ছবি : সংগৃহীত
কোটা সংস্কার আন্দোলন ঘিরে দেশব্যাপী ছড়িয়ে পড়া সংঘাতময় পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে জারি করা কারফিউর ষষ্ঠ দিন আজ। গত দিনের চেয়ে আজ শহরে যান চলাচল আরও বেড়েছে। বৃহস্পতিবার সকালে রাজধানীর সদরঘাট থেকে স্বল্প দূরত্বের রুটগুলোয় লঞ্চ চলাচল শুরু হয়েছে। একই সঙ্গে রাজধানী ঢাকা থেকে দূরপাল্লার বাস ছেড়ে যেতে শুরু করে বলে জানিয়েছে সড়ক পরিবহণ মালিক সমিতি। তবে ট্রেন চলাচলের কথা থাকলেও সেই সিদ্ধান্ত থেকে পিছিয়ে এসেছে বাংলাদেশ রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ।
বৃহস্পতিবার ঢাকাসহ পার্শ্ববর্তী তিন জেলায় সকাল ১০টা থেকে বিকাল পাঁচটা পর্যন্ত কারফিউ শিথিল করা হয়েছে। এসময় রাজধানীর মতিঝিল, পল্টন, মহাখালী, যাত্রাবাড়ী ও গাবতলীসহ গুরুত্বপূর্ণ এলাকাগুলোতে অতিরিক্ত চাপ দেখা গেছে ব্যক্তিগত গাড়ির।
বৃহস্পতিবার ঢাকাসহ পার্শ্ববর্তী তিন জেলায় সকাল ১০টা থেকে বিকেল পাঁচটা পর্যন্ত কারফিউ শিথিল করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার সকাল থেকেই রাজধানী ঢাকা থেকে দূরপাল্লার বাস ছেড়ে যেতে শুরু করে বলে জানিয়েছে সড়ক পরিবহণ মালিক সমিতি।
সমিতির মহাসচিব খন্দকার এনায়েত উল্যাহ গণমাধ্যমকে জানান, বৃহস্পতিবার কারফিউ শিথিল হওয়ার আগেই ঢাকার সায়েদাবাদ বাস টার্মিনাল থেকে দেশের বিভিন্ন স্থানের উদ্দেশে কয়েকটি বাস ছেড়ে যায়।
তবে বেশিরভাগ বাস ছেড়েছে কারফিউ শিথিল হওয়ার পর।
স্বল্প রুটের বাসগুলো কারফিউর সময়সীমার মধ্যেই গন্তব্যে গিয়ে ফিরে আসর চেষ্টা করছে। তবে দূরপাল্লার বাসগুলো একটি ট্রিপই দিতে পারছে। অনেক সময় এক ট্রিপেই কারফিউর সময়সীমা ছাড়িয়ে যাচ্ছে।
মূলত বুধবার থেকেই সীমিত পরিসরে দূরপাল্লার বাস চলাচল করতে শুরু করে। তবে যাত্রী সংখ্যা ছিল স্বাভাবিক সময়ের চেয়ে কম।
এছাড়া অভ্যন্তরীণ রুটের বাস অর্থাৎ নগরের লোকাল বাসগুলো বুধবার থেকে স্বল্প মাত্রায় কোথাও কোথাও চলাচল করতে শুরু করে।
মালিক সমিতির পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, কোম্পানিগুলো চাইলে কারফিউর নিয়ম মেনে বাস চালাতে পারবে।
এদিকে আজ সকালে রাজধানীর সদরঘাট থেকে স্বল্প দূরত্বের রুটগুলোয় লঞ্চ চলাচল শুরু হয়েছে।
বিআইডব্লিউটিএ এর হটলাইন নম্বর থেকে মোহাম্মদ আল ফায়েদ জানিয়েছেন, কারফিউ শিথিল হওয়ার পর থেকে অর্থাৎ সকাল ১০টা থেকে বেলা দুটা পর্যন্ত সদরঘাট থেকে চাঁদপুর, নরিয়া ও ইলিশা রুটে লঞ্চ ছেড়ে গিয়েছে।
এদিকে ভোর থেকেই চাঁদপুর ও বরিশাল থেকে ঢাকার সদরঘাটে নৌপথে যাত্রীবাহী লঞ্চ চলাচল স্বাভাবিক আছে।
মূলত বুধবার থেকেই চাঁদপুর-ঢাকা রুটে লঞ্চ চলাচল সীমিত আকারে শুরু হয়।
কোটা সংস্কার আন্দোলনকারীরা ‘কমপ্লিট শাটডাউন’ ঘোষণার পর গত বৃহস্পতিবার থেকে সারাদেশে বাস চলাচল বন্ধ হয়ে যায়।
বৃহস্পতিবার থেকে স্বল্প দূরত্বে কিছু যাত্রীবাহী ট্রেন চলাচলের কথা থাকলেও সেই সিদ্ধান্ত থেকে পিছিয়ে এসেছে বাংলাদেশ রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ।
পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত আন্তঃনগরসহ সব ধরনের ট্রেন চলাচল বন্ধ থাকবে বলে জানানো হয়েছে।
ঢাকার কমলাপুর রেলওয়ে স্টেশনের স্টেশন মাস্টার আনোয়ার হোসেন এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেছেন, দুপুর পর্যন্ত স্টেশন থেকে কোনো যাত্রীবাহী ট্রেন ছেড়ে যায়নি।
এদিকে ট্রেন চালু হওয়ার খবর পেয়ে সকাল থেকে যাত্রীরা রেল স্টেশনে ভিড় করলেও পরে তারা হতাশ হয়ে ফিরে যান।
উল্লেখ্য, গত ১৮ই জুলাই থেকে বন্ধ রয়েছে বাংলাদেশ রেলওয়ের যাত্রীবাহী ট্রেন চলাচল।