Logo
Logo
×

জাতীয়

১০ ঘণ্টা অবরুদ্ধ থাকার পর যা বললেন রাবি উপাচার্য

Icon

যুগান্তর প্রতিবেদন

প্রকাশ: ১৮ জুলাই ২০২৪, ০৫:০২ এএম

১০ ঘণ্টা অবরুদ্ধ থাকার পর যা বললেন রাবি উপাচার্য

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. গোলাম সাব্বির সাত্তার। ছবি: সংগৃহীত

কোটা সংস্কার আন্দোলনের মধ্যে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) প্রশাসনিক ভবনে প্রায় ১০ ঘণ্টা অবরুদ্ধ ছিলেন উপাচার্য অধ্যাপক ড. গোলাম সাব্বির সাত্তার। বুধবার (১৭ জুলাই) সন্ধ্যা সাড়ে সাতটায় পুলিশ-বিজিবি-র‍্যাবের সহায়তায় অবমুক্ত হন তিনি।

অবমুক্ত হওয়ার পর সংবাদমাধ্যমের সঙ্গে আলাপে রাবি উপাচার্য বলেন, ‘তারা আমাদের পানি বন্ধ করে দিল, বিদ্যুৎ বন্ধ করে দিল। সাইড থেকে যখন ঠিল মারা শুরু করল, তখন আমিসহ ৫০ জন শিক্ষক এবং প্রায় ৬০ থেকে ৭০ জন অফিসার, কর্মকর্তা-কর্মচারী যারা প্রায় নয় ঘণ্টার মতো না খেয়ে আছে, বিভিন্ন বয়সের মানুষ ছিল। কারো কারো ডায়বেটিসের সমস্যা আছে। তখন দেখলাম আমাদের আর কোনো উপায় নেই। আমরা হয়তো আর কিছুক্ষণ অবরুদ্ধ থাকলে মরে যেতাম। যারা বয়স্ক ছিল তাদের অনেক বড় ক্ষতি হয়ে যেত।’

মধ্যরাতেও বিদ্যুৎহীন জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়

শিক্ষার্থীরা নন, বরং বহিরাগতরাই বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের উপর চড়াও হয়েছে বলে মন্তব্য করে রাবি উপাচার্য যোগ করেন, ‘আমরা তিনবার তাদের (শিক্ষার্থীদের) সঙ্গে বসেছি। আমার শিক্ষার্থীর বিরুদ্ধে কোনো অভিযোগ নেই। তারা আমাদের কথা শুনেছে। আমরা একটা সৌহার্দ্যপূর্ণ আলোচনা করেছিলাম। কিন্তু পরবর্তীতে লক্ষ্য করলাম সেই শিক্ষার্থীরাই আমাদের কাছে এসে বলল, স্যার আমাদের হাতে আর কিছু নেই। বহিরাগত অনুপ্রবেশকারীরা এখানে ঢুকেছে। আমার শিক্ষার্থীরা এ কাজ করেনি। বহিরাগতরা এসেছিল পরিস্থিতি ঘোলা করার জন্য।’

গতকাল বুধবার প্রশাসনিক ভবন অবরোধ করে পাঁচ দফা দাবিতে আন্দোলন করেন শিক্ষার্থীরা। এ সময় সেখানে আটকা পড়েন উপাচার্য, উপ-উপাচার্যদ্বয়, প্রক্টর, ছাত্র-উপদেষ্টা, জনসংযোগ প্রশাসকসহ বিভিন্ন বিভাগের শিক্ষক, কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা।

পরে সন্ধ্যা সোয়া ৭টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের জোহা চত্বরে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের বিতাড়িত করতে যৌথ অভিযান চালায় পুলিশ, বিজিবি ও র‍্যাব। অভিযানের মাধ্যমে উপাচার্যসহ আটকে পড়া অন্য শিক্ষক, কর্মকর্তা, কর্মচারীদের অবমুক্ত করে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী।

Jamuna Electronics

Logo

সম্পাদক : সাইফুল আলম

প্রকাশক : সালমা ইসলাম