প্রথম ও দ্বিতীয় শ্রেণির সরকারি চাকরিতে ৩০ শতাংশ মুক্তিযোদ্ধা কোটাসহ ৫৬ শতাংশ কোটা বাতিল এবং ২০১৮ সালের পরিপত্র পুনর্বহালের দাবিতে চতুর্থ দিনের মতো আন্দোলনে নেমেছেন শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা।

আন্দোলনের অংশ হিসেবে শনিবার বিকাল সাড়ে তিনটা থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান ফটক সংলগ্ন সিলেট-সুনামগঞ্জ মহাসড়ক অবরোধ করে রাখেন শিক্ষার্থীরা। বিকাল সোয়া ৫টা পর্যন্ত প্রায় পৌনে দুইঘন্টা শিক্ষার্থীরা সড়ক অবরোধ করে রাখেন।

এ সময় আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীরা সড়ক অবরোধ করে বিভিন্ন স্লোগান দিতে থাকেন। এতে সৃষ্টি হয় প্রায় ৫ কি.মি দীর্ঘ যানজটের।

শাবির প্রধান ফটকের সামনে এ অবরোধে অংশ নেন প্রায় তিন শতাধিক শিক্ষার্থী। এ সময় ‘কোটা না মেধা, মেধা মেধা’, ‘সংবিধানের মূল কথা, সুযোগের সমতা’, ‘বঙ্গবন্ধুর বাংলায়, বৈষম্যের ঠাঁই নাই’, ‘মুক্তিযুদ্ধের বাংলায়, বৈষম্যের ঠাঁই নাই’, ‘মুক্তিযুদ্ধের চেতনা, কোটা প্রথা মানে না’- ইত্যাদি স্লোগানে মুখরিত হয়ে উঠে সমাবেশস্থল।

আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীরা বলেন, কেনো স্বাধীন বাংলাদেশে মেধাবী শিক্ষার্থীরা কোটা নিয়ে বৈষম্যের স্বীকার হবে? ১ম এবং ২য় শ্রেণির সরকারি চাকরির ৫৬ শতাংশ যদি কোটার ভিত্তিতে নিয়োগ দেওয়া হয় মেধাবী শিক্ষার্থীরা কী করবে? শিক্ষার্থীদের পক্ষে এমন অবহেলা এবং বৈষম্য মেনে নেওয়া হবে না। তাই ২০১৮ সালে কোটা নিয়ে যে পরিপত্র জারি করা হয়েছিল তা বহাল রাখতে হবে। যতক্ষণ না ২০১৮ সালের পরিপত্র বহাল থাকছে এবং কোটা ব্যবস্থা বাতিল করে মেধার ভিত্তিতে চাকরিতে নিয়োগ দেওয়া হয় ততক্ষণ পর্যন্ত আমাদের এ আন্দোলন চলবে।