ছবি : সংগৃহীত
প্রতি বছর ১৫ জুলাই উদযাপিত হয় বিশ্ব যুব দক্ষতা দিবস। এই দিনটি কর্মসংস্থান, শোভন কাজ এবং উদ্যোক্তাদের জন্য প্রয়োজনীয় দক্ষতার সঙ্গে তরুণদের সজ্জিত করার কৌশলগত তাৎপর্যকে তুলে ধরে। বর্তমান যুবসমাজ এমন একটি জেনারেশন, যারা একদিকে যেমন নিজের ক্যারিয়ারের জন্য লড়াই করছে তেমন অন্যদিকে বিভ্রান্ত হচ্ছে সোশ্যাল মিডিয়ার দ্বারা। দক্ষতা থাকা সত্ত্বেও সঠিকভাবে সেটিকে প্রয়োগ করতে না পারায় অচিরেই সেগুলো হারিয়ে যাচ্ছে। আর এই সচেতনতা বাড়ানোর জন্যই প্রতিবছর পালন করা হয় বিশ্ব যুব দক্ষতা দিবস।
২০২৪-এর যুব দক্ষতা দিবসের থিম হলো ‘শান্তি ও উন্নয়নের জন্য যুব দক্ষতা’ শান্তি বিনির্মাণ এবং সংঘাত সমাধানে তরুণরা যে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে তা তুলে ধরে। আজকের বৈশ্বিক চ্যালেঞ্জের জটিলতাগুলো মোকাবিলা এবং নেভিগেট করার জন্য তাদের প্রস্তুত করার প্রয়োজনীয়তার উপর জোর দেয়।
বিশ্ব যুব দক্ষতা দিবসের তাৎপর্য
শুধুমাত্র গতানুগতিক পড়াশোনা করে নয়, ব্যবহারিক দক্ষতার মাধ্যমেও যে নিজেকে আগামী দিনের জন্য প্রস্তুত করা যায় সেই সচেতনতা বৃদ্ধি করার জন্যই এই দিনটি উদযাপন করা। কারিগরি কাজকর্ম, লেখালেখি, আঁকা, গান, নাচ অথবা যে কোনও দক্ষতাকে কাজে লাগিয়ে যে নিজের ক্যারিয়ার তৈরি করা যায়, সেটাই সকলের মধ্যে ছড়িয়ে দেওয়াই হল এই দিনটির তাৎপর্য।
বিশ্ব আজ অসংখ্য চ্যালেঞ্জে পরিপূর্ণ যেগুলো যুবসমাজকে অসামঞ্জস্যপূর্ণভাবে প্রভাবিত করে। হিংসাত্মক দ্বন্দ্ব, শিক্ষা ব্যবস্থা এবং সামাজিক স্থিতিশীলতাকে ব্যাহত করে, যখন একটি মেরুকৃত অনলাইন পরিবেশ প্রায়ই নেতিবাচকতা এবং বিভাজন বৃদ্ধি করে। ক্রমাগত অর্থনৈতিক বৈষম্য অনেক তরুণের সুযোগ সীমিত করে, তাদের ব্যক্তিগত ভবিষ্যৎ এবং সমাজের সামগ্রিক স্থিতিশীলতা ও উন্নয়নকে হুমকির মুখে ফেলে।
এমন প্রেক্ষাপটে তরুণদের প্রয়োজনীয় দক্ষতায় সজ্জিত করা শুধু অর্থনৈতিকভাবে বেঁচে থাকার বিষয় নয়, বরং শান্তির সংস্কৃতি গড়ে তোলা, দায়িত্বশীল বৈশ্বিক নাগরিকদের লালনপালন এবং টেকসই উন্নয়নের জন্য অপরিহার্য। এই প্রচেষ্টাগুলো সবার জন্য আরও ন্যায্য, অন্তর্ভুক্তিমূলক এবং টেকসই ভবিষ্যৎ গড়ে তোলার জন্য গুরুত্বপূর্ণ।
বিশ্ব যুব দক্ষতা দিবসের ইতিহাস
২০১৪ সালে ১৫ জুলাই দিনটিকে জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদ বিশ্ব যুব দক্ষতা দিবস হিসেবে ঘোষণা করে। তরুণদের মধ্যে দক্ষতার গুরুত্ব তুলে ধরার জন্যই এই দিনটি পালন করা হয়। যুব সম্প্রদায়ের মধ্যে কারিগরি দক্ষতা, বৃত্তিমূলক শিক্ষা এবং প্রশিক্ষণের মাধ্যমে তাদের কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করে দেওয়ার জন্যই এই দিনটি পালন শুরু করা হয়।