গ্রাফিক্স : যুগান্তর
এবারের কুরবানির ঈদে আলোচনায় ছিল সাদিক অ্যাগ্রো। মাস দুয়েক আগে রাজধানীতে প্রাণিসম্পদ মেলায় প্রথমে আলোচনায় এসেছিলেন কোটি টাকার একটি গরু নিয়ে। এরপর ১৫ লাখ টাকার ছাগল। বিসয়গুলো নিয়ে একাধিক শিরোনাম হয়েছে বিভিন্ন গণমাধ্যমে। আসলেই অত দামে গরু বিক্রি করেছিলেন সাদিক এগ্রোর চেয়ারম্যান ইমরান হোসেন? নাকি ভেল্কিবাজি করেছেন ভোক্তাদের সঙ্গে?
সম্প্রতি আলোচনায় আসে ইমরানের ১৫ লাখ টাকার খাসি। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ওই খাসি ও তার ক্রেতাকে নিয়ে চলছে বিস্তর আলোচনা-সমালোচনা।
শেষ মুহূর্তে জানা গেল সাদিক এগ্রোর সেই কোটি টাকার গরু আর ১৫ লাখ টাকার ছাগল এখনো কেউ নেয়নি।
গরুর বিষয়ে ইমরান হোসেন গণমাধ্যমকে বলেন, কোটি টাকায় যে গরুটি ক্রয় করেছেন তিনি এ বছর হজে গিয়েছেন; আগামী বছর গরু ডেলিভারি নেবেন। অপরদিকে ১৫ লাখ টাকার ছাগলের বিষয়ে বলেন, ক্রেতা ১ লাখ টাকা বুকিং মানি দিয়েছিলেন কিন্তু পরে আর ছাগলটি নেননি।
অথচ এগ্রোর মালিক ইমরান ঈদের আগে বলেছিলেন ১৫ লাখ হাকানো ছাগলটি ১২ লাখে বিক্রি হয়েছে।
সম্প্রতি একটি সংবাদ প্রকাশের ছাগল নিয়ে তৈরি হয় নানা আলোচনা, চলমান সে বিতর্কের মধ্যে সাদিক এগ্রোর মালিক মোহাম্মদ ইমরান হোসেন দাবি করেছেন, আমি যতটুকু জানি— যে ছেলেটা আমার কাছ থেকে ছাগল কিনেছে, তার বাবা বিদেশে থাকেন। আমার কাছ থেকে কোনও রাজস্ব কর্মকর্তা ছাগল কেনেনি, একটি তরুণ ছেলে কিনেছে। এখন ওর বাবা কে, সেটি তো আমি বলতে পারি না।
সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম, এমনকি গণমাধ্যমেও বিভিন্ন মহল থেকে বলা হচ্ছে যে ছাগলের এই অস্বাভাবিক দাম বাজারে অস্থিতিশীলতা সৃষ্টি করছে।
তবে ইমরানের দাবি, এ আলোচনা একেবারেই অযৌক্তিক এবং ভিত্তিহীন। তিনি বলেন, কুরবানি উপলক্ষে এবার ৩৩০০ পশু খামারে তুলেছিলাম। যার মধ্যে ১২০০ ছাগল ও ২১০০ গরু। এত ছাগলের মাঝে কেবল একটির দাম ছিল ১৫ লাখ টাকা। বাকী ছাগলগুলোর দাম ১৫-২০ হাজার টাকা, যা মূলত আমজনতার ছাগল।
আর কোটি টাকার গরুর বিষয়ে তিনি গণমাধ্যমকে বলেন, মাত্র একটি গরুর দাম ছিল এক কোটি টাকা। বাকি যে গরুগুলো, সেগুলোর দাম ছিল ৭০-৮০ হাজার বা দেড় লাখ টাকা। কিন্তু এগুলো নিয়েও আলোচনা হচ্ছে না। আমার কাছে দামি যে পশু আছে, সেগুলো তো পার্সেন্টেজেই আসে না।
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ইউটিউবার ও ব্লগারদের দিয়ে ভিডিও প্রকাশ করে আলোচনায় থাকা এবং পশুর দাম বাড়ানোই কি টার্গেট? এমন প্রশ্নের জবাবে ইমরান বলেন, দামি গরুতে প্রফিট করে আমজনতার গরুতে কমপেন্সেট করায় খারাপ কিছু দেখি না। তাহলে আমি দাম বাড়ানোর কারিগর হিসেবে কীভাবে চিহ্নিত হলাম?