ফাইল ছবি
বিশ্ব জনসংখ্যা সংক্রান্ত বিভিন্ন প্রশ্নের ওপর জনসচেতনতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে প্রতি বছর ১১ জুলাই পালিত হয় বিশ্ব জন্যসংখ্যা দিবস। বিশ্বের বিভিন্ন দেশের ন্যায় বাংলাদেশেও আজ দিবসটি পালিত হচ্ছে।
বিশ্ব জনসংখ্যা দিবসের ২০২৪ সালের প্রতিপাদ্য–‘অন্তর্ভুক্তিমূলক উপাত্ত ব্যবহার করি, সাম্যতার ভিত্তিতে টেকসই ও সহনশীল ভবিষ্যৎ গড়ে তুলি’।
এ উপলক্ষে বাংলাদেশ টেলিভিশন, বাংলাদেশ বেতার ও বেসরকারি চ্যানেলগুলো বিশেষ অনুষ্ঠান সম্প্রচার করবে।
বিভিন্ন কর্মসূচির মধ্য দিয়ে দিবসটি পালন করছে স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়। দিবসটি উপলক্ষে পৃথক বাণী দিয়েছেন রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
দিবসটি উপলক্ষে রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন বলেছেন, বর্তমানে দেশে জনসংখ্যার অর্ধেক নারী। জাতীয় উন্নয়নে নারীদের অধিক হারে সম্পৃক্ত করতে হবে। এছাড়া জেন্ডার সমতা অর্থাৎ নারী ও পুরুষের সমান অধিকার নিশ্চিতে সবাইকে একযোগে কাজ করতে হবে।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তার বাণীতে বলেছেন, সুস্থ-সবল জাতি গঠনের জন্য মা ও শিশুস্বাস্থ্য এবং প্রজনন স্বাস্থ্যসেবা সংক্রান্ত কর্মসূচির সর্বোত্তম ব্যবহার নিশ্চিত করে নারী ও কন্যাশিশুর অপার সম্ভাবনাসমূহ কাজে লাগানো এখন সময়ের দাবি।
তিনি বলেন, নিরাপদ মাতৃত্ব, কিশোর-কিশোরীর স্বাস্থ্য, নারী শিক্ষা ও নারী কর্মসংস্থানের জন্য নতুন নতুন পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়েছে। আমরা ১৮ হাজার ৫০০ কমিউনিটি ক্লিনিক ও ইউনিয়ন স্বাস্থ্যকেন্দ্র স্থাপন করেছি। এর ফলে গ্রামীণ দরিদ্র জনগোষ্ঠীর দোরগোড়ায় স্বাস্থ্যসেবা পৌঁছে দেওয়া সম্ভব হয়েছে।
উল্লেখ্য ১৯৮৭ সালের ১১ জুলাই তারিখে বিশ্ব জনসংখ্যা ৫০০ কোটি ছাড়িয়ে গেলে সারা বিশ্বের জনমানুষের মধ্যে যে আগ্রহের সৃষ্টি হয়, তাতে অনুপ্রাণিত হয়ে ১৯৮৯ সালে জাতিসংঘ উন্নয়ন কর্মসূচির পরিচালনা পরিষদ এই দিবসটি প্রতিষ্ঠা করে। বিশ্ব জনসংখ্যা দিবসের লক্ষ্য হলো পরিবার পরিকল্পনা, লিঙ্গসমতা, দারিদ্র, মাতৃস্বাস্থ্য এবং মানবাধিকারের মতো জনসংখ্যা সংক্রান্ত বিভিন্ন বিষয়ে জনগণের সচেতনতা বৃদ্ধি করা।