নিত্যপণ্য আমদানিতে ভারত-মিয়ানমারের সঙ্গে চুক্তি হচ্ছে
যুগান্তর প্রতিবেদন
প্রকাশ: ২৬ জুন ২০২৪, ০৩:৪৪ পিএম
বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী আহসানুল ইসলাম টিটু বলেছেন, নিত্যপণ্য আমদানির জন্য ভারতের পাশাপাশি মিয়ানমারের সঙ্গে একটি চুক্তিসই হচ্ছে। বাংলাদেশ সরকারের পক্ষে ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশ (টিসিবি) এ চুক্তিসই করবে।
বুধবার সচিবালয়ের গণমাধ্যম কেন্দ্রে ‘বিএসআরএফ সংলাপ’ অনুষ্ঠানে প্রতিমন্ত্রী এ কথা বলেন।
সাংবাদিকদের সংগঠন বাংলাদেশ সেক্রেটারিয়েট রিপোর্টার্স ফোরাম (বিএসআরএফ) এ সংলাপের আয়োজন করে।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, নিত্যপণ্য আমদানির ক্ষেত্রে সরবরাহ যেন নিরবচ্ছিন্ন থাকে সে জন্য ভারতের সঙ্গে একটি চুক্তি করতে যাচ্ছি। মিয়ানমার থেকেও যেন আমরা কৃষি উৎপাদিত পণ্যগুলো আনতে পারি, যেগুলো তাদের উদ্বৃত্ত আছে। এ বিষয়ে একটি চুক্তি আমরা প্রায় চূড়ান্ত করে ফেলেছি। আগামী জুলাই মাসে সেই চুক্তিটা সই করতে চেষ্টা করব আমরা।
তিনি বলেন, মিয়ানমার থেকে আমরা পেঁয়াজ, ডালসহ নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসগুলো আনতে পারব। লক্ষ্য একটাই— সেটা হলো আমাদের কার্যক্রমের মাধ্যমে কিছুটা হলেও যেন সাধারণ মানুষকে একটু স্বস্তি দিতে পারি। কিছুটা হলেও যেন বাজার সচল রাখতে পারি। সে জন্যই আমরা এ কার্যক্রম পরিচালনা করছি।
তিনি বলেন, আগে ট্রানজেকশনগুলো শুধু পোর্টে হতো, এখন অনেক ল্যান্ডপোর্ট ওপেন হয়েছে। ল্যান্ডপোর্টের সঙ্গে আমরা বর্ডার হাটগুলোকে গুরুত্ব দিয়েছি। অনেক দুর্গম এলাকায় আমাদের বর্ডার আছে। সেখানে জনবিচ্ছিন্ন মানুষ আছে, তাদের সুবিধা বাড়ানোর জন্য আমরা কয়েকটা বর্ডার হাট করেছি।
বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী বলেন, কোভিডের জন্য কিছুটা স্থগিত ছিল। আবার আমরা বর্ডার হাটের দিকে নজর দেব। দুই সরকারেরই বর্ডার হাটের ব্যাপারে আগ্রহ আছে। প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশে আমরা দ্রুত দুর্গম বর্ডার এলাকায় বর্ডার হাট প্রতিষ্ঠা করব। এতে আমাদের আমদানি-রপ্তানি বাণিজ্য অনেক সহজ হবে।
তিনি বলেন, ২৩টি দেশে আমাদের কমার্শিয়াল কাউন্সিলর আছেন। যারা সরাসরি আমাদের অধীনস্থ। তাদের আমরা একটা জবাবদিহিতায় এনেছি। তারা প্রতি মাসে অতিরিক্ত সচিবকে রিপোর্ট করেন। নতুন নতুন মার্কেট এক্সেস, নতুন নতুন পণ্য বাজারজাত করার জন্য আমাদের কর্মকাণ্ড জোরদার করছি।
বিএসআরএফ সভাপতি ফসিহ উদ্দীন মাহতাবের সভাপতিত্বে সংলাপ সঞ্চালনা করেন সাধারণ সম্পাদক মাসউদুল হক।