Logo
Logo
×

জাতীয়

পুলিশের ব্যারিকেড ভেঙে বঙ্গভবনের দিকে এগোচ্ছে কোটাবিরোধীরা 

Icon

যুগান্তর প্রতিবেদন

প্রকাশ: ১৪ জুলাই ২০২৪, ০২:০৩ পিএম

পুলিশের ব্যারিকেড ভেঙে বঙ্গভবনের দিকে এগোচ্ছে কোটাবিরোধীরা 

ছবি: সংগৃহীত

রাজধানীর শিক্ষা অধিকার চত্বরে আগে থেকেই বিপুলসংখ্যক পুলিশ ব্যারিকেড দিয়ে অবস্থান করছিল। তবে সরকারি চাকরিতে সব গ্রেডে কোটার যৌক্তিক সংস্কারের দাবিতে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা এই ব্যারিকেড ভেঙে সচিবালয়ের পাশ দিয়ে জিরো পয়েন্ট অভিমুখী সড়কে ঢুকে পড়েছেন। 

আন্দোলনকারীরা বলছেন, পূর্বঘোষণা অনুযায়ী তারা গণপদযাত্রা করে বঙ্গভবন অভিমুখে যাবেন। দাবির বিষয়ে তারা রাষ্ট্রপতি বরাবর স্মারকলিপি দেবেন।

রোববার দুপুর ১২টার দিকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের গ্রন্থাগারের সামনে থেকে ‘বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন’ ব্যানারে এই গণপদযাত্রা শুরু হয়। 

গণপদযাত্রার জন্য বেলা ১১টার আগে থেকেই ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় গ্রন্থাগারের সামনে খণ্ড খণ্ড মিছিল নিয়ে জড়ো হতে থাকেন শিক্ষার্থীরা। পরে বড় কিছু মিছিলও আসে।
গণপদযাত্রার উদ্দেশ্যে বিপুলসংখ্যক শিক্ষার্থীর মিছিল শুরু হয় দুপুর ১২টা ২ মিনিটে। মিছিলটি ক্যাম্পাসের বিভিন্ন সড়ক ঘুরে শাহবাগ, মৎস্য ভবন হয়ে শিক্ষা অধিকার চত্বরে গিয়ে পুলিশি ব্যারিকেডের মুখে পড়ে। পরে তারা ব্যারিকেড ভেঙে অগ্রসর হয়।

গণপদযাত্রায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাড়াও রাজধানীর বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয় ও কলেজের শিক্ষার্থীরা অংশ নিচ্ছেন। শনিবার সন্ধ্যায় আন্দোলনকারীরা এই কর্মসূচি দেন।
ঢাকায় এই কর্মসূচির পাশাপাশি সারা দেশে বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা নিজ নিজ জেলা প্রশাসকের কার্যালয় বরাবর গণপদযাত্রা করবেন। জেলা প্রশাসকের মাধ্যমে তারা রাষ্ট্রপতি বরাবর স্মারকলিপি দেবেন।

দাবি আদায়ে মাঠের কর্মসূচির সঙ্গে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়সহ বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয় ও কলেজে ‘বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন’-এর ডাকে রোববার টানা ষষ্ঠ দিনের মতো চলছে ক্লাস-পরীক্ষা বর্জন ও ছাত্র ধর্মঘট।

১ জুলাই থেকে টানা আন্দোলনে আছেন কোটাব্যবস্থা সংস্কারের দাবি জানানো শিক্ষার্থীরা। ২০১৮ সালের কোটা বাতিলের পরিপত্র পুনর্বহালসহ চার দফা দাবিকে সামনে রেখে আন্দোলন শুরু হয়েছিল। কিন্তু ৭ জুলাই থেকে তারা এক দফা দাবির কথা বলছেন। 

দাবিটি হচ্ছে সরকারি চাকরিতে সব গ্রেডে অযৌক্তিক ও বৈষম্যমূলক কোটা বাতিল করে সংবিধানে উল্লিখিত অনগ্রসর গোষ্ঠীর জন্য কোটাকে ন্যূনতম মাত্রায় এনে সংসদে আইন পাস করা। সব গ্রেডে সর্বোচ্চ ৫ শতাংশ কোটা রাখার প্রস্তাব দিয়েছেন তারা।
 

Jamuna Electronics
wholesaleclub

Logo

সম্পাদক : আবদুল হাই শিকদার

প্রকাশক : সালমা ইসলাম