসে বা আমরা নিয়ে আসি, আমরা মূলত তাদের সিকিউরিটির জন্যই কাজটা করে থাকি।
এর আগে রোববার রাতে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা শাখার (ডিবি) হেফাজত থেকেই সব ধরনের কর্মসূচি প্রত্যাহারের ঘোষণা দেন ৬ সমন্বয়ক। এ ঘোষণা দিয়ে তারা লিখিত বার্তাও দেন।
বার্তায় বলা হয়, কোটা সংস্কার আন্দোলন ও তার পরিপ্রেক্ষিতে উদ্ভূত পরিস্থিতিতে অনেকেই অপ্রত্যাশিতভাবে হতাহত হয়েছেন। এছাড়া রাষ্ট্রীয় স্থাপনায় অগ্নিসংযোগসহ বিভিন্ন সহিংস ঘটনা ঘটেছে। আমরা এসব অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনার তীব্র নিন্দা জানাই এবং সুষ্ঠু তদন্ত সাপেক্ষে দোষীদের দ্রুত বিচারের দাবি জানাই।
এদিকে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ৬ সমন্বয়ককে জিম্মি করে নির্যাতনের মুখে আন্দোলন বন্ধের স্টেটমেন্ট নেওয়া হয়েছে বলে মন্তব্য করেছে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের একাংশ। একই সঙ্গে আন্দোলন চলবে বলে ঘোষণা দিয়েছেন তারা।
রোববার রাতে টেলিগ্রাম ও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে তারা এ ঘোষণা দেন।
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক আব্দুল কাদের টেলিগ্রামে লেখেন, সমন্বয়কদের জিম্মি করে নির্যাতনের মুখে যে স্টেটমেন্ট দেওয়ানো হইছে, সেটা কখনোই জাতির নিকট গ্রহণযোগ্য হতে পারে না। আটককৃত সমন্বয়করা ভয়ভীতির মুখে গোয়েন্দা সংস্থার লিখে দেওয়া যে বক্তব্য কেবল রিডিং পড়ে গেছে, আমরা সেই বক্তব্য প্রত্যাখ্যান করছি এবং একইসঙ্গে জোরপূর্বক বক্তব্য আদায় করার মতো সরকারের এমন জঘন্য কাজের তীব্র নিন্দা এবং প্রতিবাদ জানাচ্ছি।