ছাগলকাণ্ডের ১৪ দিন পর প্রথম স্ত্রী লাকী প্রকাশ্যে এলেও এখনো মতিউরের হদিস নেই। তিনি কর্মস্থলেও যাচ্ছেন না।
এনবিআরের সদস্য পদ থেকে তাকে অর্থ মন্ত্রণালয়ে সংযুক্তি করা হয়েছে।
সেখানে তিনি কারও মাধ্যমে যোগদানপত্র জমা দিয়েছেন নাকি ছুটি নিয়েছেন, যোগদানপত্র জমা না দিলে বা ছুটি না নিলে তার বিরুদ্ধে কি ধরনের বিভাগীয় ব্যবস্থা নেওয়া হতে পারে সে বিষয়েও কেউ মুখ খুলছে না।
অর্থ মন্ত্রণালয়ের পুরোনো ভবনের দোতলায় তার জন্য নির্ধারিত কক্ষটিও পরিপাটি করা হয়নি।
তবে তিনি নিজেকে রক্ষায় বরাবরের মতোই প্রভাবশালী মহলে তদবিরে নেমেছেন। গণমাধ্যমে তাকে ও তার পরিবারকে নিয়ে যাতে সংবাদ প্রচার না হয় সে চেষ্টাও চালাচ্ছেন।
তার প্রথম পক্ষের স্ত্রী রায়পুরা উপজেলা চেয়ারম্যান লায়লা কানিজ লাকী প্রকাশ্যেই বলেছেন, ঢাকার ও নরসিংদীর টেলিভিশন ও পত্রিকার বড় বড় সাংবাদিকদের ম্যানেজ করেই রায়পুরায় গেছেন। আর কিছু হবে না। সব থেমে যাবে বলেও দম্ভোক্তি করেছেন তিনি।
ঈদুল আজহার আগে মোহাম্মদপুরের বিতর্কিত সাদিক অ্যাগ্রো থেকে ১৫ লাখ টাকায় একটি ছাগল কেনেন ধানমন্ডির তরুণ মুশফিকুর রহমান ইফাত।
এই ছাগল কেনার খবর সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে ভাইরাল হলে ইফাতের অর্থের উৎস নিয়ে প্রশ্ন উঠে।
এরপরই দৃশ্যপটে আসে এনবিআর সদস্য মতিউর রহমান পরিবারের বিপুল সম্পদ।
প্রাথমিক অনুসন্ধানে দুদক নিশ্চিত হয়েছে, নামে-বেনামে সম্পদ গড়ে তুলেছেন মতিউর। নিজের নামে মাত্র ২০ কোটি টাকার সম্পত্তি আয়কর ফাইলে দেখিয়েছেন।
বাকি কয়েক হাজার কোটি টাকার সম্পদ করেছেন স্ত্রী-সন্তান, ভাই ও আত্মীয়স্বজনের নামে।
এছাড়া দেশের তিন বড় শিল্প গ্রুপে চুক্তিপত্র দলিলের মাধ্যমে মতিউরের প্রায় সাত হাজার কোটি টাকা বিনিয়োগের তথ্য পেয়েছে দুদক। এ তথ্য যাচাই-বাছাই ও দালিলিক প্রমাণাদি সংগ্রহের প্রক্রিয়া চলছে।