পুলিশ নারী কল্যাণ (পুনাক) সমিতির সভানেত্রী ডা. তৈয়বা মুসাররাত জাঁহা চৌধুরী বলেছেন, স্মার্ট বাংলাদেশ গড়তে হলে সবার আগে নাগরিকদের স্মার্ট হতে হবে। এক্ষেত্রে কিশোর-কিশোরীদের অগ্রাধিকার দিতে হবে। বিপথগামীদের সমাজের মূলধারায় ফিরিয়ে আনতে হবে। কারণ আজকের শিশুরাই আগামী দিনে দেশ পরিচালনা করবে। তাই বর্তমান শিশু-কিশোরদের প্রতি বিশেষভাবে নজর দিলে আগামী ২০৪১ সালের মধ্যে বাংলাদেশ স্মার্ট ও উন্নত সমৃদ্ধ দেশ হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হবে বলে আমি বিশ্বাস করি।
মঙ্গলবার পুনাক খুলনা রেঞ্জে ‘স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণে আমাদের কিশোর-কিশোরীরা’ প্রতিপাদ্য বিষয়ে একটি সচেতনতামূলক সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।
পুনাক সভানেত্রী আরও বলেন, আমাদের শিক্ষা ব্যবস্থা, পরিবার এবং সমাজকে একযোগে কাজ করতে হবে; যাতে কিশোর-কিশোরীরা একটি সুষ্ঠু এবং উন্নত ভবিষ্যতের জন্য প্রস্তুতি নিতে পারে। ভুলক্রমে বিপথগামী হওয়া কিশোরীরা কিভাবে সমাজের মূলধারায় ফিরে আসতে পারে সে বিষয়েও তিনি আলোকপাত করেন। সমাজের সব সচেতন নাগরিকদের তিনি আহ্বান জানান, তারা যেন স্নেহ ও ভরসা দিয়ে এসব কিশোরীদের পাশে দাঁড়ান।
‘বই হোক জীবনের শ্রেষ্ঠ বন্ধু’ এ কার্যক্রমের ধারাবাহিকতায় খুলনা জেলা পুলিশ লাইনের লাইব্রেরি উদ্বোধন করা হয়। মেধাবী ছাত্র-ছাত্রীদের মাঝে মেধাভিত্তিক বৃত্তি প্রদান করেন পুনাক সভানেত্রী। তিনি খুলনা জেলা সফরকালে প্রথমবারের মতো সমাজের পশ্চাৎপদ জনগোষ্ঠী ‘দলিত’ ও সংখ্যালঘু নৃ-গোষ্ঠী মুনডা সম্প্রদায়ের জীবনমান উন্নয়নে তাদের উৎসাহ দানেও স্মারক উপহার দেন।
সভায় প্রধান বক্তা ছিলেন সরকারি ব্রজলাল কলেজের (বিএল) প্রিন্সিপাল অধ্যাপক ড. শরীফ আতিকুজ্জামান।
খুলনা মেডিকেল কলেজের মানসিক রোগ বিশেষজ্ঞ ডা. সোহেল হাসান, খুলনার প্রবেশন অফিসার আবুল হাসনাত লিখন, জেলা লিগ্যাল এইড অফিসার মো. শরিফুর রহমান, মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদফতর খুলনার অতিরিক্ত পরিচালক মোহাম্মদ আহসানুর রহমান, খুলনা প্রেস ক্লাবের সভাপতি মো. নজরুল ইসলাম, সাধারণ সম্পাদক মামুন রেজা, রূপান্তরের (এনজিও) নির্বাহী পরিচালক স্বপন কুমার গুহসহ বিভিন্ন স্কুলের শিশু-কিশোর, তাদের অভিভাবক এবং প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক মিডিয়ার সাংবাদিকরা উপস্থিত ছিলেন।
এতে সভাপতিত্ব করেন পুনাক খুলনা রেঞ্জের উপদেষ্টা রওশন জাহান নূপুর।