মিথ্যা মামলায় ফাঁসানো
আদালতের চিঠির বিরুদ্ধে হাইকোর্টে ডিবির ৯ সদস্য
যুগান্তর প্রতিবেদন
প্রকাশ: ২৮ জুলাই ২০২৪, ০১:৪৯ পিএম
হাইকোর্ট
জাল নোট রাখার অভিযোগে দুইজনকে মিথ্যা মামলায় ফাঁসানোয় গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) ৯ সদস্যের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে পুলিশের মহাপরিদর্শককে (আইজিপি) চিঠি দেন ঢাকার একটি আদালত। ওই চিঠির বিরুদ্ধে হাইকোর্টে আবেদন করেছেন ওই ৯ পুলিশ কর্মকর্তা ও সদস্য।
বৃহস্পতিবার বিচারপতি এস এম কুদ্দুছ জামান ও বিচারপতি একেএম রবিউল হাসানের হাইকোর্ট বেঞ্চে শুনানির জন্য ছিল।
ডিবির ওই কর্মকর্তা ও সদস্যরা হলেন— পরিদর্শক তপন কুমার ঢালী, উপপরিদর্শক দেওয়ান উজ্জল হোসেন, সহকারী উপপরিদর্শক জিয়াউর রহমান, সোহেল মাহমুদ, আবুল বাশার, মমিনুল হক ও নাজমুল হক প্রধান এবং কনস্টেবল নয়ন কুমার ও গোলাম সরোয়ার।
হোটেলের ব্যবস্থাপক হাসান মজুমদার যুগান্তরকে বলেন, বৃহস্পতিবার শুনানির জন্য ছিল। কিন্ত অন্য মামলায় শুনানির ফলে এ মামলাটি রোববারের তালিকায় আসবে।
২০২৩ সালের ২৪ জানুয়ারি ঢাকার একটি হোটেলের ব্যবস্থাপক হাসান মজুমদার এবং একই হোটেলের শেফ সোহেল রানাকে জাল ব্যাংক নোট রাখার মামলা থেকে খালাস দেন আদালত। ছয় বছর ধরে এ ঘটনায় দায়ের করা মামলা চালিয়ে হাসান ও সোহেল জয়ী হন। আদালতের নথি অনুযায়ী, অভিযোগ সন্দেহাতীতভাবে প্রমাণিত না হওয়ায় বিচারক তাহসিন ইফতেখারের আদালত তাদের দুজনকে খালাস দেন।
২০১৬ সালের ৬ নভেম্বর রাজধানীর পল্টনে হোটেল বন্ধুতে অভিযান চালিয়ে সাদা পোশাকের গোয়েন্দারা হাসান ও সোহেলকে আটক করে। ঘটনাটি হোটেলের সিকিউরিটি ক্যামেরায় রেকর্ড করা হয়। পরে তাদের বিরুদ্ধে মতিঝিল থানায় বিশেষ ক্ষমতা আইনে মামলা করেন ডিবির একজন উপপরিদর্শক।
পুলিশের এফআইআরে এ ঘটনায় সম্পূর্ণ ভিন্ন বিবরণ দেওয়া হয়। এতে বলা হয়, ২৫ লাখ টাকার জাল নোট নিয়ে পালানোর সময় ২০১৬ সালের ৬ নভেম্বর বিকাল সোয়া ৪টার দিকে ফকিরাপুল এলাকা থেকে ডিবি দুজনকে গ্রেফতার করে।
২০১৭ সালে হোটেলে অভিযান পরিচালনাকারী কর্মকর্তাদের একজন এবং এই মামলার তদন্ত কর্মকর্তা উপপরিদর্শক দেওয়ান উজ্জল হোসেন অভিযোগ গঠন করেন হাসান ও সোহেলের বিরুদ্ধে। হাসানের অভিযোগ, অভিযানের সময় ওই গোয়েন্দা কর্মকর্তারা তিন লাখ টাকা দাবি করেন এবং এই টাকা দিতে রাজি না হওয়ায় মিথ্যা এফআইআর লেখা হয়েছে।
এ ঘটনার পর ভুক্তভোগী হাসান ও তার ভাই হোসেন মজুমদারও প্রতিকার চেয়ে পুলিশ সদর দপ্তর, ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ, প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় ও স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে ওই ৯ ডিবি সদস্যের বিরুদ্ধে একাধিক অভিযোগ করেন।