চলতি বাজেটে পর্যটন খাতে নতুন আরোপকৃত ১৫ শতাংশ মূল্য সংযোজন করের (মূসক) কারণে পর্যটন ব্যয় বৃদ্ধি পাবে। এতে ক্ষতিগ্রস্ত হবে এ খাত। দেশের উদীয়মান পর্যটন খাত প্রসারে বাজেটে মূসক প্রত্যাহারের দাবি জানানো হয়েছে।
মঙ্গলবার ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে (ডিআরইউ) আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এসব বিষয় তুলে ধরেন পর্যটন খাতের শীর্ষ সংগঠন ট্যুর অপারেটর অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (টোয়াব) নেতারা।
অনুষ্ঠানে সংগঠনের সভাপতি এবং এফবিসিসিআই ট্রাভেল, ট্যুর অ্যান্ড হসপিটালিটি স্ট্যান্ডিং কমিটির চেয়ারম্যান মো. রাফেউজ্জামান বলেন, ভ্রমণ ও হোটেল বুকিং, বিভিন্ন পর্যটন আকর্ষণীয় স্থাপনা ও অ্যামিউজমেন্ট পার্কের টিকিট ক্রয়সহ পর্যটন খাতের বিভিন্ন সেবা ক্রয়ের ক্ষেত্রে মূল্য সংযোজন কর পরিশোধ করা হচ্ছে। নতুন করে এ খাতে মূসক আরোপ করা হলে ভ্রমণ ব্যায়বৃদ্ধিসহ অন্যান্য ব্যয় বৃদ্ধি পাবে। ফলে ভ্রমণকারীরা আগের মতো স্বল্প খরচে স্বাচ্ছন্দে ভ্রমন করতে পারবে না।
এতে করে গোটা পর্যটন শিল্প বিশেষ করে অন্তর্গামী ও অভ্যন্তরীণ পর্যটন দারুণভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হবে। বিশেষ করে পর্যটন শিল্প একটি ব্যাপক ও অনেকগুলো সেক্টরের সঙ্গে সম্পৃক্ত, বিদ্যমান মূসক সুবিধা প্রত্যাহার হলে ক্রম অগ্রসর বাংলাদেশের পর্যটন শিল্পের বিকাশের অন্তরায় হয়ে দাঁড়াতে পারে।
টোয়াব প্রেসিডেন্ট বলেন, বাংলাদেশের পর্যটন শিল্প জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান দ্বারা সৃষ্ট। উনার সুযোগ্য কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দক্ষ পরিচালনায় পর্যটনের যে দ্বার উন্মোচিত হয়েছে তা দারুণভাবে বাধাগ্রস্ত হবে। শুধু তাই নয় পর্যটন শিল্পের দ্বারা কষ্টার্জিত বৈদেশিক মুদ্রা অর্জন ও রক্ষা দুটোই করা সম্ভব যা ট্যুর অপারেটরদের মাধ্যমে পরিচালিত হয়।
বাজেট ঘোষণার পরপরই এফবিসিসিআইয়ের প্রেসিডেন্ট মাহবুবুল আলমের সঙ্গে টোয়াবের প্রেসিডেন্টের নেতৃত্বে একটি প্রতিনিধি দলের সাক্ষাৎকালে মূসক প্রত্যাহারের ব্যাপারে আলোচনা করা হয়েছে। এ সময় এফবিসিসিআইয়ের পক্ষ থেকে টোয়াবের দাবির সঙ্গে একমত পোষণ করা হয় বলে অনুষ্ঠানে জানানো হয়।
সংবাদ সম্মেলনে টোয়াবের অন্যান্য নেতা ও সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।