স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে মামুনুল হকসহ আলেমদের বৈঠক
যুগান্তর প্রতিবেদন
প্রকাশ: ২৪ জুলাই ২০২৪, ০৩:৩০ পিএম
কোটা সংস্কার আন্দোলনকে কেন্দ্র করে সহিংসতা বন্ধ ও দেশের চলমান অচলাবস্থা নিরসনে আলেমদের সঙ্গে বৈঠক করেছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল। এতে খেলাফত মজলিসের মহাসচিব ও আলোচিত হেফাজত নেতা মাওলানা মামুনুল হকও উপস্থিত ছিলেন।
সোমবার রাতে মন্ত্রীর ধানমন্ডির বাসভবনে দেশের শীর্ষ আলেম ও বিভিন্ন ইসলামিক দলের নেতাদের সঙ্গে বৈঠকে দেশের পরিস্থিতি স্বাভাবিক করতে আলেমদের সহযোগিতা চান আসাদুজ্জামান খান কামাল। এ সময় সহিংসতা বন্ধ ও দেশের পরিস্থিতি স্বাভাবিক করতে কাজ করবেন বলে জানিয়েছেন আলেমরা।
ধর্মমন্ত্রী ফরিদুল হক খানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন জাতীয় মসজিদ বাইতুল মোকাররমের খতিব মাওলানা রুহুল আমিন, হেফাজতে ইসলামের নায়েবে আমির অধ্যক্ষ মিজানুর রহমান চৌধুরী, জাতীয় দ্বীনি শিক্ষাবোর্ডের সহসভাপতি মাওলানা ইয়াহয়া মাহমুদ, ইসলামী ঐক্যজোটের চেয়ারম্যান মাওলানা আবুল হাসানাত আমিনী মহাসচিব মুফতি ফয়জুল্লাহ, খেলাফত মজলিসের মহাসচিব ও হেফাজত নেতা মাওলানা মামুনুল হক, মাওলানা খালিদ সাইফুল্লাহ আইয়ুবী, মাওলানা হাসান জামিল, মাওলানা আবদুল কাইয়ুম সুবহানী, মাওলানা লোকমান মাজহারী প্রমুখ।
বৈঠক সূত্রে জানা গেছে, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আলেমদের বলেছেন, ছাত্রদের আন্দোলনের মধ্যে তৃতীয় পক্ষ দেশে নৈরাজ্য সৃষ্টি করেছে। আলেমরা সবসময় শান্তির পক্ষে ছিলেন। চলমান পরিস্থিতিতেও আলেম-ওলামাদের মাধ্যমে দেশবাসীকে শান্তির পক্ষে অবস্থান নেওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন তিনি।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, আমরা কুরআন-হাদিস বিরোধী কোনোকিছু করব না বলে আগেই ওয়াদা দিয়েছিলাম। সেই ওয়াদায় আমরা অটল রয়েছি। আলেমরা সবসময় যেসব বিষয়ে আমাদের পরামর্শ দিয়েছেন আমরা সেগুলো বাস্তবায়নের চেষ্টা করেছি। অতীতে জঙ্গিবাদ মোকাবিলায় আপনারা যেভাবে সরকারকে সহায়তা করেছেন চলমান সহিংসতা বন্ধ ও অচলাবস্থা নিরসনেও আপনাদের ভূমিকা প্রত্যাশা করছি।
এ সময় আলেমরা সহিংসতার নিন্দা জানিয়ে পরিস্থিতি স্বাভাবিক করতে মাঠপর্যায়ে কাজ করবেন বলে মন্ত্রীকে আশ্বস্ত করেন।
বৈঠকের বিষয়ে মাওলানা ইয়াহয়া মাহমুদ যুগান্তরকে বলেন, চলমান পরিস্থিতি নিয়ে সরকারের অবস্থান ও আলেমদের সহায়তার বিষয়ে আমাদের ডাকা হয়েছিল। আমি বলেছি যে, মাঠ পর্যায়ে আলেমদের ভূমিকা অত্যন্ত কার্যকরী। তাই সরকারকে আলেমদের আস্থায় নিতে হবে। ধর্মীয় উগ্রবাদ, মৌলবাদ এসব শব্দ ধর্মপ্রাণ মানুষের অনুভূতিতে আঘাত করে, তাই ঢালাওভাবে এসব শব্দ ব্যবহার করা উচিত নয়। আলেমেদের স্বকীয়তা বজায় রেখে কাজের সুযোগ দিলে তারা মাঠপর্যায়ে ইতিবাচক ভূমিকা পালন করতে পারবেন।
এছাড়া সরকারের দায়িত্বশীল পর্যায় থেকে জনগণের মনোভাব বুঝে যেন সতর্কতার সঙ্গে কথা বলা হয়, সে বিষয়েও আমি দৃষ্টি আকর্ষণ করেছি।