কোটা সংস্কার আন্দোলন ইস্যুতে মন্তব্য করে এবার নিজের ভেরিফাইড ফেসবুক পেজ হারালেন জনপ্রিয় ক্যারিয়ার বিষয়ক বক্তা সুশান্ত পাল। অন্য একটি পেইজে পোস্ট করে তিনি নিজেই এটি নিশ্চিত করেছেন। তিনি লিখেছেন, আমার ভেরিফাইড পেইজটি সম্ভবত হ্যাকাররা রিমুভ করে দিয়েছেন। কিছুই বলার নেই। সব কিছুর ভার ঈশ্বরের হাতে ছেড়ে দিলাম। আপনারা ভালো থাকবেন।
হারিয়ে যাওয়া সেই পেজে শুক্রবার রাতে এক পোস্টে তিনি লিখেছিলেন, ‘কোটা এবং প্রশ্নফাঁস বিষয়ে কিছু না লিখলে যদি আপনাদের খারাপ লাগে, তাহলে এত কথা না বলে আমাকে আনফলো করে দিন। (আরও ভালো হয় ব্লক করে দিলে।)’ তার সেই কথাই রেখেছেন ফ্যান-ফলোয়াররা। কয়েক ঘণ্টার ব্যবধানে ফলোয়ার কমতে থাকে তার।
সুশান্ত পালের আলোচিত সেই পোস্টের নিচে তিনি নিজেই কমেন্ট করে জানিয়েছেন সব আপডেট। জানিয়েছেন ভালবাসাও। তিনি কমেন্টে লিখেছেন, মাত্র ১২ হাজারের মতো ফলোয়ার কমল! আমি মন থেকেই চাই, সংখ্যাটা ১ লক্ষ ছাড়াক। আনফলো করতে থাকুন অনুগ্রহ করে। আগাছা কমুক। আই লাভ ইউ।
কোটা আন্দোলনকারীদের নিয়ে সুশান্ত যখন পোস্ট দেন সেসময় পেজে ফলোয়ার ছিল ১.৮ মিলিয়ন (১৮ লাখ)।
পোস্টের কমেন্টে তিনি আরও লিখেছছিলেন, বিভিন্ন জায়গায় আমাকে নিয়ে দেখলাম খুব ম্যাসিভ আকারে চর্চা শুরু হয়ে গেছে। আমার হাসি পাচ্ছে, কেননা যে-বিষয় নিয়ে কথা হচ্ছে, তার সাথে আমার বিন্দুমাত্র সংযোগ নেই। আপনারা কী কারণে এভাবে একজন লোককে ক্রমাগত বিরক্ত করে যাচ্ছেন, আমার কাছে তা অস্পষ্ট। নিশ্চয়ই আপনারা ক্যান্ডিডেট নন, আপনারা কেবলই ফ্যাসাদ সৃষ্টি করার ব্যাপারে আগ্রহী। ভুল তো আপনাদের নয়, আমার। কখনও বিনা পয়সায় বাঙালির উপকার করতে নেই। আপনাদের বোধোদয় হোক।
তিনি আরও লিখেছেন, এত বেশি বিরক্ত করবেন না। আমি আপনার ফরমায়েশের চাকর নই। এভাবে সহজ করে বুঝিয়ে বলার পরও যদি বিরক্ত করে যান, তাহলে বুঝব, আপনার কোনো লজ্জাশরম ও কাণ্ডজ্ঞান নেই। আপনি আমাকে ব্লক না করলে আমি আপনাকে ব্লক করব এবং অবশ্যই করব। এতে আপনার সম্মান বাড়বে না, কমবে। আমি আপনাকে সম্মান করি, আপনি নিজেও নিজের সম্মান বজায় রাখুন। আপনার হাতে কাজ নেই, আর আমার হাতে সময় নেই। এ কারণেই আমি চাইছি না যে, আপনি মনে এত কষ্ট নিয়েও আমাকে ফলো করুন। সৃষ্টিকর্তা আমাদের সহায় হোন।
তবে এ বিষয়ে স্ট্যাটাস দিয়েও ক্ষান্ত হননি তিনি। কমেন্টে দিয়েছেন অনেকের রিপ্লাইও।
এর আগে ২০১৬ সালে ফেসবুকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় সম্পর্কে অশোভন মন্তব্য ও কটূক্তি করার অভিযোগ ওঠার পর ৩০তম বিসিএসের মাধ্যমে নিয়োগ পাওয়া এই কাস্টমস কর্মকর্তাকে ওএসডি করা হয়েছিল। জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) এক প্রজ্ঞাপনে সেই সময় বলা হয়েছিল, সুশান্ত পাল নামের ওই কর্মকর্তাকে তাৎক্ষনিকভাবে অবমুক্ত করা বা স্ট্যান্ড রিলিজ করা হয়েছে। একই সঙ্গে তার মানসিক চিকিৎসার ব্যবস্থা করারও আদেশ দেওয়া হয়েছিল।
এছাড়াও তার বিরুদ্ধে অভিযোগ রয়েছে যে, তিনি ও তার সহযোগী ছয় কর্মকর্তা-কর্মচারীর বিরুদ্ধে অভিযোগ, তারা কক্সবাজারের নামিদামি হোটেল-রেস্টুরেন্টকে রাজস্ব ফাঁকি দিতে সহায়তা করে ঘুষ নিয়ে শত কোটি টাকা লোপাট করেছেন।