ফাইল ছবি
ঝিনাইদহ-৪ আসনের সংসদ-সদস্য (এমপি) আনোয়ারুল আজিম আনার হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় আরও অন্তত সাতজন ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা (ডিবি) পুলিশের নজরদারিতে রয়েছে। তারা আনার হত্যাকাণ্ডের মাস্টারমাইন্ড আক্তারুজ্জামান শাহীনের ঘনিষ্ঠ।
রাজধানীর গুলশানে আনারের ফ্ল্যাটে তাদের অবাধ যাতায়াত ছিল। আনার হত্যার আগে পরে তারা ওই ফ্ল্যাটে একাধিকবার বৈঠক করেছে বলে ধারণা ডিবির। শাহীনের গুলশানের বাসায় নিরাপত্তা প্রহরীদের কাছে থাকা নিবন্ধন খাতা সূত্রে তাদের নাম ও ফোন নম্বর সংগ্রহ করেছে ডিবি। যে কোনো সময় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তাদের ডাকা হতে পারে। সংশ্লিষ্ট সূত্রে এসব তথ্য জানা গেছে।
ঢাকা ছাড়ার আগে আরিয়ার সঙ্গে ‘রাত কাটান’ শাহীন
এদিকে কলকাতায় আনার হত্যার সব আয়োজন সম্পন্ন করে মাস্টারমাইন্ড শাহীন ১০ মে বাংলাদেশে চলে আসেন। দেশে এসে ওঠেন গুলশান দুই নম্বরের ৬৫ নম্বর রোডের ১৭ নম্বর হাউজের দ্বিতীয় তলার বি-১ ফ্ল্যাটে। আনার নিখোঁজের সংবাদ ছড়িয়ে পড়ার পর শাহীন বুঝতে পারেন তিনি গ্রেফতার হতে পারেন। এজন্য যুক্তরাষ্ট্রে পালিয়ে যাওয়ার আগে গত ২০ মে রাতে গুলশানের বাসা ছেড়ে বান্ধবী চেলসি চেরী ওরফে আরিয়াকে নিয়ে রাজধানীর একটি হোটেলে রাত কাটান।
আনার হত্যা মামলার তদন্ত প্রায় চূড়ান্ত পর্যায়ে বলে জানিয়েছে ডিবি। এ মামলায় কোনো ধরনের চাপ নেই এবং অহেতুক কাউকে হয়রানি করা হবে না বলেও জানিয়েছেন ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (ডিবি) মোহাম্মদ হারুন অর রশীদ।
রোববার দুপুরে রাজধানীর মিন্টো রোডে ডিবি কার্যালয়ের কনফারেন্স রুমে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন, এ মামলায় কোনো নিরপরাধ ব্যক্তিকে হয়রানি করা হবে না এবং কাউকে অযথা ডাকাডাকি করা হবে না। সুস্পষ্ট তথ্যের ভিত্তিতে তদন্তকারী কর্মকর্তা যাকে প্রয়োজন মনে করবে তাকে আদালতের অনুমতি নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করবে।