
প্রিন্ট: ২৮ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ০২:০৬ এএম
ঢাবিতে মাইকিং করে হলে হলে কোটা আন্দোলনকারীদের গণসংযোগ

যুগান্তর প্রতিবেদন
প্রকাশ: ০৯ জুলাই ২০২৪, ১০:১৬ পিএম

আরও পড়ুন
সরকারি চাকরিতে কোটা বৈষম্য নিরসনে এক দফা দাবিতে লাগাতার আন্দোলন ও ব্লকেড কর্মসূচি পালন করে যাচ্ছেন সাধারণ শিক্ষার্থীদের প্ল্যাটফর্ম ‘বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন’। আগামীকাল সকাল-সন্ধ্যা ‘বাংলা ব্লকেড’ কর্মসূচি সফলে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের হলে হলে গণসংযোগ করেছেন আন্দোলনকারীরা।
মঙ্গলবার বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় গ্রন্থাগারের সামনের সংবাদ সম্মেলন করেন কোটা সংস্কারের দাবিতে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা। এরপরেই পূর্বঘোষিত কর্মসূচির অংশ হিসেবে তারা হলে হলে প্রচারণা শুরু করেন।
এ সময় তারা জসীমউদ্দীন হল, জিয়া হল, বিজয় ৭১ হল, জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হল, বঙ্গবন্ধু হল হয়ে অন্যান্য হলগুলোতে প্রচারণা চালান।
আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা হ্যান্ড মাইকে সাধারণ শিক্ষার্থীদের জনসমর্থন আদায় করেন। স্লোগানের একাংশ নেতারা বললে সমস্বরে বাকি অংশ বলতে দেখা যায় হলে অবস্থানরত শিক্ষার্থীদেরকে।
এ সময় সাধারণ শিক্ষার্থীরাও তাদের স্বাগত জানান। শিক্ষার্থীরা এ সময় শিষ দিয়ে, চিৎকার করে, থালা-বাসন পিটিয়ে তাদের বিপুল সমর্থন জানান। আগামীকাল সকাল সন্ধ্যা ‘বাংলা ব্লকেড’ সফল হবে কি না এমন প্রশ্ন হ্যান্ড মাইক শিক্ষার্থীদের দিকে ছুঁড়ে দিলে শিক্ষার্থীরা ‘হবে’ বলে একত্রে চিৎকার করে সমর্থন জানান।
শিক্ষার্থীদের এক দফ দাবি হলো:
সকল গ্রেডে অযৌক্তিক ও বৈষম্যমূলক কোটা সংস্কার করে সংবিধানে উল্লিখিত অনগ্রসর গোষ্ঠীর জন্য কোটাকে নূন্যতম (সর্বোচ্চ ৫%) মাত্রায় এনে সংসদে আইন পাশ করে কোটাপদ্ধতিকে সংশোধন করতে হবে।
প্রসঙ্গত, দেশজুড়ে শিক্ষার্থীদের তুমুল আন্দোলনের মুখে ২০১৮ সালের ৪ অক্টোবর সরকারি চাকরিতে নারী কোটা ১০ শতাংশ, মুক্তিযোদ্ধা কোটা ৩০ শতাংশ এবং জেলা কোটা ১০ শতাংশ বাতিল করে পরিপত্র জারি করে সরকার। গত ৫ জুন ২০১৮ সালের জারিকৃত পরিপত্রটি বাতিল করা হয় এরপর আবারো ক্যাম্পাসগুলোতে আন্দোলন ছড়িয়ে পড়ে।