এবার পেন্টাগনের ব্রিফিংয়ে জেনারেল আজিজ প্রসঙ্গ, যা বললেন মুখপাত্র
যুগান্তর ডেস্ক
প্রকাশ: ২৬ জুন ২০২৪, ০৬:১৯ পিএম
বাংলাদেশে গণতান্ত্রিক প্রতিষ্ঠান ও আইনের শাসনকে শক্তিশালী করার জন্য যুক্তরাষ্ট্রের যে প্রতিশ্রুতি রয়েছে, তা পুনর্নিশ্চিত করতেই সাবেক সেনাপ্রধান জেনারেল (অব.) আজিজ আহমেদের বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছে যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিরক্ষা দপ্তর-পেন্টাগন।
এ ছাড়া বাংলাদেশে দুর্নীতি রোধে যেসব পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে, পেন্টাগন সেগুলোকে সমর্থন করে বলেও জানানো হয়েছে।
মঙ্গলবার মার্কিন প্রতিরক্ষা দপ্তরের নিয়মিত সংবাদ সম্মেলনে এক সাংবাদিকের প্রশ্নের জবাবে এসব কথা বলেন মার্কিন প্রতিরক্ষা দপ্তর পেন্টাগনের মুখপাত্র মেজর জেনারেল প্যাট রাইডার।
ব্রিফিংয়ে ওই সাংবাদিক সাবেক সেনাপ্রধান আজিজের ওপর মার্কিন নিষেধাজ্ঞা এবং বাংলাদেশের চলমান গণতান্ত্রিক পরিস্থিতি প্রসঙ্গে প্রশ্ন করেন।
জবাবে পেন্টাগনের মুখপাত্র মেজর জেনারেল প্যাট রাইডার বলেন, ব্যাপক দুর্নীতিতে জড়িত থাকার দায়ে মার্কিন স্টেট ডিপার্টমেন্ট জেনারেল (আজিজ) আহমেদের ওপরে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে। গত মে মাসে আরোপ করা এই নিষেধাজ্ঞা বাংলাদেশে গণতান্ত্রিক প্রতিষ্ঠান এবং আইনের শাসনকে শক্তিশালী করার জন্য যুক্তরাষ্ট্রের যে প্রতিশ্রুতি রয়েছে, সেটিকে পুনঃনিশ্চিত করছে এবং দুর্নীতি রোধে বাংলাদেশে যেসব পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে সেগুলোকে সমর্থন করে পেন্টাগন।
পেন্টাগন মুখপাত্র আরও বলেন, বাংলাদেশের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের ঘনিষ্ঠ দ্বিপাক্ষিক প্রতিরক্ষা সম্পর্ক রয়েছে। অবাধ এবং মুক্ত ইন্দো-প্যাসিফিক অঞ্চল, সামুদ্রিক এবং আঞ্চলিক নিরাপত্তার মতো বিষয়গুলোতে দুই দেশের অভিন্ন স্বার্থ ও মুল্যবোধের ভিত্তিতে সেখানে অংশীদারিত্ব বিরাজমান।
যুক্তরাষ্ট্র এর আগে গত ২১ মে জেনারেল আজিজ আহমেদের বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞার ঘোষণা দেয়। মার্কিন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের ওয়েবসাইটে প্রকাশিত এক বিবৃতিতে জানানো হয়, আজিজ আহমেদের কর্মকাণ্ড বাংলাদেশের গণতন্ত্রের অবমূল্যায়ন এবং সরকারি প্রতিষ্ঠান ও প্রক্রিয়ার ওপর জনগণের আস্থা ক্ষুন্ন করেছে।
বিবৃতিতে আরও বলা হয়, আজিজ আহমেদ তার ভাইকে বাংলাদেশে অপরাধমূলক কর্মকাণ্ডের জন্য জবাবদিহিতা এড়াতে সহযোগিতা করেন। এটি করতে গিয়ে তিনি উল্লেখযোগ্য দুর্নীতিতে জড়িয়েছেন। এ ছাড়া তিনি তার ভাইকে সামরিক খাতে অন্যায্যভাবে কন্ট্রাক্ট পাওয়া নিশ্চিত করার জন্য কাজ করেছেন এবং সরকারি নিয়োগ দিতে ঘুষ গ্রহণ করেছেন।
ডিপার্টমেন্ট অব স্টেট, ফরেন অপারেশন অ্যান্ড রিলেটেড প্রোগ্রামস অ্যাপ্রোপ্রিয়েশনস অ্যাক্টের ৭০৩১ (সি) ধারার এই নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হয়েছে বলে মার্কিন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের ওই বিবৃতিতে জানানো হয়। এর ফলে আজিজ আহমেদ এবং তার পরিবারের সদস্যরা যুক্তরাষ্ট্রে প্রবেশের অযোগ্য বলে বিবেচিত হবেন।