স্মার্ট বাংলাদেশ গড়তে মৎস্য ও প্রাণী খাতবিশেষ ভূমিকা রাখবে: প্রাণিসম্পদমন্ত্রী
যুগান্তর প্রতিবেদন
প্রকাশ: ০৭ জুলাই ২০২৪, ১১:৫০ পিএম
মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী মো. আব্দুর রহমান বলেছেন, দেশ এখন দারুণ ভাবে উন্নয়নে এগিয়ে যাচ্ছে। স্মার্ট বাংলাদেশের দিকে দেশ এগিয়ে যাচ্ছে। আমি মনে করি, মৎস্য ও প্রাণী খাত স্মার্ট বাংলাদেশ গঠনে বিশেষ ভূমিকা রাখবে।
রোববার সন্ধায় ঢাকার বনানীর একটি হোটেলে বাংলাদেশ ইন্টারন্যাশনাল অ্যাকোয়াকালচার অ্যান্ড সিফুডশো উপলক্ষ্যে আয়োজিত ইনফরমেশন ডেসিমিনেশন প্রোগাম এ প্রধান অতিথির বক্তব্য প্রদানকালে মন্ত্রী এসব কথা বলেন।
মো. আব্দুর রহমান বলেন, বিশ্বের বুকে মিঠা পানির মাছে প্রথম স্থান অর্জন করবে। ২০৪১ সালের মধ্যে দেশে ৮০ লাখ মেট্রিকটন মাছ উৎপাদন হবে। আমরা মৎস্য উৎপাদনে বিশ্বকে তাক লাগিয়ে দেব। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ে তোলা হবে। মৎস্য ও প্রাণী খাত আরও উন্নয়ন করবে। বাংলাদেশ শুধু মাত্র সিফুড রপ্তানি করে বছরে ৫ মিলিয়নের বেশি ডলার আয় করবে। আগামী ১৭ থেকে ১৯ জুলাই বঙ্গবন্ধু আর্ন্তজাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে তিন দিনব্যাপী বাংলাদেশ ইন্টারন্যাশনাল অ্যাকোয়াকালচার অ্যান্ড সিফুড শো ২০২৪ উদ্বোধন হবে। ১৮ জুলাই সীফুড শো উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
মন্ত্রী বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান স্বাধীনতা উত্তর বাংলাদেশের অর্থনৈতিক সমৃদ্ধির জন্য মৎস্য খাতের গুরুত্ব অনুধাবন করে নানা দূরদর্শী পদক্ষেপ গ্রহণ করেছিলেন। সে সময় বঙ্গবন্ধু বলেছিলেন, আমরা বাংলাদেশের মানুষ, আমার মাটি আছে, আমার সোনার বাংলা আছে, আমার পাট আছে, আমার মাছ আছে, আমার লাইভস্টক আছে। যদি ডেভেলপ করতে পারি ইনশাল্লাহ, এই দিন আমাদের থাকবে না।
তিনি বলেন, ভিশন ২০৪১ অনুযায়ী ২০৪১ সালে আমাদের ৮৫ লাখ মেট্রিকটন মাছ উৎপাদন করতে হবে যা অর্জনের জন্য আমাদের সর্বাত্নক প্রচেষ্ঠা অব্যাহত রাখতে হবে।
প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের সচিব সাঈদ মাহমুদ বেলাল হায়দর এর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে বাংলাদেশ বিনিয়োগ উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (বিডা) নির্বাহী চেয়ারম্যান লোকমান হোসেন মিয়া ও মৎস্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক জনাব সৈয়দ মো. আলমগীর উপস্থিত ছিলেন।
এছাড়া অনুষ্ঠানে বিভিন্ন দেশের অ্যাম্বাসেডর/হাইকমিশনার ও বিদেশী মিশনের প্রধানগণ উপস্থিত ছিলেন।
এ আয়োজনে ৩৫টি দেশের ১০০টি স্টল থাকবে। যেখানে প্রায় ১০ হাজার অতিথি, দর্শনার্থী পরিদর্শন করবে।