আজ রাত ৮টার পর ভর্তি প্রক্রিয়ার জন্য তৈরি করা ওয়েবসাইটে ফলাফল প্রকাশ করা হয়। এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন ঢাকা শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান অধ্যাপক তপন কুমার সরকার।
তিনি বলেন, রাত ৮টার পর ওয়েবসাইটে (xiclassadmission.gov.bd) একাদশ শ্রেণিতে ভর্তির ফল প্রকাশ করা হয়েছে। এর পর আবেদনের সময় দেওয়া মোবাইলে ক্ষুদে বার্তার মাধ্যমে ফলাফল জানিয়ে দেওয়া হয়েছে।
যেসব আবেদনকারী কাঙ্ক্ষিত কলেজ পায়নি তাদের বিষয়ে কী সিদ্ধান্ত হয়েছে এমন প্রশ্নের জবাবে ঢাকা শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান বলেন, প্রথম পর্যায়ে যারা কলেজ পায়নি তাদের দ্বিতীয় ও তৃতীয় ধাপে আবেদনের সুযোগ আছে। প্রতি বছরের মতো এবারও আমরা দেখেছি অনেক আবেদনকারী শুধুমাত্র পাঁচটি কলেজ চয়েস দিয়েছে। দেখা গেছে আবেদনকারীর স্কোর, অর্ডার অব চয়েস ও তার র্যাংকিং আসেনি। এসব শিক্ষার্থীকেই পুনরায় আবেদন করতে হবে।
একাদশ শ্রেণিতে ভর্তি বিষয়ক ওয়েবসাইটে বলা হয়েছে, নির্বাচিত শিক্ষার্থীদের সোমবার (২৪ জুন) থেকে মোবাইল ব্যাংকিং চার্জ বাদে রেজিস্ট্রেশন ফি ২২৮ টাকা (ওয়েবসাইটে উল্লেখিত অপারেটরের মাধ্যমে) জমা দিয়ে ভর্তির প্রাথমিক নিশ্চায়ন করতে হবে। তবে পরবর্তীতে মাইগ্রেশন হলে শিক্ষার্থীকে নতুন করে ভর্তি নিশ্চায়ন করতে হবে না অর্থাৎ কোনো রেজিস্ট্রেশন ফি দিতে হবে না।
জানা গেছে, প্রথম ধাপের আবেদন প্রক্রিয়া শেষ হয়েছে গত ১৩ জুন। বাছাই প্রক্রিয়া শেষে ১০ দিন পর রোববার (২৩ জুন) ফল প্রকাশ করা হয়েছে। ভর্তি নীতিমালার সময়সূচি মেনে অন্যান্য সব কার্যক্রম যথাসময়ে শেষ করা হবে। ভর্তি নীতিমালা অনুযায়ী, প্রথম ধাপে ফল প্রকাশের পর নির্বাচিতদের নিশ্চায়ন করতে হবে। তাদের নিশ্চায়ন প্রক্রিয়া শেষ হলে শূন্য আসনে ৩০ জুন থেকে দ্বিতীয় ধাপে আবেদন শুরু হবে, যা চলবে ২ জুলাই পর্যন্ত। ৪ জুলাই রাত ৮টায় দ্বিতীয় ধাপের ফল প্রকাশ করা হবে। এরপর টানা চারদিন চলবে দ্বিতীয় ধাপে নির্বাচিতদের নিশ্চায়ন প্রক্রিয়া।
৯ ও ১০ জুলাই তৃতীয় ধাপে আবেদন নেওয়া হবে, যার ফল প্রকাশ করা হবে ১২ জুলাই রাত ৮টায়। তিন ধাপে আবেদনের পর ফল প্রকাশ, নিশ্চায়ন ও মাইগ্রেশন শেষে ১৫ জুলাই থেকে ভর্তি প্রক্রিয়া শুরু হবে। চলবে ২৫ জুলাই পর্যন্ত। ভর্তি কার্যক্রম শেষে আগামী ৩০ জুলাই সারাদেশে একযোগে একাদশ শ্রেণিতে ক্লাস শুরু হবে। এর আগে, গত ২৬ মে শুরু হয়ে ১৩ জুন একাদশ শ্রেণিতে ভর্তির প্রথম ধাপে আবেদন প্রক্রিয়া শেষ হয়।
চলতি বছর এসএসসি, দাখিল ও সমমানের পরীক্ষায় ১১টি শিক্ষা বোর্ডে পরীক্ষার্থী ছিল ২০ লাখ ১৩ হাজার ৫৯৭ জন। এর মধ্যে পাস করেছে ১৬ লাখ ৭২ হাজার ১৫৩ জন। সারা দেশে একাদশ শ্রেণিতে ভর্তিযোগ্য আসন আছে ২৫ লাখের মতো।