Logo
Logo
×

জাতীয়

মতিউর ও তার পরিবারের এনআইডি-পাসপোর্টের তথ্য চেয়েছে দুদক

Icon

যুগান্তর প্রতিবেদন

প্রকাশ: ০৯ জুলাই ২০২৪, ০৮:৫৩ পিএম

মতিউর ও তার পরিবারের এনআইডি-পাসপোর্টের তথ্য চেয়েছে দুদক

জাতীয় রাজস্ব বোর্ড থেকে সাময়িক বরখাস্ত কর্মকর্তা মতিউর রহমান ফাইল ছবি

ছাগলকাণ্ডে আলোচিত জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) থেকে সাময়িক বরখাস্ত কর্মকর্তা মতিউর রহমান ও তার স্ত্রী-সন্তানদের এনআইডি ও পাসপোর্টের তথ্য চায় দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। এজন্য তারা নির্বাচন কমিশন (ইসি) ও পাসপোর্ট অধিদপ্তরে চিঠি দিয়েছে। 

মঙ্গলবার দুদকের প্রধান কার্যালয় থেকে পাঠানো পৃথক চিঠিতে ইসি ও পাসপোর্ট অফিসে এসব তথ্য চেয়েছে। দুদকের একটি সূত্র এ তথ্য নিশ্চিত করেছে।

এর আগে মতিউর, তার স্ত্রী লায়লা কানিজ ও শাম্মী আক্তার শিবলী, ছেলে আহমেদ তৌফিকুর রহমান অর্নব, মেয়ে ফারজানা রহমান ইস্পিতার জ্ঞাত-আয়বহির্ভূত সম্পদের হিসাব বিবরণীর জন্য নোটিশ দেয় দুদক। ২১ কর্মদিবসের মধ্যে এই হিসাব দিতে বলা হয়েছে। গত ২ জুলাই দুদক কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে এ কথা জানান সংস্থাটির সচিব খোরশেদা ইয়াসমিন। 

সপ্তাহের ব্যবধানে মঙ্গলবার জানা গেছে, দুদক তাদের এনআইডি ও পাসপোর্টের তথ্য চেয়েছে। 

এদিকে দুদক আইনজীবী খুরশিদ আলম জানান, মতিউরের দেশের বাইরে যাওয়ার কোনো তথ্য নেই। ব্যাংক থেকে টাকা সরানোর বিষয়ে জানতে চাইলে সংস্থাটির আইনজীবী বলেছেন, ‘টাকা যেখানেই সরানো হোক খুঁজে বের করা অসম্ভব নয়।’

তার আগে ৩০ জুন মতিউর ও তার পরিবারের সদস্যদের জ্ঞাত-আয়বহির্ভূত ক্রয়কৃত কোনো জমি আছে কিনা, সেটি জানতে ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন জেলার সাবরেজিস্ট্রি অফিসে চিঠি দেয় দুদক।

এবার ঈদুল আজহার সময় এনবিআরের সাবেক কর্মকর্তা মতিউর রহমানের দ্বিতীয় স্ত্রীর ছেলে মুশফিকুর রহমান ১৫ লাখ টাকার ছাগল কিনতে গিয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ব্যাপক আলোচনায় আসেন। ছেলের বিলাসী জীবনযাপন নিয়ে তুমুল আলোচনা-সমালোচনার সূত্র ধরেই মতিউরের বিপুল সম্পদের বিষয়টি সামনে আসে। 

এরপর থেকে মতিউর রহমান ও তার পরিবারের সদস্যদের নামে রিসোর্ট, শুটিং স্পট, পার্ক, বিলাসবহুল বাংলোবাড়ি, জমিসহ নামে-বেনামে বিপুল সম্পত্তি থাকার তথ্য বেরিয়ে আসতে থাকে। পুঁজিবাজারেও মোটা অঙ্কের বিনিয়োগ আছে মতিউরের।

এ ঘটনার পর মতিউর, তার স্ত্রী নরসিংদীর রায়পুরা উপজেলা চেয়ারম্যান লায়লা কানিজ ও তাদের ছেলে আহম্মেদ তৌফিকুর রহমান অর্ণবকে বিদেশ গমনে নিষেধাজ্ঞা দেন আদালত। মতিউরকে এনবিআর কর্মকর্তার দায়িত্ব থেকে সরিয়ে ওএসডি (অফিসার অন স্পেশাল ডিউটি) করা হয়। 

তিনি রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন সোনালী ব্যাংক পিএলসির পরিচালক হিসেবেও দায়িত্ব পালন করছিলেন। তবে আলোচনা-সমালোচনার পরিপ্রেক্ষিতে তাকে ব্যাংকের বোর্ড থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়।

Jamuna Electronics

Logo

সম্পাদক : সাইফুল আলম

প্রকাশক : সালমা ইসলাম